শ্রীকান্ত, শ্রাবণী, অনুপম
২২ শ্রাবণ, রবি ঠাকুরের ৮১তম প্রয়াণ দিবস। বাঙালির এক আবেগের নাম রবীন্দ্রনাথ। তর্ক, বিতর্ক, প্রেম, বিরহ— সবকিছুতেই বাঙালি খোঁজে রবি ঠাকুরকে। সেই ঠাকুরকে নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। ভিন্ন মানুষের চোখে ঠাকুর ভিন্ন। আবার তাঁদের চর্চাও ভিন্ন। বর্তমানে রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়েও নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন অনেকেই। সেই চর্চা তকমা পাচ্ছে ‘কুরুচি’ এবং ‘বিকৃত’। এই আধুনিক সমাজের রবীন্দ্রযাপনকে কী ভাবে দেখেন শিল্পীরা?
শ্রীকান্ত আচার্য্য
‘‘রবীন্দ্রনাথকে ভালবাসেন, নিজের মতো করে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা করেন এমন মানুষ বহু আছে। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। গণতান্ত্রিক পৃথিবীতে কে, কী ভাবে মতপ্রকাশ করবেন, কোনটাকে ভাল বলবেন আর কোনটা বাড়াবাড়ি, সেটাও তাঁর ব্যক্তিস্বাধীনতা। তবে মানুষের শোনার কান রয়েছে, বোঝার বোধ রয়েছে। আমি যদি রবীন্দ্রনাথকে সত্যিই ভালবাসি, যখন গাইব, চাইব সেই ভালবাসা, ধ্যান যেন গানে প্রকাশ পায়।’’
শ্রাবণী সেন
গানের কথা, সুর পাল্টে গেলে মোটেই ভাল লাগে না। সবকিছু একটু পরিমিত হলে ভাল হয়। রবি ঠাকুর আমাদের প্রাণের। ছোটবেলা থেকে তাঁকে নিয়েই বেড়ে ওঠা। আমার সেই ঠাকুরের সৃষ্টিকে বিকৃত করা হলে ভাল লাগে না।
অনুপম রায়
শুধু রবীন্দ্র সঙ্গীত নয়, বহু পুরনো গান আবার করে রেকর্ড হয়। সেগুলো পরিবর্তিত হতে হতে রেকর্ড হয়। এক্সপেরিমেন্ট বন্ধ হয়ে গেলে কোনও কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। আর বিকৃতি? তা প্রত্যেকের রুচির উপর নির্ভর করে। কারও কানে তা ভাল লাগে, কারও ভাল লাগে না। এর মধ্যে থেকেই নতুন ভাল কিছু নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy