আয়ুশ কেমন আছেন?
সে খুবই একটা কনফিউজড স্টেট দিয়ে যাচ্ছে। কেন?... দ্য রিজন ইজ, ওই সার্টেন এজে আয়ুশের মধ্যে একটা চেঞ্জ আসছে। কিন্তু সে বুঝতে পারছে না কী কারণে এ রকম হচ্ছে। আয়ুশের মা পুজো ইত্যাদি রিচুয়ালস খুব মানেন। বাবাও বাধ্য হয়ে মানেন। কিন্তু এঁরা আয়ুশের আসল মা বাবা নন। তার আসল মা একজন ডাইনি। আয়ুশের দ্বিতীয় মা তার আসল মাকে মেরে ফেলেছিল। যদিও তিনি মরেননি, পাথর হয়ে গিয়েছিলেন। যে হেতু আয়ুশের মধ্যে হাফ উইচ ব্লাড আছে, ন্যাচারালি তার মধ্যে সুপার পাওয়ারস আছে। হাফ মানুষ, হাফ দানব হওয়ার জন্য আয়ুশকে ‘দানুষ’ বলা হয়।
আয়ুশ কি বিয়ে করেছে?
রিসেন্টলি আয়ুশের বিয়ে হয়েছে টিনার সঙ্গে। টিনা তার কলেজের বন্ধু। কিন্তু শি ইজ আলসো আ উইচ যাকে মায়া (সম্পূর্ণা লাহিড়ি) সেণ্ড করেছে আয়ুশকে জব্দ করার জন্য। কারণ মায়া ভাবছে টিনার সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেলে আয়ুশ পুরো নেগেটিভ ক্যারেক্টার হয়ে যাবে। কিন্তু বিয়ে হলেও আয়ুশ হুঁশে ছিল না, টিনার বশে ছিল, সে যা বলেছে পালন করেছে।
হিরোর কি হিরোইনের সঙ্গেই বিয়ে হল?
না। হিরোইন ঈশানী (দিয়া মুখোপাধ্যায়)।
তাহলে হিরো এখন কী করবে?
এখন... আয়ুশ রিয়ালাইজ করেছে টিনার দৈবিক চিহ্ন ফেক। টিনার চিহ্নটা অ্যাকচুয়ালি ট্যাটু। তো মা-ও সেটা জেনে গেছে। এখন দেখা যাক হিরোর কী হয় (হাসি)।
আরও পড়ুন, নুসরতের স্বামীর সঙ্গে ছবি শেয়ার করলেন মিমি!
‘নজর’ আপনার কত নম্বর কাজ?
এটা আমার ফিফথ সিরিয়াল। প্রথম ‘বোঝে না সে বোঝে না’। তার পর ‘ঠিক যেন লাভ স্টোরি’, তার পর ‘নাগলীলা’, তার পর ‘মায়ার বাঁধন’, তার পর এটা। থার্ড ও ফোর্থ সিরিয়ালে আমি লিড ক্যারেক্টার ছিলাম। সো এটাই থার্ড লিড রোল। প্রপার লিড হিসেবে এটাকে সেকেণ্ড বলা যায়।
সিরিয়ালে আসার আগে...
আমার যখন ন’বছর বয়স তখন পাড়ার পুজোয় সুকুমার রায়ের ‘অবাক জলপান’-এ অভিনয় করি। দু’তিন মাস ধরে প্রিপারেশন নেওয়া হয়েছিল। খুব এনজয় করেছিলাম। স্টেজে ওঠার আগে খুব ভয় ছিল যে সব ঠিকঠাক হবে কি না। কিন্তু যখন স্টার্ট হল একটা সুন্দর ফ্লো-তে নাটকটা শেষ হয়। শেষ হওয়ার পর আমি যে অ্যাপ্রিশিয়েশন পেয়েছিলাম দ্যাট মেন্ট আ ওয়ার্ল্ড টু মি। তখন থেকেই ডিসাইডেড যে ইফ আই ওয়ান্ট টু ডু সামথিং সেটা অভিনয়ই হবে। পরে ক্লাস টুয়েলভের পর মডেলিং শুরু করি পকেট মানির জন্য। তো সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মডেলিং-এর ছবি দেখেই আমাকে অডিশনে ডাকা হয়। দেন আই গট আ ব্রেক।
আপনার পড়াশোনার বিষয় কী?
মাসকম। অভিনয়ের জন্য রেগুলার কোর্সে অ্যাটেন্ডেন্সের প্রবলেম। ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে কমপ্লিট করেছি।
‘চার বছর সিরিয়াল করছি। সিরিয়ালের একটাই ব্যাপার হচ্ছে, ইটস ডে টু ডে থিং, ইটস আ ভেরি হেকটিক প্রসেস।’
ধারাবাহিকে অভিনয় করে কী মনে হচ্ছে?
চার বছর সিরিয়াল করছি। সিরিয়ালের একটাই ব্যাপার হচ্ছে, ইটস ডে টু ডে থিং, ইটস আ ভেরি হেকটিক প্রসেস। তো কী হয়, যে কোনও ক্রিয়েটিভ জিনিসে সময় লাগে... পেন্টিং হোক, সিঙ্গিং হোক, অ্যাক্টিং হোক... এনিথিং। ব্যাপার হচ্ছে সময়টা এখানে খুব রেস্ট্রিকটেড... মানে উই হ্যাভ টু রাশ। নাটকে যেমন অনেকদিন ধরে রিহার্সাল হয়, প্রিপারেশন হয়... ডায়ালগ একদম আমাদের ঠোঁটের কাছে থাকে। তো নাটকে ডায়ালগ নিয়ে ভাবতে হয় না, পজিশন নিয়ে ভাবতে হয় না... পুরো ব্যাপারটাই রিহার্সড। কিন্তু সিরিয়ালে সকালবেলা সিন দিল... চার, পাঁচটা... সেটা এখনই আমাকে মুখস্থ করে সারাদিন পারফর্ম করতে হবে। আমি যে ভাবব, চরিত্রটা ইমাজিন করব সেটা হয় না... পুরোটাতেই একটা তাড়া থাকে শেষ করার।
চরিত্র নিয়ে ভাবার সময় থাকে না?
ভাবার সময় বলতে... ফোর ইয়ার্স ধরে এ রকম ভাবে ট্রেন্ড হয়ে গেছি। কিন্তু অবভিয়াসলি ইফ আই গেট মোর টাইম আই উইল পারফর্ম টেন টাইমস বেটার। সো আই ওয়ান্ট টু ডু মুভিজ, ওয়েব সিরিজ আফটার দিস সিরিয়াল, হোপফুলি।
আরও পড়ুন, সেলসম্যান থেকে ফটো ল্যাবের কর্মী, পেট চালাতে কী না করেছেন ১৪ বছরে অনাথ হওয়া আরশাদ!
দর্শকদের রিঅ্যাকশন...
ভেরি ওয়েলকামিং অ্যান্ড ভেরি ওয়ার্মিং। এতটা আমি এক্সপেক্ট করিনি। কারণ এটা একটা হিন্দি সিরিয়ালের রিমেক। ভেবেছিলাম অনেকেই আগে সিরিয়ালটা দেখে ফেলেছেন। কিন্তু বাংলা ভার্সনটাকে যে ভাবে দর্শক অ্যাকসেপ্ট করেছে দ্যাট ইজ ভেরি... লাইক... ইন্সপায়ারিং।
টিন এজাররা...
এটা এমন একটা সিরিয়াল ঠিক যেমন ফ্যামিলি ড্রামায় দেখা যায় তেমন নয়... ‘টোয়াইলাইট’ ফিল্মের একটা ভাইবস্ এখানে আছে। এখানে অ্যাকশন আছে, ড্রামা আছে, হরর আছে, রোম্যান্স আছে... ইটস আ মিক্সচার, ইটস আ হোল ব্লক ব্লাস্টার প্যাকেজ। তো আমাকেও অন্যরকম ভাবে গাইড করছে, শেখাচ্ছে। মনোটোনাস নয়, আমার কাছে এক্সাইটিং।
হারনেস পরে বসে আছেন। কী করবেন আজ?
আমি এখন উড়ব, আমার সুপার পাওয়ার ইউজ করব (হাসি)। হার্মড হলে আমার চোখ দুটো জ্বলে ওঠে, আমার মধ্যে সুপার পাওয়ার এসে যায়। তখন যা খুশি করতে পারি। বাচ্চারা এটা খুব পছন্দ করে। একজন বাচ্চা আমাকে লিখেছে, ‘তুমি এ সব কী করছ? ডাইনি ফাইনি ছাড়, অনেক হয়েছে। তোমাকে ভুলভেরিন (‘এক্স মেন’) বা সুপারম্যানের ক্যারেক্টারে দেখতে চাই।’ (হাসি)।
আরও পড়ুন, দেখুন ‘শেষের গল্প’র এক্সক্লুসিভ টিজার
অ্যাকশন হিরো?
আমি এ রকম কোনও লেভেল চাই না। আই অ্যাম অ্যান অ্যাক্টর... আই শুড বি লাইক ওয়াটার... যে কোনও ভেসেলে ঢাললে যে ক্যারেক্টার যেরকম সেরকম যেন ফিট ইন হতে পারি।
তরুণী ফ্যানরা প্রোপোজ করছে?
(হাসি) করছে... দে আর ক্লোজ টু মাই হার্ট... বাট দে আর সেক্রেড টু মি অ্যান্ড আয়্যাম সিঙ্গল।
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy