পুরনো দিন: একসঙ্গে সুশান্ত এবং অঙ্কিতা।
বিয়ে নিয়েই ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল সুশান্তের বাবা কেকে সিংহ-র। সুশান্ত বলেছিলেন, “করোনার মধ্যে বিয়ে নয়, সব কিছু মিটলে পরের বছরের শুরুতে দেখা যেতে পারে।”
সুশান্তের মৃত্যুর পর মুম্বই পুলিশকে জেরায় তাঁর ‘প্রেমিকা’ রিয়া চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, এ বছরের শেষেই নাকি সুশান্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সুশান্তের বাবা রিয়ার সঙ্গে ছেলের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি। পাশাপাশি সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সন্দীপ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে সাফ জানান, “আমি তো এ রকম কোনও বিয়েতে আমন্ত্রিত ছিলাম না, একেবারেই বলতে পারব না।”
সন্দীপের মুখে শুধুই সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখন্ডের প্রশংসা। তাঁর কথায়, “আমি শুধু জানি, সুশান্ত এবং অঙ্কিতার বিয়ে করার কথা ছিল। আমার কাছে অঙ্কিতাই সুশান্তের শেষ প্রেম। এই স্মৃতি নিয়েই থাকতে চাই আমি।”
আরও পড়ুন- ‘কেউ আমাকে শেষ করে দিতে চাইছে’, মৃত্যুর আগাম গন্ধ পেয়েছিলেন সুশান্ত?
মুম্বইয়ের লোখণ্ডওয়ালায় একসঙ্গে থাকতেন সুশান্ত , অঙ্কিতা এবং সন্দীপ। দু’জনকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। প্রতিটি পদক্ষেপে অঙ্কিতা কীভাবে সুশান্তকে আগলে রেখেছিলেন তা নিয়ে দিন কয়েক আগে ইনস্টাগ্রামে এক দীর্ঘ পোস্ট করেছিলেন সন্দীপ। তিনি লিখেছিলেন, “যখন তোমরা আলাদা হলে, অঙ্কিতা, তখনও তুমি শুধু ওর ভালই চেয়েছো। সুশান্তের খুশি, সাফল্যতেই খুশি ছিলে তুমি। সেই যে আমার মায়ের হাতের মাটন কারি, সুশান্ত খেতে কী ভালবাসত। না পেলে বাচ্চাদের মতো করত। মালপোয়া? মনে আছে তোমার। আমি পারছি না অঙ্কিতা। আমি আমাদের তিনজনকে ফিরে পেতে চাই। আমি ওই সব দিনে আবার ফিরে যেতে চাই। ”
সন্দীপের পোস্ট
সুশান্তের নিথর দেহ কুপার হাসপাতালের নিয়ে গিয়েছিলেন সন্দীপই। সঙ্গে ছিলেন সুশান্তের আর এক বন্ধু মহেশ। পটনায় থাকা সুশান্তের পরিবার তখনও পৌঁছতে না পারায় হাসপাতালে যাবতীয় সইসাবুদ করতে হয়েছিলেন তাঁকেই। সন্দীপের কাছে ‘‘এ এক দুঃস্বপ্ন। ওঁর মানিব্যাগ থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ড আমাকেই বের করতে হয়েছিল।”
যদিও এরই মধ্যে সন্দীপের ক্রিয়াকলাপের দিকেও আঙুল তুলেছেন সুশান্তের আরও দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু সংগ্রাম এবং নীলোৎপল। তাঁদের অভিযোগ, মৃত্যুর পরে সুশান্তের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন সন্দীপ। পোস্ট
মুছেছেন। চার জনকে ‘আনফলো’-ও করে দিয়েছেন তিনি। তা নিয়ে পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy