‘ইমার্জেন্সি’ ছবিতে কঙ্গনার লুক। ছবি: সংগৃহীত।
আগামী মাসে মুক্তি পাবে কঙ্গনা রানাউত অভিনীত এবং পরিচালিত ছবি ‘ইমার্জেন্সি’। ছবিতে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। ছবির ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই শিখ সমাজে আপত্তি ওঠে। এ বার এই ছবির মুক্তি আটকানোর দাবিতে সেন্সর বোর্ডে (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন) অনুরোধ জানাল শিরোমণি অকালি দল।
অকালি দল মনে করছে, ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তি পেলে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। সংগঠনের দিল্লি শাখার সভাপতি পরমজিৎ সিংহ স্বর্ণের কথায়, “ছবির ট্রেলারে বিকৃত ঐতিহাসিক তথ্য দেখানো হয়েছে। যা শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষে শুধু অবমানকরই নয়, একই সঙ্গে ঘৃণা ছড়াচ্ছে।” তাঁর মতে, এই ধরনের ভুল তথ্য পঞ্জাবের সামাজিক জীবন সম্পর্কেও দর্শকের কাছে নেতিবাচক মনোভাব ছড়িয়ে দেবে।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশে ‘জরুরি অবস্থা’ জারি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা। পরবর্তী দু’বছরে দেশের নাগরিক অধিকার খর্ব করা হয় বলে অভিযোগ। পরমজিতের কথায়, “এই ছবি যে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যাহত করতে পারে, তা অনুমান করেই আমরা সেন্সর বোর্ডের কাছে ছবি মুক্তির রদের আবেদন জানিয়েছি।” পরমজিতের মতে, বাক্স্বাধীনতা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারের মধ্যে একটি প্রাচীর থাকা প্রয়োজন। তবে এই প্রসঙ্গে সেন্সর বোর্ড এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ দেয়নি।
সম্প্রতি কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, ‘ইমার্জেন্সি’র ট্রেলার প্রকাশের পর থেকে তিনি প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন। এই মর্মে ইতিমধ্যেই কঙ্গনা মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের প্রশাসনের কাছে তাঁর বাড়তি নিরাপত্তার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর মতে, প্রচারে বেরিয়ে যে কোনও সময় তিনি হামলার মুখোমুখি হতে পারেন, এমনই হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তাই তিনি বাড়তি নিরাপত্তা চেয়েছেন।
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে হিমাচলপ্রদেশের মন্ডী কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছেন কঙ্গনা। তার পর এই প্রথম তাঁর কোনও ছবি মুক্তি পেতে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy