Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Anindya Chatterjee Divorce

টলিপাড়ায় বিচ্ছেদের খবর, বিয়ে ভাঙছে ‘চন্দ্রবিন্দু’র অনিন্দ্যের, জানালেন স্ত্রী মধুজাই

উত্তাল কলকাতা। বাইপাসে ধুন্ধুমার। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় গানে গানে নিজেদের বিবাহবিচ্ছেদের কথা সমাজমাধ্যমে জানালেন গায়কের অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়।

(বাঁ দিকে) অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে) মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়।

(বাঁ দিকে) অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে) মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৪ ১৯:১২
Share: Save:

প্রায় ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবন গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ বার ভাঙছে সেই বিয়ে। এমনিতেই উত্তাল পরিস্থিতি রাজ্য রাজনীতিতে। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ পথে নেমেছেন শিল্পী থেকে সাধারণ মানুষ। এমনিই এক রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথের গানে নিজেদের বিবাহবিচ্ছেদের কথা সমাজমাধ্যমে জানালেন গায়কের স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দু’জনেই শিল্পী, একজন গায়ক। তাঁর স্ত্রী মধুজা ছবি আঁকেন, লেখালিখি করেন। পাশাপাশি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে উচ্চপদে কর্মরতা। মাঝখানে ‘জুজু’মণি (অনিন্দ্য-মধুজার পুত্র জুজু)। চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের একটি বিখ্যাত গান ‘জুজু সোনা’ তাঁদের ছেলের জন্মের আগের। বিচ্ছেদ ঘোষণার ক্ষেত্রেও মধুজার কণ্ঠে জুজুর কথা। তিনি জানান, তাঁদের বিয়ের বিচ্ছেদ হলেও জুজুর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়নি। মধুজা রবি ঠাকুরের গানকে সম্বল করেই লিখেছেন, ‘‘মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে, উধাও মনের আহা উধাও মনের পাখা মেলবি আয়।’’

গুঞ্জনটা বেশ কয়েক মাস ধরেই শোনা যাচ্ছিল, ঘর ভাঙতে চলেছে গায়ক অনিন্দ্যের। যদিও প্রকাশ্যে তিনি কখনও এই নিয়ে মন্তব্য করেননি। গায়কের স্ত্রী বেশ কয়েক বছর ধরেই কলকাতা থেকে দূরে, মুম্বইয়ে থাকতে শুরু করেন। তবু এ সবের মাঝে একসঙ্গে ঘুরতেও গিয়েছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আইনি বিচ্ছেদের পথেই এগোলেন দম্পতি। গায়কের স্ত্রী মধুজা লেখেন, ‘‘অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটোদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে বাইরে সমান তালে দীর্ঘ চোদ্দো বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ এ জুজুকে নিয়ে মুম্বই এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা। লেখালেখি ফিরিয়ে দিল, ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম— বিয়ে মানে ফুল, আলো, যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য। জানি, অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে— বন্ধুত্বের হয়তো না। আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!’’ এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত বিবাহবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে অনিন্দ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy