সুনীল শেট্টি। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউড মানেই গ্ল্যামারে ভরা দুনিয়া। আলো আর রঙে সাজানো দুনিয়া যেন ‘সব-পেয়েছি’র আসর। অথচ সেই দুনিয়াতেই প্রদীপের তলায় অন্ধকার। বিনোদনের বিশ্বে থাবা বসিয়েছে অবসাদ। দিন দিন সেই অবসাদের প্রকোপ বাড়ছে বই কমছে না। সেই সর্বগ্রাসী অবসাদের অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত, নিতিন দেশাইয়ের মতো শিল্পীরা। তিন বছর আগে অকালপ্রয়াণ হয়েছে অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের। সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন বলিউডের নামজাদা শিল্প নির্দেশক নিতিন দেশাই। কী ভাবে রোখা সম্ভব এই বিপজ্জনক প্রবণতা?
মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার স্বার্থে সম্প্রতি বাজারে এসেছে একটি অ্যাপ। সেই অ্যাপের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার যে কোনও সময় সাহায্য চাওয়ার সুযোগ থাকছে। এই অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলিউড অভিনেতা সুনীল শেট্টি। সেখানেই নিতিন দেশাইয়ে মৃত্যু নিয়ে সুনীল বলেন, ‘‘নিতিনের মতো শিল্পী আজকালকার দিনে বিরল। বলিউডের অন্যতম সেরা শিল্প নির্দেশক ছিলেন তিনি। শুধু শিল্পী হিসাবেই নয়, মানুষ হিসাবেও অনবদ্য ছিলেন নিতিন। তাঁর যে এমন পরিণতি হতে পারে, এ কথা দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।’’ সুনীলের মতে, বিনোদন জগতের এই ঝলমলে দুনিয়ার আড়়ালে যে কত ব্যর্থতা, কত হতাশা ও কত অবসাদ লুকিয়ে থাকে, তা সাধারণ ভাবে দেখতে পাওয়া যায় না। এই কারণেই এমন একটা মঞ্চ প্রয়োজন, যেখানে হাত বাড়ালেই সাহায্য পাওয়া যাবে, জানান সুনীল।
শুধু নিতিন দেশাই নন, সুশান্তের অকালমৃত্যুও এখনও ভোলেননি সুনীল। তিন বছর আগে জুন মাসে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। সুশান্তের রহস্যমৃত্যুর পরে বলিউডে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা গতি পেয়েছিল। সুনীলের কথায়, ‘‘এত কমবয়সি একটা ছেলে, আমার সন্তানের মতো। এত প্রতিভাবান, অথচ অসময়ে চলে গেল। ওর পরিজনের জন্যও আমার চিন্তা হয়।’’ সুনীল জানান, যে কোনও অ্যাপের থেকেও আরও বেশি প্রয়োজনীয় মানুষ হিসাবে মানুষের পাশে থাকা ও প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy