Sushant Singh Rajput’s Personal Diary Seems Important Source in the Probe, Says Police dgtl
sushant singh rajput
সুশান্তের তৈরি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন রিয়া ও তাঁর ভাই! অভিনেতার ডায়েরিতে বহু নতুন তথ্য
এরপর সুশান্তের জীবনে আসেন রিয়া চক্রবর্তী। তারপরই পাল্টে যেতে থাকে সুশান্তের সংস্থার ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক সমীকরণও।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২০ ১৩:৫৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুরহস্যে এ বার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিল তাঁর লেখা ডায়েরি। পুলিশের সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সুশান্ত ডায়েরিতে দৈনন্দিন জীবনের বিশেষ বিশেষ ঘটনা লিখে রাখতেন। তাঁর মোট চারটি ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে।
০২১২
ডায়েরি থেকে জানা গিয়েছে, অক্টোবর থেকে জানুয়ারি অবধি সুশান্তের পি আর এবং ম্যানেজারকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। সে সময় নাকি দু’টি সংস্থা শুরু করেছিলেন তিনি। দু’টিরই অংশ ছিলেন সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী রিয়া এবং তাঁর ভাই শৌভিক।
০৩১২
তার আগে আরও একটি সংস্থা শুরু করা হয়েছিল। সেই সংস্থায় অন্য আরও অনেকে অংশীদার ছিলেন। প্রত্যেক খুঁটিনাটি ডায়েরিতে লিখে রেখেছেন সুশান্ত।
০৪১২
কোম্পানিগুলির ডিরেক্টর কে কে হবেন, অন্যান্য কোন কোন বিষয় কারা কারা দেখবেন, সে সব লিখে রাখতেন সুশান্ত। সেই লিখিত বিবরণের ভিত্তিতে তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদী এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করেছে পুলিশ।
০৫১২
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৮-য় সুশান্তের প্রথম কোম্পানি তৈরি হয়। সেখানে সুশান্তের সঙ্গে ছিলেন বরুণ মাথুর এবং সৌরভ মিশ্র। সুশান্ত-বরুণ-সৌরভ তিন জন ছিলেন কোম্পানির ডিরেক্টর।
০৬১২
এর পর সুশান্তের জীবনে আসেন রিয়া চক্রবর্তী। তার পরই পাল্টে যেতে থাকে সুশান্তের সংস্থার ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক সমীকরণ। সুশান্তের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, বহু পুরনো কর্মীকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় দু’টি নতুন সংস্থাও শুরু হয়।
০৭১২
২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে একটি কোম্পানি শুরু হয়। সেখানে তিন জন ডিরেক্টর ছিলেন— সুশান্ত, রিয়া এবং রিয়ার ভাই শৌভিক। চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি কোম্পানি শুরু করা হয়। সেখানে ডিরেক্টর ছিলেন সুশান্ত ও শৌভিক।
০৮১২
তদন্তে জানা গিয়েছে, সুশান্তের সঞ্চয়ের প্রায় সবই এই সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু রিয়া বা শৌভিকের তরফে কোনও বিনিয়োগ করা হয়েছিল কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
০৯১২
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে। তা হলে কি সুশান্ত বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি যে আর্থিক বিনিয়োগ করেছিলেন, তা আর ফিরে পাওয়ার মতো অবস্থায় নেই?
১০১২
সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, সুশান্ত আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। জল্পনা, তা হলে কি এই নতুন সংস্থাগুলির জন্যই তিনি ভরাডুবির শিকার হন?
১১১২
উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে হতাশা, অবসাদ বা আত্মহত্যা নিয়ে কিছু উল্লেখ না থাকলেও আর্থিক বিনিয়োগের হিসেব সুশান্ত বিশদে লিখে রাখতেন। পুলিশ এখন সেটাই তাদের তদন্তের তুরুপের তাস করেছে।
১২১২
পুলিশ কথা বলবে সৌরভ মিশ্র এবং সুশান্ত মাথুরের সঙ্গেও। মাত্র চৌত্রিশেই শেষ হয়ে যাওয়া সুশান্তের মৃত্যুরহস্যে আত্মহত্যা ছাড়াও অন্য কোনও দিক আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ডায়েরিগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ।