করিনা-রণবীর। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্যতম নামী পরিবার কপূর পরিবার। ভারতীয় সিনেমায় কপূরদের অবদানও অনস্বীকার্য। পৃথ্বীরাজ কপূর থেকে শুরু। তার পর কপূর বংশ ভারতীয় সিনেমাকে উপহার দিয়েছে রাজ কপূর, শাম্মি কপূর, শশী কপূরের মতো তারকাদের। তার পরের প্রজন্ম সমৃদ্ধ হয়েছে ঋষি কপূরের মতো অভিনেতার প্রতিভায়। এই প্রজন্মের অন্যতম তারকা রণবীর কপূর, করিনা কপূররা। অভিনয়ে তাঁদের মেধা থাকলেও শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে কারও দৌড় দ্বাদশ শ্রেণির বেশি নয়। নিজের পরিবারের সদস্যদের এই আক্ষেপের কথা জনসমক্ষে বলেছিলেন রণবীর কপূর নিজেই। কপূর পরিবারের সেই দুর্নাম ঘোচালেন শাম্মি কপূরের ছেলে আদিত্য রাজ কপূর। ৬৭ বছর বয়সে স্নাতক হলেন আদিত্য।
বংশের ধারা বজায় রাখতে এক সময় বলিউডেই পা রেখেছিলেন আদিত্য। তবে তাতে সাফল্য আসেনি। অভিনয় ছেড়ে অন্য পেশায় মন দিয়েছিলেন শাম্মি-পুত্র। তবে লেখাপড়া শেষ করে হওয়া ওঠেনি তখন। আদিত্যর কথায়, ‘‘ছোটবেলায় আমার কাছে লেখাপড়া করার সব রকম সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তার সদ্বব্যবহার করিনি। বহু বছর পর নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি। যখন আমি নিজের মনের ভিতরে একটা শূন্যতা অনুভব করলাম, তখনই বুঝলাম শিক্ষার গুরুত্ব কতটা। তার পরেই নতুন করে লেখাপড়া শুরু করি।’’ ৬১ বছর বয়সে দর্শন নিয়ে লেখাপড়া শুরু করেন আদিত্য। ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশন্যাল ওপেন ইউনিভার্সিটি (ইগনু) থেকে বিএ ডিগ্রিও অর্জন করেছেন তিনি। সমাজমাধ্যমের পাতায় স্নাতকের শংসাপত্র ধরে হাসিমুখে তোলা একটি ছবিও পোস্ট করেছেন শাম্মি-পুত্র।
৬১ বছর বয়সে এসে নতুন করে লেখাপড়া করার নেপথ্যে তাঁর সব থেকে বড় অনুপ্রেরণা তাঁর মেয়ে তুলসী, জানান আদিত্য। অতিমারির জেরে মাঝে কয়েক বছর পরীক্ষা দিতে না পারলেও লেখাপড়া চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। প্রায় ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতক হয়েছে আদিত্য। তবে স্নাতক হয়েই থামতে চান না আদিত্য। এর পর স্নাতকোত্তর স্তরেও লেখাপড়া করার ইচ্ছা রয়েছে শাম্মি-পুত্রের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy