শ্রীতমা ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
শ্রীতমা ভট্টাচার্য খেতে প্রচণ্ড ভালবাসেন। এক প্লেট বিরিয়ানির পরেও অনায়াসে খেয়ে নিতে পারেন খিচুড়ি, ইলিশ মাছ ভাজা। অন্যান্য নায়িকারা শরীরের গঠন ঠিক রাখতে খাবার দেখলেই পালান। অভিনেত্রী হাসতে হাসতে কামড় বসান বড় বড় লাড্ডুতে। তাঁর এই বিশেষ গুণের জন্য টেলিপাড়া তাঁকে বিশেষ নামও দিয়েছে! সেটে নাকি আড়ালে তাঁকে ডাকা হয় ‘লেডি গণেশ’ বলে! জি বাংলার ‘দাদাগিরি’তে এসে এ কথা নিজেই জানিয়েছেন শ্রীতমা।
শ্রীতমার খাওয়া দাওয়ার প্রতি দুর্বলতার কথা জানতেন সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। খেলার ফাঁকে আড্ডাচ্ছলে তিনিই প্রথম কথা তোলেন, ‘‘শ্রীতমা নাকি প্রচণ্ড ডায়েটিং করেন?’’ তখনই অভিনেত্রী জানান, তিনি এত খেতে ভালবাসেন যে সেটে তাঁকে বিশেষ নামে ডাকা হয়। এক বার শ্যুটে খাওয়ার দৃশ্য ছিল। সবার পাতে খিচুড়ি, ইলিশ মাছ ভাজা। দেখেই অভিনেত্রীর জিভে জল। কখন শেষ হবে শ্যুট? তারই অধীর অপেক্ষায় তিনি। শ্যুট শেষ হতেই নিজের ভাগের খিচুড়ি, ইলিশ মাছভাজা তো খেয়েইছেন। বাকিদের খিচুড়ি, ইলিশ মাছও তাঁর পাতে! শ্রীতমার হাতে থেকে বাঁচাতে শ্যুটের সময় নাকি লাড্ডুতে মশা মারার স্প্রে ছড়িয়ে রাখা হত।
২০১৮-য় ‘মা’ ধারাবাহিক দিয়ে ছোট পর্দায় পা রাখেন শ্রীতমা। ‘ঝিলিক’ চরিত্রে অভিনয় নজর কেড়েছিল সবার। এর পরে ‘ইচ্ছে নদী’, ‘দেবী চৌধুরাণী’, ‘কাদম্বিনী’, ‘গ্রামের রানি বীণাপানি’-তেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ছোট পর্দার পাশাপাশি রাজনীতিতেও এসেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের তিনি। ২০২২-এর পুরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। রাজনীতির কারণে বেশ কিছু দিন ছোট পর্দা থেকে দূরে ছিলেন শ্রীতমা। ভোট মিটতেই তিনি ফের লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের জগতে। কালার্স বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘বসন্ত বিলাস মেসবাড়ি’তে এ বার দজ্জাল শাশুড়ির চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy