ঐন্দ্রিলার জন্মদিনে পরিবারের সদস্যরা কী ভাবে কাটাচ্ছেন? —ফাইল চিত্র।
তিনি বেঁচে থাকলে ৫ ফেব্রুয়ারি ২৫ বছরে পা দিতেন। রবিবার অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার জন্মদিন। ক্যানসার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে গত বছর ২০ নভেম্বর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ঐন্দ্রিলার চলে যাওয়ার পর এই তাঁর প্রথম জন্মদিন। ছোট মেয়ের জন্মদিন, কিন্তু সে-ই যে নেই! শনিবার রাত থেকে তাই দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা। তিনি নিজেও অসুস্থ। ধরা পড়েছে ক্যানসার। হয়েছে অস্ত্রোপচার। চলছে কেমো। এক দিকে শারীরিক অসুস্থতা। অন্য দিকে মেয়েকে হারানোর যন্ত্রণা। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন ঐন্দ্রিলার মা।
শিখা বললেন, “২৫ বছর আগে এ দিন সকাল ৭টা ৩৪-এ আমার মিষ্টি জন্মেছিল। ফুটফুটে সুন্দর দেখতে। কী ফর্সা। আমার সেই ছোট্ট মিষ্টিটাকে নিজের কাছে রাখতে পারলাম না। শনিবার রাত থেকে ঘুমোতে পারছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। ওর জন্মদিনে নিজের হাতে মিষ্টির পছন্দের রান্না করতাম। পাঁচ রকম ভাজা, মাছ, মাংস। ও আবার চিংড়ির মালাইকারি খেতে খুব ভালবাসত।”
কলকাতার বাড়িতে এই বিশেষ দিনে সম্পূর্ণ একা ঐন্দ্রিলার মা। স্বামী কর্মসূত্রে শহরের বাইরে রয়েছেন। বড় মেয়ে দিল্লিতে। তাই ছোট মেয়ের জন্মদিনে বার বার তাঁর স্মৃতিই ভিড় করে আসছে শিখার মনে। এখন তাঁর একমাত্র সম্বল বড় মেয়ে আর সব্যসাচী। হ্যাঁ, ঐন্দ্রিলার সবটা জুড়েই তো ছিলেন সব্যসাচী। অভিনেত্রীর মায়ের কথায়, “হ্যাঁ, আজ (রবিবার) হয়তো সব্যসাচী আসত। কিন্তু আমায় ফোন করেছিল সব্যসাচী। শনিবার থেকে ওর ধুম জ্বর। ১০৩ জ্বর উঠে গিয়েছে প্রায়। তাই আমায় বলল আসতে পারছি না। নিশ্চয়ই আজ ডাক্তার দেখাবে।”
এখানেই থেমে থাকলেন না শিখা। প্রায় ধরে আসা কণ্ঠে তিনি বলে চললেন, “আমি তো ভগবানের কাছে সুস্থ সন্তান চেয়েছিলাম। দীর্ঘায়ু চাইনি বলে কি আমার সঙ্গে এমনটা হল? কিন্তু আমার বাচ্চাটা তো সেই ১৫ বছর বয়স থেকে অসুস্থ ছিল। আজ ছোট্ট মিষ্টিকে ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছি না। সবটাই আমার জীবনে স্মৃতি হয়ে রয়ে গেল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy