ইন্দ্রনীল।
প্র: ওয়েব থ্রিলারে অভিনয় করলেন সম্প্রতি। অভিজ্ঞতা কী রকম?
উ: জ়ি ফাইভ অরিজিনাল ফিল্ম ‘হাল্লা হো’ সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। ছবিটা করতে রাজি হওয়ার অন্যতম কারণ ওটাই। তা ছাড়া পরিচালক সার্থক দাশগুপ্তর কাজ আমি আগে দেখেছিলাম, ভাল লেগেছিল। তার পরেই আমি ওঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে বলি, ওঁর সঙ্গে কাজ করতে চাই। এ ছাড়া অমোল পালেকরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও বাড়তি পাওনা।
প্র: অমোল পালেকরের সঙ্গে কোনও ফ্যানবয় মোমেন্ট তৈরি হয়েছিল সেটে?
উ: আমি কোনও দিনই কারও ফ্যানবয় ছিলাম না, কোনও দিন হবও না। তবে অমোল পালেকরের প্রায় সব ছবি দেখেছি। সেটে সামনে থেকে ওঁকে কাজ করতে দেখাটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। পরিচালকের কাছে নিজেকে উজাড় করে দিতে জানেন।
প্র: এখানে আপনি পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আলাদা কোনও প্রস্তুতি ছিল?
উ: এসিপি দেশপাণ্ডের চরিত্রটা চোখ দিয়ে সব কথা বলে দেয়। চরিত্রটার মধ্যে একটা ধীর, শান্ত ব্যাপার আছে, যেটা আমাকে আকর্ষণ করেছিল। ছবিতে আমার চরিত্রের দৈর্ঘ্য কম হলেও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে, একজন পুলিশ অফিসারের উর্দি সব সময়ে একই থাকে। যেটা পাল্টায়, তা হল মানুষ।
প্র: টেলিভিশন থেকে বড় পর্দা, এখন ওটিটি... সব মাধ্যমেই কাজ করেছেন। কোনটা বেশি পছন্দের?
উ: অবশ্যই বড় পর্দা। টেলিভিশনের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে, তবে তার মধ্যেও অনেকে ভাল কাজ করে বেরিয়ে যান। আমি কোনও মাধ্যমকেই ছোট করতে চাই না। আর এখন তো ওয়েব প্ল্যাটফর্ম বড় পর্দার চেয়েও এগিয়ে গিয়েছে। অনেক বেশি সুযোগ, অনেক বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছনো যায়।
প্র: আপনার শুরুটা টেলিভিশন দিয়ে হলেও এখন খুব কম কাজই করেন সেখানে। কেন?
উ: আমার অভিনয়ের একটা নির্দিষ্ট ধরন আছে, যেটা দেখানোর সুযোগ ছবিতেই বেশি। সেই কারণেই আমি বাংলা ছবি করতে শুরু করেছিলাম। সেখানে কতটা সফল হয়েছি জানি না, তবে চেষ্টার ত্রুটি রাখিনি।
প্র: শোনা যাচ্ছে আপনি আগামী ফেলুদা হচ্ছেন?
উ: ফেলুদা করার ইচ্ছে আমার অনেক দিনের। এ ছাড়া যে কোনও ভাল ছবিতে ভাল চরিত্র করতে চাই, যা আমাকে অভিনেতা হিসেবে চ্যালেঞ্জ করবে।
প্র: আপনি নিজের চেহারা, লুক দীর্ঘ দিন ধরে একই ভাবে মেনটেন করে চলেছেন। কী ভাবে করেন এটা?
উ: নিজের বয়স কোনও দিনই লুকোইনি। সেটা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মেনটেন করে গিয়েছি নিজেকে। ফিটনেস নিয়ে আমি খুব একটা সচেতন নই কিন্তু। চেহারার গড়ন মা-বাবার কাছ থেকে বংশগত ভাবে কিছুটা পেয়েছি। আর বাকি কৃতিত্ব দেব মাছ খাওয়ার অভ্যেসকে (হাসি)!
প্র: স্ত্রী বরখা বিস্তের সঙ্গে আপনার সম্পর্কের ভাঙন নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে চর্চা চলছে...
উ: সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া, কোথাও আমি কোনও দিন আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করিনি। তারকাদের জীবন সব সময়েই লোকচক্ষুর সামনে থাকে। তাঁদের কাজ, পারিবারিক জীবন নিয়ে সারাক্ষণ কাটাছেঁড়া চলে। তবে আমি কোনও দিন সেই আলোচনায় অংশ নিতে চাইনি। চাইবও না। এটা আমার একটা সচেতন সিদ্ধান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy