পুরস্কারের জন্য কাজ করেন না সুমন।
শনিবারের ‘অ-জানাকথা’ অনুষ্ঠানে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই সোজাসাপ্টা উত্তর দিলেন সুমন। তিনি বললেন, “আমার মনে হয় না কোনও সৎ শিল্পী পুরস্কারের কথা ভেবে কাজ করেন। আমি মনে করি না এটা করা সম্ভব। আমি নোবেল পাওয়ার জন্য কিছু একটা লিখতে বসেছি, এমনটা ভেবে তো কোনও কাজ হতে পারে না।”
দীর্ঘ পেশাগত জীবনে নানা ধরনের কাজ করেছেন সুমন। মঞ্চ থেকে বড় পর্দা, ওয়েব সিরিজ — সব ক্ষেত্রেই তাঁর অবাধ বিচরণ। কিন্তু একাধারে নাট্যকার, পরিচালক, অভিনেতা জানিয়েছেন, কোনও পুরস্কারের কথা ভেবে কাজ করেননি তিনি। তিনি মনে করেন, যে কোনও বড় মাপের শিল্পীই এ ধরনের প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করেন না।
কিন্তু জাতীয় পুরস্কার পেলে নিশ্চয়ই তাঁর খারাপ লাগবে না? খানিক হেসে সুমনের উত্তর, “জাতীয় পুরস্কার পেলে খারাপ লাগবে কেন? যে কোনও পুরস্কার পেলেই খুব আনন্দিত হব। কিন্তু পুরস্কার পাওয়ার জন্য লিখতে বসছি বা এই কাজটা করলে উপহার পাওয়া যেতে পারে— এই মনোভাব থেকে অন্তত আমি কাজ করি না।”
পাশাপাশি, নাট্যশিল্পের সংরক্ষণ বিষয়ে সুমনের আক্ষেপ, শম্ভু মিত্র, উৎপল দত্ত এবং অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীদের কাজ সংরক্ষিত হয়নি, সাম্প্রতিক সময়েও কিন্তু হচ্ছে না। তাঁর কথায়, “দুর্ভাগ্যবশত তাঁদের মঞ্চের কাজ সেই সময় রেকর্ডিং করা হয়নি। আমাদের বর্তমান সময়েও এত সুযোগসুবিধা থাকা সত্ত্বেও অনেক কাজ যত্ন করে রেকর্ড করা হয় না।” এ প্রসঙ্গে উদাহরণ দিতে গিয়ে সুমন বললেন, “রাজা লিয়র-এর মতো একটা প্রযোজনা ভাল করে ডিজিটালি রেকর্ড করা হয়নি। ওই বয়সে সৌমিত্রবাবুর ( চট্টোপাধ্যায়) ও রকম একটা কাজ যা এত মঞ্চসফল, সেটিকেও আমরা ডিজিটাইজ করে রাখতে পারিনি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্যের বিষয়।”
সুমন নিজে একাধিক নাটক রেকর্ড করেছেন। এই কাজের জন্য মুম্বইও গিয়েছেন তিনি। নাট্যকার জানিয়েছেন, নাটক রেকর্ড করা নিয়ে অনেকেরই আপত্তি রয়েছে। কারণ তাঁরা মনে করেন, নাটকের মাধ্যমে মঞ্চ থেকে দর্শকের সঙ্গে সরাসরি যোগস্থাপন করা যায়। রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে তা সম্ভব নয়। কিন্তু সুমন মনে করেন, নাটককে যদি যত্ন নিয়ে রেকর্ড করা হলে যে শিল্পগত দিকটি মঞ্চে উঠে আসে, তার খানিক আভাস রেকর্ডিংয়েও পাওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy