Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ফের পদ্মাবতের বাধা সরাল কোর্ট

কাল প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছিল, আলাদা করে কোনও রাজ্য এ ভাবে ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে না।

পদ্মাবত ছবির একটি দৃশ্য।

পদ্মাবত ছবির একটি দৃশ্য।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৫১
Share: Save:

পরের পরীক্ষাতেও পাশ করল সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর বিতর্কিত ছবি ‘পদ্মাবত’। সেন্সর বোর্ডের দেওয়া ইউ/এ সার্টিফিকেট বাতিল করার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। আজ সেই আর্জিও খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

কাল প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছিল, আলাদা করে কোনও রাজ্য এ ভাবে ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে না। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়া সত্ত্বেও মানুষের আবেগ ও আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ দর্শিয়ে রাজস্থান ও গুজরাত সরকার ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সুপ্রিম কোর্টে আজকের শুনানিতেও সেই প্রসঙ্গ উঠেছিল। আইনজীবী এম এল শর্মার করা ওই জনস্বার্থ মামলায় দীপক মিশ্র, এ এম খান্ডিলকর ও ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়েছে— ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সুপ্রিম কোর্টের কাজ নয়। সেটা দেখা রাজ্যগুলোর দায়িত্ব!’’ তাঁরা আরও বলেন, ‘‘গত কাল সব দিক বিবেচনা করেই রায় দেওয়া হয়েছে।’’

গত কাল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই, ২৫ জানুয়ারি, ছবি মুক্তির দিন ভারত বন্‌ধ ডেকেছে করণী সেনা। সংগঠনের প্রধান লোকেন্দ্র সিংহ কালভি হুমকি দিয়েছেন, সিনেমা হলে কার্ফু লাগিয়ে দেবে তারা। আজ তাদের হুমকির মুখে পড়লেন সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রসূন জোশী। ২৫ জানুয়ারিই শুরু হচ্ছে জয়পুর সাহিত্য উৎসব। সেখানে আসার কথা রয়েছে জোশীরও। করণী সেনার সদস্য সুখদেব সিংহ বলেন, ‘‘রাজস্থানে ঢুকতে দেওয়া হবে না ওঁকে। যে মুহূর্তে বিমানবন্দরে পা ফেলবেন, বিক্ষোভে নামব আমরা।’’ ও দিকে, ‘ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে’ বলে হুমকি-ফোন পেয়েছেন পদ্মাবত-এর প্রযোজক সংস্থার আইনজীবী হরিশ সালভে। আজ তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার অফিসে ফোন করেছিল করণী সেনা। ওদের এত সাহস!’’ যদিও সালভের অভিযোগের পরে করণী সেনার কেউ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। কালভি বরং জানিয়েছেন, সংগঠনের কেউ এ কাজ করেছে বলে তাঁর জানা নেই।

করণী সেনার বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন রাজপুত মহিলারাও। তাঁরা হুমকি দিয়েছেন, ‘পদ্মাবত’ মুক্তি পেলে চিতোরের ১৮০০ মহিলা বিষ খাবেন। আরও এক ধাপ এগিয়ে ক্ষত্রিয় মহিলা সঙ্ঘের সদস্যা রামবতী কানওয়ার আবার বলেছেন, ‘‘ওঁরা কেন বিষ খাবেন? ভন্সালী বিষ খাক। আমরা ওঁর চিতা জ্বালাব।’’ ‘রাজপুত সভা’ নামে অন্য একটি সংগঠনের সদস্য হেমেন্দ্র কুমারির দাবি, শীর্ষ আদালত যা-ই বলুক না কেন, নিজেদের অবস্থানে তারা অনড়। এ বার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টকে সম্মান করি আমরা। কিন্তু একেবারেই একপেশে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE