সলমনের টানেই আমেরিকা থেকে মুম্বইয়ে আসেন সোমি আলি।
‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ দেখে ফ্লোরিডা থেকে ছুটে এসেছিলেন মুম্বইয়ে। ছবির নায়ক সলমন খানকে বিয়ে করতে চেয়ে ১৬ বছরের কিশোরীর ভারতে আসা বিফলে যায়নি অবশ্য। ‘ভাইজান’-এর সঙ্গে আট বছরের প্রেম এবং বলিউডে নায়িকা হিসেবে সংক্ষিপ্ত ইনিংস পেরিয়ে ফিরে যান আমেরিকাতেই। সম্পর্ক ভাঙার দুঃখ বুকে নিয়ে মন দেন পড়াশোনায়। তার পরে সেখানেই একটি অলাভজনক সংস্থা খোলেন সোমি আলি। উদ্দেশ্য, গার্হস্থ্য হিংসার শিকার মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া।
জন্মসূত্রে পাকিস্তানি সোমি-র পরিবার চলে গিয়েছিল ফ্লোরিডায়। বলিউডি ছবি দেখে মুম্বইয়ে পাড়ি দেওয়া মেয়ের নিজের জীবনটাও সিনেমার মতোই। সলমনের সঙ্গে প্রেম-বিয়ের স্বপ্ন দেখে ঘর ছেড়ে অচেনা দেশে। ভারতে এসে সোজা সলমনের শহর মুম্বইয়ে। এক বছরের মাথায় সোমির প্রেমে পড়েন সলমনও। তার পর আট বছরের মাথায় সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। ইতিমধ্যে কয়েকটি ছবিতেও কাজ করেছিলেন সোমি। কিন্তু সাফল্য আসেনি তাতেও। ফলে খালি হাতেই ফ্লোরিডায় ফিরে যান সলমনের ‘প্রাক্তন’। পড়াশোনা শেষ করে এর পরে সেখানেই গড়ে তোলেন এনজিও ‘নো মোর টিয়ার্স’।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোমি বলেন, “যে সম্পর্কে আনন্দ থাকে না, যে সম্পর্ক ভাল রাখে না, তা থেকে বেরিয়ে আলাদা হয়ে যাওয়াই শ্রেয়। তবে সলমনের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙলেও ওঁর থেকে, ওঁর পরিবারের থেকে অনেক কিছু শিখেছি আমি।” সলমনের উদার মনের কথা বারবারই বলেছেন একদা অভিনেত্রী। প্রাক্তন প্রেমিকার উদ্যোগে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সেই প্রমাণ দিয়েছেন পর্দার ‘প্রেম’ও। শোনা গিয়েছে, সোমির সংস্থা কাজ শুরু করার প্রথম দিকে টাকার জোগানে হিমশিম খাচ্ছিল। সেই সময়েই তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে এগিয়ে আসেন সলমন। সলমন ও তাঁর বন্ধুরা মিলে ওই এনজিও-র হাতে তুলে দেন দেড় লক্ষ ডলার! কৃতজ্ঞ সোমি পরে বলেন, সলমন ও তাঁর বন্ধুদের জন্যই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছে তাঁর সংস্থা। তার পর সাহায্যের হাত বাড়াতে পেরেছে নিজের বাড়িতেই বিপন্ন মহিলাদের দিকে। শোনা যায়, এক বার নয়, একাধিক বার সোমির এনজিও-কে সাহায্য করেছেন সলমন।
সোমির এখন ধ্যানজ্ঞান ফ্লোরিডার সেই এনজিও-ই। শুধু গার্হস্থ্য হিংসার শিকার মহিলারা নন, গোটা বিশ্বে সমকামী সমাজের জন্যও কাজ করে তাঁর সংস্থা। সাক্ষাৎকারে সলমনের প্রাক্তন প্রেমিকা বলেছেন, “আমি অবিবাহিত। তবে ‘নো মোর টিয়ার্স’-এর সঙ্গে সুখে সংসার করছি। আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার এনজিও-ই।” সোমির পরে একাধিক উথালপাথাল প্রেম করেছেন সলমন। তবে সোমি অবিবাহিতই রয়ে গিয়েছেন এখনও।
দু’জনের প্রেম থাকুক বা না থাকুক, বলিউডের ‘প্রেম’ যে তাঁর পাশেই আছেন, সোমিকে তা বিলক্ষণ বুঝিয়ে দিয়েছেন সলমন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy