Superstar Rambha disappeared from Bollywood very soon dgtl
bollywood
আর্থিক দেনায় হাতছাড়া বাংলো, শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিতা হন বলিউডের এই সুপারহিট নায়িকা
ঋণশোধ করার জন্য রম্ভা তাঁর বাংলো অবধি বন্ধক রাখতে বাধ্য হন।এমনকি, তাঁর নামে মামলাও করেন এক পাওনাদার। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন রম্ভা।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২০ ১২:৪৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
নায়িকা হবেন বলে সপ্তম শ্রেণিতেই পড়াশোনায় ইতি। বলিউডের পাশাপাশি দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও। কিন্তু আচমকাই রুদ্ধ হল উড়ান। এখন ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিস্মৃত বিগত দশকের ব্যস্ত নায়িকা রম্ভা।
০২১৯
রম্ভার জন্মগত নাম বিজয়লক্ষ্মী। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় তাঁর জন্ম ১৯৭৬ সালের ৫ জুন। তাঁর স্কুলের এক অনুষ্ঠানে দর্শকাসনে হাজির ছিলেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক হরিহরণ। তিনি বিজয়লক্ষ্মীকে সুযোগ দেন মালয়লম ছবি ‘সরগম’-এ।
০৩১৯
প্রথম ছবিতে অভিনয়ের আগে নিজের নতুন নাম তিনি নেন ‘অমৃতা’। পরে সেটা পাল্টে আরও একটি নতুন নাম নেন—‘রম্ভা’। সেই নামই পরবর্তী সময়েও থেকে যায় তাঁর পরিচয় হিসেবে।
০৪১৯
তেলুগু, তামিল, কন্নড় এবং হিন্দি-সহ মোট সাতটি ভারতীয় ভাষায় অভিনয় করেছেন রম্ভা। ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে অভিনয় করেছেন ‘দাদা’, ‘চিতা’ এবং ‘রিফিউজি’ নামে তিনটি বাংলা ছবিতেও।
০৫১৯
রম্ভার প্রথম বলিউড অভিযান ১৯৯৫ সালে। অভিনয় করেন ‘জল্লাদ’ ছবিতে। এর পর ‘জুরমানা’, ‘জঙ্গ’, ‘দানবীর’, ‘কাহার’-সহ বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেন। কিন্তু পরিচিতির জন্য অপেক্ষা করতে হয় বছর দুয়েক।
০৬১৯
১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় ‘জুড়ুয়া’। সলমন খানের বিপরীতে এই ছবিতে রম্ভার অভিনয় সুপারহিট হয়। এই ছবি থেকেই বলিউডে ধীরে ধীরে নিজের পরিচিতি তৈরি করেন তিনি।
০৭১৯
প্রথম দিকে তাঁর সঙ্গে দিব্যা ভারতী এবং শ্রীদেবীর সাদৃশ্য় খুঁজে পেতেন দর্শকরা। বলিউডে পর পর বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। বিপরীতে নায়ক ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী, অক্ষয়কুমার, অজয় দেবগণের মতো তারকারা।
০৮১৯
কিন্তু বলিউডে একই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে ভাল লাগছিল না রম্ভার। বেশির ভাগ ছবিতেই তাঁকে দেখা যাচ্ছিল আইটেম ডান্সারের ভূমিকায়। ২০০২ সালে রম্ভার শেষ হিন্দি ছবি ‘প্যায়ার দিওয়ানা হোতা হ্যায়’ মুক্তি পায়।
০৯১৯
পরের বছর কেরিয়ারে কিছুটা পরীক্ষানিরীক্ষা করেন রম্ভা। ভাইয়ের সঙ্গে মিলে শুরু করেন প্রযোজনা সংস্থা। মুক্তি পায় তাঁদের সংস্থার প্রথম ছবি ‘থ্রি রোজেস’। কিন্তু ছবিটি বক্সঅফিসে ব্যর্থ হয়। রম্ভা বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।
১০১৯
ঋণশোধ করার জন্য রম্ভা তাঁর বাংলো অবধি বন্ধক রাখতে বাধ্য হন।এমনকি, তাঁর নামে মামলাও করেন এক পাওনাদার। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন রম্ভা।
১১১৯
২০০৮ সালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। গুঞ্জন ছিল, তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পরে রম্ভা এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি ছিল, তিনি একদিন আগে পুজোর জন্য উপোস করেছিলেন। সেই কারণে দুর্বলতার কারণে জ্ঞান হারিয়েছিলেন।
১২১৯
কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শোনা যায়, রম্ভা আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রবি কিশনের জন্য। তিনি নাকি রবির প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। কিন্তু রবির দিক থেকে কোনও সাড়া পাননি।
১৩১৯
২০১০ সালে কানাডাবাসী ব্যবসায়ী ইন্দ্রকুমারকে বিয়ে করেন রম্ভা। বিয়ের পর থেকে তিনি টরন্টোবাসী। দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে সেখানেই সংসারী রম্ভা।
১৪১৯
কিন্তু বিবাহিত জীবনের সূত্রপাতেই বড় ধাক্কা। নিউজিল্য়ান্ডে মধুচন্দ্রিমার সময়ে রম্ভা জানতে পারেন তাঁর স্বামী বিবাহিত। প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে ডিভোর্স না করেই তিনি বিয়ে করেছেন রম্ভাকে। এই কথা জানার পরেও রম্ভা ডিভোর্সের পথে যাননি।
১৫১৯
কিন্তু তার পরেও তিক্ত ছিল বিবাহিত জীবন। রম্ভা অভিযোগ করেন, পর পর দু’বার কন্য়াসন্তানের জন্ম দেওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে তাঁর কটূক্তি শুনতে হত। তিনি ২০১৬ সালে ভারতে ফিরে আসেন। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন।
১৬১৯
এদিকে তার পরের বছর রম্ভা নিজেই একটি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে পড়েন। তাঁর দাদার স্ত্রী অভিযোগ করেন, পণের টাকা দাবি করে তাঁর উপর নির্যাতন চালাচ্ছে ননদ রম্ভা-সহ শ্বশুরবাড়ির বাকি সদস্য়রা।
১৭১৯
বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় রম্ভা তাঁর স্বামীর কাছ থেকে প্রতি মাসে আড়াই লক্ষ টাকা ভরণপোষণ দাবি করেছিলেন। নায়িকার বক্তব্য ছিল, তাঁর স্বামীর প্রতি মাসে পঁচিশ লক্ষ টাকা উপার্জন। ফলে ওই অঙ্কের টাকা তাঁকে ভরণপোষণের জন্য় দেওয়ার তাঁর কাছে কোনও ব্যাপারই নয়।
১৮১৯
শেষ অবধি অবশ্য তাঁদের বিচ্ছেদ হয়নি। নিজেই বধূ নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরে রম্ভা স্বামীর সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে টরন্টো ফিরে যান ২০১৭ সালেই। পরের বছর পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি।
১৯১৯
বলিউডের বিগত তারকা রম্ভা এখন ইন্ডাস্ট্রির রোশনাই থেকে বহুদূরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সংসারী ছবি দেখে সবার ধারণা, টিনসেল টাউনে ফিরে আসার ইচ্ছেও তাঁর নেই। অতীতের সুপারস্টার এখন ব্যস্ত ঘরকন্নায়।