রাজু চেয়েছিলেন, তাঁকে বিদায় দেওয়া হবে হাসিমুখেই।
দেশে কৌতুকশিল্পের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন যারা, তাঁদের মধ্যে এক জন ছিলেন রাজু শ্রীবাস্তব। এত বছর ধরে মানুষকে হাসিয়েছেন। তাঁকে বিদায় দেওয়া হবে হাসিমুখেই, চেয়েছিলেন কৌতুকশিল্পী। তাঁর শেষকৃত্য কী ভাবে করলে ভাল হয়, রসিকতা করে আগেই বলে গিয়েছিলেন রাজু। সে কথা মনে করে হাসি-কান্নায় ভাসছেন তাঁর স্ত্রী শিখা শ্রীবাস্তব। দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি এখন একা। বুধবার স্বামীর মৃত্যুর খবর জানাতে তিনি কাঁদতে কাঁদতে ফোন করেছিলেন জনি লিভারকে। তিনিই ছিলেন রাজুর পরম আপন। রাজুর জীবনে অনুপ্রেরণা। জনি তাঁর প্রতিবেশীও বটে।
১৯৮৪ সাল। কানপুরের ছেলে রাজু ভাগ্যান্বেষণে মুম্বই এসেছিলেন। তার পর নিজের কাজ দিয়ে পরিচিতি তৈরি করেন। মানুষের মনে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছেন হাসি-মজায়। তার পর কী থেকে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছে না পরিবার। ৪০ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হার মেনেছেন ‘গজধর ভাইয়া’। কবি কিষাণ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁর পরিবারের পাশে ছিলেন গোটা সময়টা। তবে রাজুই ছিলেন পরিবারের এক মাত্র রোজগেরে সদস্য।
স্ত্রীকে বলেছিলেন, “মৃত্যুর পর আমার শেষকৃত্য যদি করতেই হয়, তবে আনন্দ করে কোরো। আমি চাই, আমার কাছের মানুষরা সব সময় মজা করবে। জীবনের প্রতিটি দিন উদ্যাপনে মেতে থাকবে। আমার মৃত্যুর পর কেউ যেন শোক না করে।”
পরিবার যদিও হাসতে পারছে না। জনি জানান, ফোনে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন শিখা।
গত ১০ অগস্ট, ট্রেডমিলে ছুটতে ছুটতে পড়ে গিয়েছিলেন রাজু। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অবস্থার অবনতি হলেও পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছিলেন। পরে ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবার ভেন্টিলেশনে রাখা হয় রাজুকে। দিল্লির এমসে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy