সত্তরের দশকের শেষাশেষি। খ্যাতির মধ্য গগনে তখন উত্তমকুমার। এক দিন হঠাত্ কথাপ্রসঙ্গে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বললেন, ‘দূর আর ভাল লাগছে না!’
শুনে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন সৌমিত্র। তাঁকে ঠাট্টা করে বলেছিলেন ‘‘বুড়োর রোলগুলো করতে হবে না? কোত্থেকে হবে, এখন থেকেই ভাল না লাগলে? আপনি আর আমি বুড়ো না হলে ইন্ডাস্ট্রিতে ভাল বুড়ো পাওয়া যাবে না!’’ শুনে হাসতে শুরু করেন উত্তম। না! উত্তমের আর বুড়ো হয়ে ওঠা হয়নি। ১৯৮০-র ২৪ জুলাই প্রয়াত হয়েছিলেন মহানায়ক। আজ উত্তমের মৃত্যুদিন। স্মৃতিভারাতুর হয়ে আছেন সৌমিত্র। উত্তম চলে যাওয়ার পর তাঁর অভাবটা টের পেতেন তিনি। আজও একই অভাব বোধ কাজ করে তাঁর। তবে তিনি এই ৮২তেও চালিয়ে খেলছেন। আর ক’দিন পরেই অভিনয় জীবনের ষাট বছরে পা দেবেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, যদি প্রেমিক উত্তমকে পেতেন আজকের নায়িকারা...
এই মুহূর্তে টালিগঞ্জে সৌমিত্রবাবুর ব্যস্ততা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি। ফরাসি সম্মান লিজিয়ঁ দ্য নর প্রাপ্তির পর সৌমিত্রর ব্যস্ততা যেন বেড়েই চলেছে। শুটিং চলাকালীনও তাঁকে প্রায়ই সংবর্ধনা জানানো হচ্ছে। দিন কয়েক আগেই টালিগঞ্জে ‘শেষ চিঠি’ ছবিটির কাজ চলছিল। সেখানেই ফ্লোরে এই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে সম্মান জানানো হয়। বাংলা চলচ্চিত্র জগৎ এখন সৌমিত্রময়।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।— নিজস্ব চিত্র।
১৯৫৮-র ৯ অগস্ট সৌমিত্রর জীবনের একটি বিশেষ দিন। সে দিনই ‘অপুর সংসার’-এর শুটিংয়ে প্রথম শট নেওয়া হয়েছিল তাঁর, বেলেঘাটায় ছোট্ট একটা কারখানায়। সেই শুরু…। ইন্ডাস্ট্রি শুধু সৌমিত্রকে বুড়ো করেই রাখেনি, রেখেছে মাথায় করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy