ফের আলোচনায় দিশা সালিয়ানের মৃত্যুরহস্য। পাঁচ বছর কেটে গেলেও সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক সাত দিন আগে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর ম্যানেজার দিশার। সেই মৃত্যু নিয়েও রয়ে গিয়েছে নানা প্রশ্ন। সেই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে এ বার উদ্যত হয়েছেন দিশার বাবা। নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন সতীশ সালিয়ান। নতুন করে তদন্ত চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন তিনি।
শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবিও করেছেন সতীশ সালিয়ান। সিবিআই-এর হাতে যাতে এই তদন্তভার দেওয়া হয়, সেই দাবিও করেছেন তিনি। এর মধ্যে শিবসেনা বিধায়ক এমপি নরেশ মহাসকে-ও জানিয়েছেন, সতীশ সালিয়ানের দাবিগুলি যেন খতিয়ে দেখা হয়। এই মৃত্যুরহস্যের প্রমাণ গোপন রাখা হয়েছিল এবং দিশার বাবার উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে তাঁর দাবি। সতীশ সালিয়ানের পিটিশনে উঠে এসেছে দিনো মোরিয়া, একতা কপূর, আদিত্য পাঞ্চোলির মতো তারকাদের নামও।
নরেশ মহাসকে এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “দিশার বাবা ওঁর অভিযোগ দায়েরের সময়ে জানিয়েছেন, তাঁকে চাপে রাখা হয়েছিল এবং বেশির ভাগ প্রমাণ গোপন রাখা হয়েছিল। তিনি একতা কপূর, দিনো মোরিয়া, আদিত্য পাঞ্চোলির নাম উল্লেখ করেছেন এবং সেই সময়ে এঁদের ফোন রেকর্ড খতিয়ে দেখার দাবি করেছেন।” সতীশ সালিয়ানের প্রতিটি অভিযোগের সমর্থন জানিয়ে নরেশ আরও বলেছেন, “এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি (দিশার বাবা) কোনও মিথ্যে অভিযোগ আনছেন না। সকলেই জানেন, আদিত্য ঠাকরে রাতে কেমন জীবনযাপন করেন এবং ওঁর বন্ধুদের দলবলকেও সকলে চেনেন। ওঁরা যদি নির্দোষই হয়ে থাকেন, প্রকাশ্যে এসে এই ঘটনার তদন্তের দাবি তুলুন।”
তবে এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তাঁর মতে, দিশার মৃত্যু একটি দুর্ঘটনা ছিল মাত্র। সংবাদমাধ্যমই নাকি এই ঘটনায় অন্য রং চড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আপ্তসহায়ক হিসাবে কাজ করতেন দিশা। মুম্বই পুলিশের দাবি, ২০২০ সালের ৮ জুন নিজের বাড়ির বারান্দা থেকে পড়ে মারা যান তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বলেই দাবি করেছিল। কিন্তু দিশার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এখানেই উঠে আসে উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের নাম। অভিযোগ, তিনি নাকি সে রাতে আয়োজিত এক পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন। এই পার্টির ঠিক পরেই বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় দিশার।