একেই বলে, ভাগ্যে থাকলে কুম্ভস্নান কে আটকাবে? কথা ছিল, চলতি মাসের গোড়ায় ইলাহাবাদ যাবেন ইমন চক্রবর্তী। সেখানে গান শোনাবেন, গঙ্গাস্নান সারবেন। সেই অনুযায়ী পোশাকশিল্পী অভিষেক রায় গায়িকার জন্য বিশেষ গেরুয়া শাড়ি ডিজ়াইন করেছিলেন। শাড়ির পাড়ে লেখা মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র। সঙ্গে মানানসই গয়না।
আরও পড়ুন:
ইমনের যাওয়ার আগেই তীর্থক্ষেত্রে ঘটে যায় পদপিষ্ট হওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনা। যার জেরে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখনকার মতো তীর্থযাত্রা বাতিল গায়িকারও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই স্বামী নীলাঞ্জন ঘোষ এবং নিজের গানের দল সঙ্গে নিয়ে মহাকুম্ভে যান ইমন। নীলাঞ্জন আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, পূর্বনির্ধারিত গানের অনুষ্ঠান ২০ দিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হল। নির্দিষ্ট সাজে সেজে ইমন একাধিক লোকগীতি, ভক্তিগীতি শুনিয়েছেন।
নীলাঞ্জনকে নিয়ে গঙ্গায় ডুব দিচ্ছেন ইমন, সেই মুহূর্ত গায়িকার সমাজমাধ্যমে সযত্নে রাখা। কী কী গাইলেন গায়িকা? প্রশ্ন ছিল নীলাঞ্জনের কাছে।
তাঁর কথায়, “বিভিন্ন রাজ্যের লোকগীতি, ভক্তিগীতি শুনিয়েছে। যেমন, বাংলার কীর্তন ‘গৌরাঙ্গ রাই’, পঞ্জাবি লোকগীতি ‘ছল্লা’, রাজস্থানি লোকগীতি ‘চৌধরী’। আর ছিল জনপ্রিয় ভজন। শ্রোতারা উপভোগ করেছেন ইমনের গান।” নদী থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অনুষ্ঠানের মঞ্চ বাঁধা। সেখানেই শিল্পীদের জমায়েত। জলের স্রোতের মতোই দর্শনার্থীর আনাগোনা। পুণ্যার্জনের পাশাপাশি জনপ্রিয় শিল্পীর গান শোনা তাঁদের কাছে উপরি পাওনা। সব মিলিয়ে জমজমাট। শুক্রবার কলকাতা ফিরেছেন শিল্পী দম্পতি।
পুণ্য কতটা হল? প্রয়াগের পরিবেশ কেমন? নীলাঞ্জনের মতে, “যাঁরা হাঁটতে ভালবাসেন তাঁদের কাছে কোনও সমস্যা নয়। মেলায় কোটি কোটি লোক আসছেন। ফলে, জল বা রাস্তাঘাট যতটা পরিষ্কার রাখা সম্ভব ততটাই রাখা হচ্ছে। রাতে প্রচুর আলোর ব্যবস্থা। ফলে, সমস্যায় পড়তে হয়নি।” একটু থেমে যোগ করেছেন, “পুণ্যে আমার ততটাও বিশ্বাস নেই। প্রথম এলাম। সেই হিসাবে অভিজ্ঞতা খুব খারাপ নয়। এই এক জায়গায় সাধারণ-সেলেব একাকার। দেখে ভাল লাগল।”