Sunny Deol helped Pooja Bhatt to revive her sinking career dgtl
bollywood
মহেশের সঙ্গে তিক্ততা ভুলে পূজা ভট্টের ডুবন্ত কেরিয়ার বাঁচান সানি দেওল
সানি রাজি হওয়ায় পূজা তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে ধন্যবাদ জানান। তাঁর ধারণা ছিল, সানির সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করায় তাঁর থমকে পড়া কেরিয়ারে নতুন গতি যোগ হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২০ ১৬:০০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
নামী স্টারকিড হয়েও বলিউডে বার বার হোঁচট খেয়েছে পূজা ভট্টের কেরিয়ার। এক বার ডুবন্ত কেরিয়ার বাঁচাতে তিনি সাহায্য নিয়েছিলেন আর এক সুপারস্টারের।
০২১৫
বলিউডে পূজার আত্মপ্রকাশ ১৯৮৯ সালে তাঁর বাবার পরিচালনায় ‘ড্যাডি’ ছবিতে। সে সময় ইন্ডাস্ট্রিতে মাধুরী, জুহি, আয়েষা জুলকা, রবিনা টন্ডন-সহ অনেকে কাজ করছেন। তাঁদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন পূজা।
০৩১৫
সমসাময়িক নায়িকাদের তুলনায় ‘সাহসী’ পরিচয় পাওয়া পূজার প্রথম দিকে পর পর কিছু সিনেমা সুপারহিট হয়। ‘ড্যাডি’, ‘দিল হ্যায় কি মানতা নহিঁ’, ‘সড়ক’, ‘স্যর’, ‘জুনুন’-সহ একাধিক সুপারহিট ছবি উপহার দেন পূজা।
০৪১৫
কিন্তু ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ অবধি পূজার বেশ কিছু সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। ‘চোর অউর চাঁদ’, ‘পহেলা নেশা’, ‘ক্রান্তি ক্ষেত্র’, ‘নারাজ’, ‘হাম দোনো’-সহ পর পর ছবি ব্যর্থ হয়।
০৫১৫
এই পরিস্থিতিতে পূজাকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন করিশ্মা, রবিনা, শিল্পার মতো নায়িকারা। শেষে এমন হল, হোম প্রোডাকশন ছাড়া অন্য কোনও প্রযোজক পূজাকে নায়িকা করতে চাইছিলেন না।
০৬১৫
ফ্লপ নায়িকা পূজার সঙ্গে অভিনয় করতে রাজি ছিলেন না কোনও নায়কও। এই সময় ‘অঙ্গরক্ষক’ নামে একটি ছবি হওয়ার কথা ছিল। নায়িকার ভূমিকায় দিব্যা ভারতীর অভিনয় করার কথা ছিল।
০৭১৫
কিন্তু দিব্যার রহস্যমৃত্যুতে ছবির কাজ আটকে যায়। অন্য দিকে নায়ক সানি দেওলেরও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ফলে তিনিও শ্যুটিং থেকে সরে আসেন।
০৮১৫
এই সময়ে ছবিটিতে সুযোগ পান পূজা। কিন্তু তিনি নায়িকা হওয়ায় সানি প্রথমে রাজি হলেন না অভিনয় করতে। কারণ ‘গুনাহ’ ছবির সময় পূজার বাবা মহেশ ভট্টের সঙ্গে সানির সম্পর্ক বিগড়ে গিয়েছিল। সেই তিক্ততা ভুলতে পারেননি ধর্মেন্দ্র পুত্র।
০৯১৫
সানির অভিযোগ ছিল, ‘গুনাহ’ ছবির সেটে মহেশ প্রায় আসেনইনি। তাঁর সহকারী পরিচালকরাই ছবির কাজ সম্পূর্ণ করেন।
১০১৫
কিন্তু মহেশের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা তাঁর মেয়ের ক্ষেত্রেও টেনে আনতে চাননি সানি। শেষ অবধি তিনি রাজি হন ‘অঙ্গরক্ষক’-এ পূজার সঙ্গে অভিনয় করতে।
১১১৫
সানি রাজি হওয়ায় পূজা তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে ধন্যবাদ জানান। তাঁর ধারণা ছিল, সানির সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করায় তাঁর থমকে পড়া কেরিয়ারে নতুন গতি যোগ হবে।
১২১৫
১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় ‘অঙ্গরক্ষক’। সানি-পূজা ছাড়াও ছবির অন্যতম কুশীলব ছিলেন কুলভূষণ খরবান্দা।
১৩১৫
বক্স অফিসে মাঝারি হিট ছিল এই ছবিটি। সাময়িক ভাবে হলেও পূজার কেরিয়ার কিছুটা উজ্জীবিত হয়।
১৪১৫
তবে নায়িকা হওয়ার দৌড়ে পূজা আর ফিরতে পারেনি। কয়েক বছর পরে পূজা নিজেই সরে যান অভিনয় থেকে। তিনি বেশি আগ্রহী ছিলেন ক্যামেরার পিছনে কারিগরের ভূমিকায়।
১৫১৫
তবে এ কথা পূজা ভোলেননি যে পুরনো তিক্ততা ভুলে তাঁর ফ্লপ-সময়ে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন সানি দেওলের মতো সুপারস্টার।