এ বার তাঁর ‘ঝিন্টি’ ব্যবহার হচ্ছে যাত্রাপালায়। তা বলে কোথাও শিলাজিৎ মজুমদারের নাম উল্লেখ করা হবে না? সৃষ্টির আড়ালে যে সৃষ্টিকর্তা চাপা পড়ে গেল! গায়কের যুক্তি, ৫০০ বছর আগে লেখা ‘জীবন রে’ গান তিনিও নিজের মতো করে গেয়েছেন। শিল্পী বা সৃষ্টিকর্তার খোঁজ করেননি।
ফের শিলাজিতের ‘গান চুরি’!
সুকুমার রায়ের বড়বাবুর মতোই দশা শিলাজিৎ মজুমদারের। বড়বাবুর গোঁফ চুরি গিয়েছিল। গায়কের গানচুরি!
প্রথমে চুরি ‘এক্স ইক্যুয়াল্টু প্রেম’ গানটি। তাই দিয়ে নতুন ছবির নাম ঠিক করে ফেললেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায়, সংবাদমাধ্যমে তাই নিয়ে হুলুস্থুলু। এ বার চুরি গেল শিলাজিতের ‘ঝিন্টি’। আসন্ন যাত্রাপালার নাম, ‘ঝিন্টি তুই বৃষ্টি হতে পারতিস!’ এই চুরি হাতেনাতে ধরেছেন শিল্পী। ভাগ করে নিয়েছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। আফশোস তাঁর, ‘কত জনকে আটকাব। 'এক্স ইক্যুয়ালটু প্রেম'। তার পর 'ঝিন্টি'। গান ভাবব না উকিল খুঁজব?’ আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে আবেগপ্রবণ শিল্পী। বলেছেন, ‘‘আমি যদি সত্যিই ঝিন্টিকে চিনতাম তা হলে কি এ ভাবে চুরি হতে দিতাম?’’
শিলাজিতের অনুরাগীদেরও এক মত। ‘ঝিন্টি’ শুধুই গায়কের। বড়জোর শ্রোতাদের। শেষে যাত্রাপালায় জায়গা করে নিল ‘ঝিন্টি’? উত্তর দিতে গিয়ে হেসে ফেলেছেন ‘জল ফড়িং’-এর গায়ক। বলেছেন, ‘‘এখন আর রাগ করি না। একটু অন্য রকম করে ভাবি। এটাই মনে করি, আমার সৃষ্টি নতুন প্রজন্মের কাছেও গ্রহণীয়। আমিই প্রথম প্রেমিকাকে ‘তুই’ বলে ডাকতে শিখিয়েছিলাম। ‘জল ফড়িং’ গানে সেই ধারা এগিয়ে নিয়ে গেলেন অনুপম রায়। আমি নয়, গুরুত্ব পাচ্ছে আমার সৃষ্টি। এটা গর্বের।’’
তা বলে কোথাও শিলাজিৎ মজুমদারের নাম উল্লেখ করা হবে না? সৃষ্টির আড়ালে যে সৃষ্টিকর্তা চাপা পড়ে গেল!
গায়কের যুক্তি, ৫০০ বছর আগে লেখা ‘জীবন রে’ গান তিনিও নিজের মতো করে গেয়েছেন। শিল্পী বা সৃষ্টিকর্তার খোঁজ করেননি। ‘ঝিন্টি’ও তাঁর জীবৎকালেই আরও একবার নতুন রূপে ফিরতে চলেছে। মেনে নিয়েছেন তিনি। দাবি, ‘ঝিন্টি’র থেকেও বেশি ঝাঁঝ তাঁর ‘সজনী’ বা ‘বসুন্ধরা’ গানে। ও গুলো চট করে কেউ নেওয়ার সাহস দেখাবে না। তিনি এঁদের নিয়েই খুশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy