১১৫ কোটি টাকারও বেশি কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ শাকিরার বিরুদ্ধে।
কর ফাঁকির অভিযোগে আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি শাকিরা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১৫ কোটি টাকারও বেশি কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে কলোম্বিয়ার এই তারকার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাকিরার আট বছরের জেল হতে পারে। পাশাপাশি ২.৩৫ কোটি ডলারেরও বেশি জরিমানা দিতে হতে পারে শাকিরাকে। সেই সঙ্গে হতে পারে আট বছরের কারাবাস।
যদিও দীর্ঘ পাঁচ বছর পর গানের অ্যালবাম মুক্তির সময় তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন ‘পপ সম্রাজ্ঞী’। শাকিরার মতে কর ফাঁকির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁকে অকারণে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি তুললেন।
এক প্রতিবেদন অনুসারে, এর আগেও আয়কর দফতর থেকে মিটমাট করে নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন শাকিরা। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে প্রায় ১২১ কোটিরও বেশি টাকার কর বাকি দেখানো হয়েছিল। স্পেনের গায়িকা জানিয়েছিলেন, তিনি সেই সময় দেশে ছিলেনই না! তাই কর দেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না।
যদিও আদালতের নথি অনুসারে, শাকিরা সেই সময়সীমার মধ্যে স্পেনেরই নাগরিক ছিলেন। কারণ তিনি ২০১২ সালে বার্সেলোনায় একটি বাড়ি কিনেছিলেন। কারাবাসের সময় ছাড়াও, তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার পর থেকে জরিমানা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
সম্প্রতি এক পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গায়িকা জানালেন, তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ আনার পর তিনি এ বার ‘নীতিগত ভাবে’ মামলা লড়বেন। শাকিরার যুক্তি, কর দেওয়ার মতো উপযুক্ত সময় তিনি দেশে কাটানইনি। বললেন, “বিশ্বজুড়ে আমার পেশাদার প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যস্ত ছিলাম...স্প্যানিশ সরকার আমার কাছে এক পয়সাও পায় না।”
গায়িকা জানান, তিনি শুরু থেকে স্বচ্ছ ভাবে কাজ করছেন। তাঁর কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার। সেগুলো আদালতের সামনে পেশ করবেন। আরও বলেন, “মামলা দায়ের করার আগেই আমার যা যা কর বাকি ছিল, তা সবই মিটিয়ে দিয়েছি।”
স্পেনের সরকারি আইনজীবীর তরফে দাবি করা হয়েছে যে, বার্সেলোনার ফুটবলার জেরার্ড পিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর ২০১১ সালে স্পেনে বসবাস শুরু করেন শাকিরা। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে স্পেনের সাধারণ নাগরিক ছিলেন শাকিরা। ২০১২ সালের মে মাসে বার্সেলোনায় বাড়ি কিনেছিলেন গায়িকা। শাকিরার তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাহামসের করদাতাদের তালিকায় ছিল তাঁর নাম।
তবে স্পেনের সরকারি আইনজীবীর তরফে শাকিরাকে কী চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা জানা যায়নি। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিনক্ষণও জানানো হয়নি।
কয়েক মাস আগেই বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন জেরার্ড পিকে ও শাকিরা। তাঁদের দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। বিচ্ছেদ ঘোষণার পরই শাকিরার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy