তরুণ মজুমদারের হাত ধরেই আমার সাফল্য এসেছিল। তখন তরুণ মজুমদার ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জুটি জনপ্রিয়। হেমন্তদা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। গাইতে কষ্ট হচ্ছিল।
‘ভালবাসা ভালবাসা’ ছবির জন্য দরকার ছিল এক জন নতুন গায়কের, যার গায়কির সঙ্গে হেমন্তদার মিল থাকবে। ছবির শ্যুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে, গান রেকর্ড হয়নি। হেমন্তদা ডেকে পাঠালেন ওঁর বাড়িতে।
‘হার মানা হার’ রেকর্ড করে পাঠালাম। গান শুনে তরুণদা ডেকে পাঠালেন। হেমন্তদার বাড়িতেই ওঁর সঙ্গে দেখা। ১৯৮৪ থেকে শুরু। তার পর থেকে ওঁর একটি ছবি ছাড়া আর সব ছবিতেই আমি গান গেয়েছি। গান-পাগল মানুষ ছিলেন। ছবিতে গান না থাকলে তাঁর মন ভরত না। তিনি গানের জন্য দৃশ্য তৈরি করতেন। বাংলা ছবিতে গান নিয়ে এ ভাবে আর কেউ ভেবেছেন বলে আমার জানা নেই।
ওঁর ছবির গানই আমাকে জনপ্রিয়তা দিয়েছিল, এ কথা আমি কোনও দিনও ভুলতে পারব না। শুধু গায়ক হিসাবেই নয়, সঙ্গীত পরিচালক হিসাবেও আমার জনপ্রিয়তা ওঁর হাত ধরেই। অনেকেই ভাবতেন, আমি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে অনুকরণ করি। একমাত্র তনুদা বলেছিলেন, 'তোমার গায়কিতে নিজস্বতা আছে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy