শুটিংয়ের মাঝে বন্দুকের নলের সামনে শাহরুখ! কোনও ছবির দৃশ্য নয়, একেবারে বাস্তব ঘটনা। ‘কভি হাঁ কভি না’ ছবির শুটিং ফ্লোরের ঘটনা। সে সময়ই ‘দিওয়ানা’ ছবির শুটিংও চলছিল। সময় নিয়ে সমস্যার কারণেই ‘দিওয়ানা’ ছবির কলাকুশলীরা ‘কভি হাঁ কভি না’ ছবির সেটে পৌঁছে যান। শাহরুখের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে শাহরুখকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। কুন্দন শাহ একটি সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “শাহরুখের দু’টি ছবির তারিখ নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হিড় হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে গিয়েছিল শাহরুখকে। এটা বেশ মজার ছিল।”
পরিচালক কুন্দন শাহরুখের ভাল বন্ধু। তাই তারিখ নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে ‘কভি হাঁ কভি না’ ছবির জন্য রাজি হয়ে গিয়েছিলেন শাহরুখ। এমনকি তাঁদের কোনও চুক্তিপত্রও ছিল না। একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে দিয়েছিলেন শাহরুখ। চুক্তির সময় অগ্রিম পারিশ্রমিক বাবদ শাহরুখকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিলেন কুন্দন। শুটিং যখন শেষের দিকে, প্রবল আর্থিক অভাবের মুখে পড়ে ছবিটি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছোয় যে হাঁটু মুড়ে বসে কাঁদতে শুরু করেন শাহরুখ। কী ঘটেছিল?
তখন শুটিং শেষ হতে মাত্র পাঁচ দিন বাকি। যে স্টুডিয়োয় শুটিং হচ্ছিল সেখানে রিল শেষ হয়ে গিয়েছিল। এ দিকে বাজেটে টানাটানি, তাই প্রযোজক রিল কেনার টাকার জোগান দিতে পারছিলেন না। শাহরুখ তখন স্টুডিয়োয় উপস্থিত অন্য ইউনিটের লোকজনের কাছে রিলের জোগান দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু তখন মধ্যরাত, অধিকাংশ ইউনিট কাজ শেষ করে ফেলেছিল। কোনও রিল না পেয়ে বিভ্রান্ত হয়ে বসে পড়েন শাহরুখ এবং কাঁদতে শুরু করেন। পরে ছবির শুটিং শেষ হয় এবং দর্শকমনে জায়গাও করে নেয় ‘কভি হাঁ কভি না’।