সপ্তর্ষি কি জাদু জানেন?
সম্পর্ক গড়তে ভয় ছিল। আর বিয়ে তো নৈব নৈব চ! তবু সপ্তর্ষি মৌলিককে বিয়ে করে ফেলেছেন সোহিনী সেনগুপ্ত। তা-ও আবার মোটে তিন মাসের আলাপে! কী করে? কী দেখেছিলেন তিনি সপ্তর্ষির মধ্যে? আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানা কথা’য় এসে সম্পাদকের প্রশ্নের মুখে অভিনেত্রী।
উত্তরে হাজার হাজার দর্শকের মন কেড়ে নিলেন নান্দীকারের নাট্যপরিচালক। জানালেন, বন্ধুদের তো মুখের উপর বলে দেওয়া যায়, “আজ তোকে দেখতে ইচ্ছে করছে না, সামনে থেকে সরে যা।” কিন্তু কাউকে বিয়ে করলে তো ২৪ ঘণ্টা, ৩৬৫ দিন সহ্য করতে হবে! সেটা একেবারেই পারবেন বলে ভাবেননি শুরুতে। যদিও সপ্তর্ষির ক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম। নয় বছর হয়ে গেল সুখী দাম্পত্য উপভোগ করছেন জুটিতে।
সম্পাদক রসিক প্রশ্ন করেন, “তবে কি সপ্তর্ষি রোজ চেহারা বদল করেন?” সোহিনীর সহাস্য জবাব, “একদমই। ওর ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি হয়নি। আমাকে একেবারেই বিরক্ত করে না সপ্তর্ষি। আমাকে সব রকম স্বাধীনতা দেয়। আমি যখন বই পড়তে চাই, আমাকে আমার মতো ছেড়ে দেয়। যে দিন রান্না করতে চাই, করতে দেয়। ভীষণ সহজ-সরল, ভাল মানুষ ও, এক জন পারফর্মারের পক্ষে ওর সঙ্গে থাকা খুব সুবিধেজনক। এটা এখনও চলছে, আশা করি আরও কিছু দিন চলবে।”
সোহিনী জানান, সপ্তর্ষি তাঁর কথার প্রেমে পড়েছিলেন। দু’জনের মধ্যে অনন্ত কথার সমুদ্র। যা কখনওই ফুরোয় না। আর সপ্তর্ষি মুখের উপর সোজাসাপ্টা কথা বলেন। নির্মম সত্যিও বলতে দ্বিধা করেন না তিনি, যা সোহিনীর জীবনেও ওষুধের মতো কাজ করে।
স্বাতীলেখা-কন্যা সপ্তর্ষির মতো এক জন মানুষেরই অপেক্ষায় ছিলেন কি না জানতে চাইলে অভিনেত্রীর জবাব, “সপ্তর্ষি ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতাম না। একা থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমার ওর সঙ্গে সব কিছু ঠিক মনে হয়। আমাদের কথার শেষ নেই। পুরোদমে চলছে। একসঙ্গে নাটক লেখার স্বপ্ন থেকে শুরু করে পোষ্যপ্রেম, বিশ্বনিরীক্ষা— সবেতেই আমরা একসঙ্গে পা ফেলি।”
২০১২ সালে অভিনয়ের ইচ্ছে নিয়ে নান্দীকারের কর্মশালায় এসে পড়েছিলেন সপ্তর্ষি। তার পরই ভাল লেগে যায় সব কিছু। প্রেমে পড়েন রুদ্রপ্রসাদ-স্বাতীলেখার কন্যা সোহিনীর। সগর্বে সে কথা বলেও ফেলেন নাট্যগুরু রুদ্রপ্রসাদকে। জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়েকে বিয়ে করতে চান। আর রুদ্রপ্রসাদও তেমনই সহজ মানুষ। সোহিনীর কথায়, ‘লজিক্যাল’। তিনি নাকি সে দিন ছাত্রের সামনে গাম্ভীর্য বজায় রাখতে পাশের ঘরে গিয়ে খুব একচোট হেসে এসেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy