সেটে ঘটে যাওয়া অবাঞ্ছিত স্মৃতির কথা বললেন সোহিনী
খড়দহ থেকে কলকাতা। আক্ষরিক অর্থেই দীর্ঘ পথ পেরিয়েছেন তিনি। আর এই যাত্রাপথে কুৎসিত মানসিকতা, অবাঞ্ছিত স্পর্শ, সম্মতি লঙ্ঘনের মুখোমুখি হয়েছেন বারবার। আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভে সে সব অন্ধকার ঘটনাগুলির কথা বললেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার।
সোহিনীর জীবন ঠিক যেন রূপকথার মতো। গল্প শুরু হয় রাক্ষসদের আতঙ্কে। শেষ রাজপুত্র-রাজকন্যার প্রেমে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘আমার জীবনও সে ধারায় চলেছে। রাক্ষস-খোক্কসদের দিয়েই আমার জীবন শুরু। তার পর গল্পের মতোই রাজপুত্র এসে সোনার কাঠি রূপোর কাঠি ছুঁয়ে দিয়ে রাজকন্যাকে জ্যান্ত করে দেয়। শেষে তারা সুখে-শান্তিতে বাস করে।’’ ‘রূপকথা নয়’-এর নায়িকা আজ রাক্ষসদের শায়েস্তা করে এসেছেন। এখন তাঁর জীবনে কোনও খলনায়ক নেই।
নাম না করে এমনই এক রাক্ষসের গল্প বললেন সোহিনী। তখন তিনি ছোট। সবে মাত্র ধারাবাহিকে কাজ শুরু করেছেন। সেখানেই এক ব্যক্তি অনুমতি ছাড়া তাঁকে স্পর্শ করার চেষ্টা করতেন। সোহিনী তাঁকে ধারে কাছে ঘেঁষতে দেননি। কিন্তু সেটে কাজ শুরু হতে না হতেই তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করতেন সেই ব্যক্তি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘আমি তখন খুবই ছোট। একাদশ কি দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ি তখন। মন দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু সে আমাকে প্রচণ্ড বকছে। আমি বুঝতে পারতাম না, কেন বকছে। ঠিক পর মুহূ্র্তেই সাজঘরে গিয়ে আমার সঙ্গে আন্তরিক হওয়ার চেষ্টা করত সে। যাতে আমি তার জালে খুব সহজেই ধরা দিই। কিন্তু তা দিইনি। ২০০৫-'০৬ সালের ঘটনার কথা বলছি আমি। সে সময় তো আর ফেসবুক ছিল না! তাই সবাইকে জানতে পারিনি। কিন্তু ধারাবাহিকের সেটে বয়সে বড় সহকর্মীরা আমাকে সাহায্য করেছিলেন।’’
‘অদ্বিতীয়া’ আজও সেই ঘটনার কথা ভুলতে পারেননি। ভোলেননি জীবনের সেই 'রাক্ষসদের'ও। তাঁর কথায়, ‘‘এই মানুষগুলিকে একটা সময়ের পরে আর ইন্ডাস্ট্রিতে দেখিনি। কারণ কাজ করার ক্ষমতা ছিল না তাদের মধ্যে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy