ইনি জ্যামি লিভার। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
এই যুবতীকে দেখুন ভাল করে। চিনতে পারছেন? চিনতে পারলে বা তাঁর গল্প জানলে ছবিটি আপনি আবার দেখবেন, নিশ্চিত!
ইনি জ্যামি লিভার। এঁকে না চিনলেও, এঁর বাবাকে চেনেন বিলক্ষণ। বলিউডের জনপ্রিয় কমেডিয়ান জনি লিভার জ্যামির বাবা। তরুণ বয়সের জনির সঙ্গে জ্যামির কোনও মিল পাচ্ছেন? এক বার জ্যামিকে নাকি কেউ বলেছিলেন, ‘সুন্দর দেখতে।’ হিন্দুস্থান টাইমসকে জ্যামি জানিয়েছেন, ওই মন্তব্য শুনে তিনি হেসে বলেছিলেন, ‘‘আমাকে সুন্দর দেখতে? এমন কমপ্লিমেন্ট তো আমি পাই না। আমাকে লোকে বলে তুমি ফানি। অদ্ভুত সব মুখভঙ্গি করো। কেউ তো বলে না, তুমি সুন্দর!’’
আরও পড়ুন, ঐশ্বর্যা-আরাধ্যাকে এই রূপে আগে দেখেছেন?
বাবার মতো কি কমেডিই পছন্দ তাঁর? জ্যামির উত্তর, ‘‘সাধারণত দর্শক আশা করেন কমেডিয়ান তাঁর চেহারা বা ওজন নিয়ে মজা করবেন। সেখানে শরীরটাই মূল কনটেন্ট। কিন্তু আমি সব সময়েই চেয়েছি, আমি যেটা বলছি সেটা শুনে দর্শক মজা পাবেন।’’
জ্যামি পেশাগত ভাবে একজন স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান। কিন্তু বাবার ছায়া তাঁর চিরসঙ্গী। তাঁকে বার বার চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেন জনি লিভার নামের এক ভদ্রলোক। তাঁর কমিক টাইমিং, ডায়লগ থ্রো, মুখভঙ্গির নানা বিভঙ্গ জ্যামির দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়। বাবার ছায়া থেকে কি বেরোতে পারবেন তিনি? পারবেন তাঁর জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে যেতে? কিন্তু তাতে দমে যাওয়ার পাত্র নন জ্যামি। বরং তাঁর আত্মবিশ্বাসী জবাব, ‘‘বাবা ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করেছেন। আমার মনে হয়, তাঁর দর্শকদের আনন্দ দেওয়াটা আমার কর্তব্য। পাশাপাশি নিজের জায়গাও তৈরি করতে চাই আমি।’’
আলাদা লুকে জ্যামি। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
বাবা কি চেয়েছিলেন মেয়েও একই পেশায় আসুক?
বছর উনত্রিশের জ্যামি জানিয়েছেন, বাবা হিসেবে জনি লিভার খুব কঠোর ছিলেন। তাঁর মা-ও সব সময় ফিল্মি দুনিয়া থেকে তাঁরে দূরে রাখতেন। স্নাতক, স্নাতকোত্তর শেষ করে জ্যামি ভাল চাকরি করবেন, এমনটাই ভেবেছিলেন জনি। তাঁকে মার্কেটিং কমিউনিকেশন নিয়ে পড়তে লন্ডনেও পাঠান। তবে জ্যামির রক্তে তো মিশে রয়েছে কমেডি। তাই সব কিছু থেকে পালিয়ে বাবার পথই বেছে নিয়েছেন মেয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy