বাবার সঙ্গে শেহনাজ।
বন্দুক ঠেকিয়ে বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডকে ধর্ষণ করেছেন বিগবস খ্যাত শেহনাজের গিলের বাবা সুখ প্রধান— এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই বৃহস্পতিবার থেকে উত্তাল ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। অভিযোগকারিণী মহিলা পঞ্জাবের বিয়াস থানায় সুখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পলাতক সুখ।
কিন্তু পঞ্জাবের এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুক্রবার সুখ দাবি করেন পালিয়ে তো তিনিই জানইনি। বরং কাল গোটা দিন তাঁর পঞ্জাবের বাড়িতেই ছিলেন। সুখের কথায়, “আমার বাড়ি পুরোটাই সিসিটিভির আওতায়। প্রয়োজনে প্রমাণ দিতে আমি রাজি।” তিনি আরও যোগ করেন, “যে মহিলা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি বিবাহবিচ্ছিনা এবং তাঁর এক সন্তান রয়েছে। লাকি(মহিলার প্রেমিক এবং সুখের বন্ধু)কে বিয়ে করার জন্য অনেক দিন ধরেই চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয়। লাকি আমারও বন্ধু। তাই আমি ওঁদের দু’জনকেই বলেছিলাম ব্যাপারটা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যে”।
ও দিকে 'স্পটবয়' ম্যাগাজিনকে সুখের ছেলে শেহবাজ বলেন, “আমার বাবার নামে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। হ্যাঁ, এই মিথ্যে অভিযোগে আমার পরিবার নিঃসন্দেহে বিপর্যস্ত। কিন্তু বাবাকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য আমাদের কাছে উপযুক্ত প্রমাণও রয়েছে।”
কী অভিযোগ রয়েছে সুখের বিরুদ্ধে? বছর চল্লিশের অভিযোগকারিণী ওই মহিলার বয়ান অনুযায়ী, দিন কয়েক আগে বয়ফ্রেন্ড রণধীর সিংহ সিধু ওরফে লাকির সঙ্গে বিস্তর ঝামেলা হয় তাঁর। রণধীর শেহনাজের বাবা সুখ প্রধানের বন্ধু। ঝামেলার পর লাকি সুখের বাড়ি চলে যান। এ দিকে ওই মহিলার কাছেও সে খবর যায়। ঝগড়া মেটানোর জন্য তিনি নিজের গাড়িতে সুখের বাড়ি পৌঁছন।
আরও পড়ুন- আয়ুষ্মান, তুমি সুজিতের চারটে ছবি করে নিজেকে ‘বস’ ভাবছ: অমিতাভ
সুখ বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কেন ঝগড়া হয়েছে, সে খবর বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য তিনি সেই মহিলাকে নিজের গাড়িতে বসিয়ে লং ড্রাইভে নিয়ে যেতে চান। আগে থেকে পরিচয় থাকায় রাজি হয়ে যান তিনি। কিছুটা যাওয়ার পর রোহি ব্রিজের কাছে আচমকাই মুখের সামনে বন্ধুক ঠেকিয়ে শেহনাজের বাবা তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলা। মুখ খুললে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দেন বলে জানান অভিযোগকারিণী।
আরও পড়ুন- শেহনাজ গিলের বাবার বিরুদ্ধে বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ
ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে ভয় পেলেও পরে মুখ খোলেন তিনি। বিয়াস থানায় সুখের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান ওই মহিলা। শেহনাজের বাবার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে শেহনাজের দাদা এ ব্যাপারে মুখ খুললেও গোটা ঘটনায় এখনও কোনও মন্তব্য করেননি শেহনাজ গিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy