Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
RG Kar Incident

আরজি কর-কাণ্ডের মতোই পরিচালক রাহুলের ছবিতে এক নির্যাতিতার গল্প, তাই কি শুটিং বাতিল?

আলোচনার পরেই নাকি ঠিক হয়, ছবিটি বন্ধ রাখা হোক। তার পরেই টলিউডে গুঞ্জন, কাকতালীয় ভাবে বাস্তব আর ছবির গল্প মিশে যেতেই নাকি এই সিদ্ধান্ত!

রাহুল মুখোপাধ্যায়।

রাহুল মুখোপাধ্যায়। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৪ ১৮:২০
Share: Save:

পরিচালক-টেকনিশিয়ানদের দ্বন্দ্ব। তাই নিয়ে টানটান উত্তেজনা। দফায় দফায় বৈঠক, প্রতিবাদ-পাল্টা প্রতিবাদ, মিছিল। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় সমস্যার সমাধান। পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় ফের তাঁর পরিচালকের কুর্সি ফিরে পান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ৫ অগস্ট থেকে প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতার পুজোর ছবির শুটিংও শুরু হয়। কথা ছিল, ১৬ অগস্ট থেকে নিয়মিত শুটিং শুরু হবে। তার পরেই অজানা কারণে নির্দিষ্ট দিনের শুটিং বন্ধ। রবিবার সূত্রের খবর, প্রযোজনা সংস্থা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিয়েই নাকি ছবিটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই খবর ছড়াতেই টলিউডের অন্দরে প্রশ্ন, আরজি কর-কাণ্ডের মতোই পরিচালক রাহুলের ছবির কেন্দ্রেও এক ধর্ষিতার গল্প, তাই কি শুটিং বাতিল? বিষয়টি জানতে আনন্দবাজার অনলাইন এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল। কথা বলার চেষ্টা করেছিল পরিচালকের সঙ্গেও। কেউ সাড়া দেননি।

রাহুলের ছবিটি দক্ষিণী ছবি ‘গরুড়ন’-এর বাংলা রূপান্তর। ছবির কেন্দ্রে কলেজের এক ছাত্রীর ধর্ষণ, তার কোমায় চলে যাওয়ার ঘটনা। এই অপরাধকে ঘিরে অপরাধীর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য নানা কার্যকলাপ এবং প্রশাসনের ভূমিকা দেখানো হয়েছে। কাকতালীয় ভাবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে। এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন হয়েছেন। যা নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল। প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও। প্রত্যেক দিন শহরের সাধারণ নাগরিক থেকে খ্যাতনামীরা পথে নামছেন, মিছিলে হাঁটছেন। পুজোয় পর্দায় বাস্তব-কল্পনা একাকার হয়ে গেলে আগুনে নতুন করে ঘি পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। এমনই চর্চা চলছে টলিপাড়ায়। সম্ভবত এই আশঙ্কার কথা চিন্তা করেই ছবিটি না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

যদিও আরও একটি সম্ভাবনা একই সঙ্গে চর্চিত। নানা কারণে শুটিং পিছনোর পরে পরিচালকের হাতে এখন ৪৫ দিনেরও কম সময়। এর মধ্যে শুটিং, এডিটিং, ডাবিং, আবহসঙ্গীত, গান, কালার কারেকশন, সাউন্ড মিক্সিং, সেন্সরের ছাড়পত্র এনে ছবিমুক্তি প্রায় অসম্ভব। উল্লেখ্য, ১৬ অগস্ট প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে শুটিং শুরুহবে বলে কথা ছিল। এ-ও শোনা গিয়েছিল, হাসপাতালের এক গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য এ দিন ক্যামেরাবন্দি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE