পুলিশের হেফাজতে রয়েছে উৎসব। গোপনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে মুখোপাধ্যায় বাড়ির বউ জগদ্ধাত্রী মুখোপাধ্যায়। এরই মধ্যে স্বয়ম্ভূ আর জগদ্ধাত্রীর মধ্যে তৈরি হচ্ছে দুরত্ব? ‘জগদ্ধাত্রী’ সিরিয়ালে টান টান উত্তেজনা। ক্যামেরার সামনে যতটা উত্তেজনা, ক্যামেরার পিছনেও কি উত্তেজনা এতটাই? দর্শকমনের এই কৌতূহল মেটাতেই আনন্দবাজার অনলাইন হাজির হয়েছিল ‘জগদ্ধাত্রী’র সেটে। শহর ছাড়িয়ে অনেকটা দূরেই হয় ‘জগদ্ধাত্রী’র শুটিং। একটাই ফ্লোর, তাই বলা যেতে পারে পুরো স্টুডিয়োয় শুধুই জগদ্ধাত্রী আর স্বয়ম্ভূদের রাজত্ব। দুপুরে তখন লাঞ্চের বিরতি। সকাল সকাল সব দৃশ্য শেষ হয়ে গিয়েছিল স্বয়ম্ভূ ওরফে সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়ের।

ক্যামেরার সামনে যতটা উত্তেজনা, ক্যামেরার পিছনেও কি উত্তেজনা এতটাই? দর্শকমনের এই কৌতূহল মেটাতেই আনন্দবাজার অনলাইন হাজির হয়েছিল ‘জগদ্ধাত্রী’র সেটে। — নিজস্ব চিত্র।
তবে জগদ্ধাত্রীর শট তখনও বাকি। ক্যামেরায় যতটা উত্তেজনা চলে, লেন্সের বাইরে কিন্তু উত্তেজনার লেশমাত্র নেই। উল্টে, শট বন্ধ হতেই একে অপরের সঙ্গে খুনসুটিতেই ব্যস্ত। জগদ্ধাত্রী ওরফে অঙ্কিতা বললেন, “না না টেলিভিশনে দর্শক যেমনটা দেখতে পান। আদতে কিন্তু আমাদের সম্পর্ক পুরো টক ঝাল মিষ্টি। শট কাটলেই শুরু হয়ে যায় ঝগড়া। আজ তা-ও শুটিংয়ে সদস্য কম। আমার ঘর ভর্তি থাকে। পাশের ঘরে রূপসাদি, ত্বরিতাদিরা থাকে।” কখনও একসঙ্গে রিল, কখনও আবার একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া এই ভাবেই অনেকটা সময় কাটে। ‘উৎসব’ ধরা পড়ে যাওয়ায় যদিও এখন খুবই চিন্তিত পরিবারে সবাই। পর্দায় একে অন্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ঠিকই। কিন্তু ক্যামেরা কাট হতেই একজোট ‘বাচ্চা পার্টি’। অঙ্কিতার কথায়, “আমি সৌম্যদীপ এত ঝগড়া করি, এক দিন তো তাই জন্য রিল করতে গিয়েই আমাদের কত বার কাট করতে হয়েছে। সবাই আমাদের দেখে হাসে।” রিল আর ঝগড়া নয়, খাওয়াদাওয়াও জমিয়ে হয় সেটে। সেই কথাও ফাঁস করলেন অঙ্কিতা।
আরও পড়ুন:
তাঁর বক্তব্য, “তাপসীদি অর্থাৎ সিরিয়ালে আমার কাকিশাশুড়ি যিনি আর আমার শাশুড়ি অর্থাৎ মৌমিতাদি আর আমি এই ঘরেই বসি। তাপসীদির মেকআপ ব্যাগের থেকে বড় হয় ওঁর খাবার ব্যাগ। প্রতি দিন আমাদের ভূরিভোজ যা চলে বাইরে থেকে কেউ দেখলে অবাক হয়ে যাবে। আমি খুব খুশি এমন পরিবার পেয়ে।” নতুন পরিবারের কথা বলতে বলতেই সিন হাজির হয়ে গেল । কালো শার্ট, ট্রাউজ়ার আর হাতে পিস্তল। লুক ঠিক করতে করতেই অঙ্কিতা বললেন, “ব্যস, আর আমি অঙ্কিতা নই, এ বার জগদ্ধাত্রী, চললাম উৎসবের মুখোশ খুলতে।”