ছোট থেকেই তাঁর লেখালেখির শখ ছিল। এ বার তিনি চিত্রনাট্য লেখার কাজে হাত দিলেন। ‘লকীড়’ এবং ‘সন্ধ্যা’ ছবির চিত্রনাট্য তিনি লিখেছিলেন। শাদাবের কথায়, তিনি লেখালেখির শখ পেয়েছিলেন তাঁর বাবার কাছ থেকে। প্রসঙ্গত হিন্দি সিনেমায় আসার আগে আমজাদও নাটক লিখতেন। ইচ্ছে ছিল সাংবাদিক হওয়ার। কিন্তু ঘটনাচক্রে তাঁর জীবনের মোড় পাল্টে যায়।
আমজাদ খান অভিনয় করেছেন শতাধিক ছবিতে। কিন্তু তাঁর ছেলে শাদাবের ছবি গুনতে বসলে হাতের দু’ আঙুলের করও পার হয় না। কেরিয়ার নিয়ে আক্ষেপ তো আছেই। তার থেকেও শাদাবের বেশি দুঃখ এই ভেবে যে বলিউডে আমজাদের মূল্যায়ন ঠিকমতো হয়নি। জন্মদিন বা মৃত্যুবার্ষিকীতে ইন্ডাস্ট্রির কেউ মনেও রাখেন না অভিনেতাকে, দুঃখ তাঁর ছেলের।
বর্তমানে বিভিন্ন কারণে ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে দূরে রাখেন আমজাদপুত্র। সপরিবার থাকেন মুম্বইয়ের এমন জায়গায়, যার নামকরণ হয়েছে তাঁর বাবার নামেই। বান্দ্রার সেই আমজাদ চকে শাদাব এবং তাঁর স্ত্রী রুমানার সঙ্গে থাকেন প্রয়াত আমজাদের স্ত্রী শেহলাও। শাদাবের ভাই সীমাব একজন ক্রিকেটার। পাশাপাশি, তিনি নাটকও প্রযোজনা করেন। তাঁদের বোন অহলামও যুক্ত নাটকের সঙ্গে। অহলম বিয়ে করেছেন অভিনেতা জাফর করাচিওয়ালাকে।
ইন্ডাস্ট্রিতে বার বার ফিরে আসার চেষ্টা করেছেন শাদাব। অভিনেতা হিসেবে ব্যর্থ হলেও তিনি চেষ্টা করেছেন লেখক এবং পরিচালক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার। ২০০৭ সালে ‘হাইওয়ে ২০৩’ এবং ২০১৯-এ ‘মিনি ব্যানার্জি ঘর মেঁ হ্যায়’ পরিচালনা করেন তিনি। কিন্তু দু’বারই সাফল্য অধরা থেকে যায় তাঁর কাছে। ছবি দু’টির কাহিনিকারও ছিলেন তিনি।
স্কুলের বন্ধুরা খুব ভয় পেত শাদাবের বাবাকে। এখনও সে কথা মনে পড়ে শাদাবের। কিন্তু একবার আলাপ হওয়ার পরই আমজাদের ভক্ত হয়ে যেতেন শাদাবের বন্ধুরা। কারণ আমজাদ ছোটদের সঙ্গে খুব অন্তরঙ্গ হয়ে মিশতে পারতেন। ছোটবেলায় রাতে শাদাব ঘুমোতে বায়না করলে ছেলের কানে কানে আদ্যন্ত সুরসিক আমজাদ বলতেন, ‘‘ঘুমিয়ে পড়ো। নয়তো এখনই গব্বর চলে আসবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy