মীরা রাজপুত আর শহিদ কপূর
কোথায় হচ্ছে বিয়ে
তাঁর বিয়ে নিয়ে বাঁধনছেঁড়া কৌতূহল দেখে মিডিয়াকে আগেভাগেই জানিয়ে রেখেছিলেন নায়ক, ব্যাপারটা খুব সাদাসিধে ভাবে সারতে চান তিনি। এটা চাপা স্বভাবের নায়কের পছন্দও হতে পারে, আবার হতে পারে বলিউডের চলতি বিয়ের ট্রেন্ড। তবে, বিয়েটা কোথায় হচ্ছে, সেটা চেপে রাখেননি শহিদ। নৈশভোজের নিমন্ত্রণের কার্ডে লেখা আছে, রাজপুত আর কপূর পরিবারের অনুষ্ঠানটা হবে ৭ জুলাই, গুরগাঁওয়ের দ্য ওবেরয় হোটেলে। আর বিয়ের ঠিক আগের দিন, ৬ জুলাই বসতে চলেছে সঙ্গীত আর মেহন্দির আসর। এর পর অবশ্য বলিউডের বন্ধুদের জন্য মুম্বইয়ে আর একটা পার্টিও দিচ্ছেন শহিদ। সেটার দিন ঠিক হয়েছে ১২ জুলাই।
কেমন হচ্ছে বিয়ে
নায়ক নিজে যে রকম সাদাসিধে বিয়ের খবর দিয়েছিলেন, তাঁর সৎ-মা সুপ্রিয়া পাঠকও বলছেন তেমনটাই! ‘অল ইজ ওয়েল’ ছবির প্রচারে শহিদের বিয়ে নিয়ে তাঁকে ঘিরে ধরে মিডিয়া। সুন্দর করে সব প্রশ্ন পাশ কাটিয়েও যান সুপ্রিয়া। তবে, এটুকু বলতে ভোলেননি, “আর পাঁচটা বিয়ে যেমন হয়, সে রকমই হবে। আর পাঁচটা পরিবারে বিয়ে নিয়ে যে রকম ব্যস্ততা থাকে, আমাদের বাড়িতেও সে রকমটাই হচ্ছে। জোর কদমে চলছে শেষ পর্বের প্রস্তুতি!”
‘উপহার নয়, শুধু আশীর্বাদ দিন’
শহিদ কপূরের বিয়ের যে কার্ডটা আমরা পেয়েছি, তার সুন্দর স্নিগ্ধ ডিজাইন নিঃসন্দেহে চোখ জুড়িয়ে দেয়। একটা পিচ-রঙা বাক্স, খুললেই সবার আগে চোখে পড়বে চার কোণে চারটে ছোট্ট ‘গুডিজ’! মাঝে রয়েছে বিয়ের চিঠি। সেই সবুজ-বর্ডারওয়ালা পিচ-রঙা চিঠিতে কনের বাবা আর মা, বেলা আর বিক্রমাদিত্য রাজপুতের নাম সবার আগে লেখা। তার ঠিক পরেই নাম রয়েছে শহিদের মা নীলিমা আজিমের। সবার শেষে রয়েছে সুপ্রিয়া পাঠক আর পঙ্কজ কপূরের নাম। তাঁরা সবাই শহিদ-মীরার দাম্পত্যের জন্য হাজিরা চেয়েছেন গণ্যমান্য অতিথিদের। আর, সব শেষে লিখে দিতে ভোলেননি, ‘নো গিফ্টস্ প্লিজ, ওনলি ব্লেসিংস’!
মীরা-শহিদের বিয়ের কার্ড
বর-কনের বিয়ের সাজ
জানা গিয়েছে, বিয়ের জন্য নিয়মমাফিক ধ্রুপদী সাজই বেছে নিয়েছেন ‘হায়দার’। এ দিন শহিদ পরবেন একটা বন্ধগলা আচকান। পোশাকটা বানিয়েছেন তাঁর ছোটবেলার ফ্যাশন ডিজাইনার বন্ধু কুণাল রাওয়াল। আর মীরাকে সাজিয়ে তোলার দায়িত্বটা পেয়েছেন ডাকসাইটে ফ্যাশন ডিজাইনার অনামিকা খন্না। তবে, কনের সাজ তো, তাই আগেভাগে সেটা চাউর করা হয়নি।
প্রাক্তন প্রেমিকারা বাদ?
কানাঘুঁষোয় জোর খবর, শহিদের বিয়েতে নেমন্তন্ন পাননি তাঁর প্রাক্তন দুই প্রেমিকা। এক জন, করিনা কপূর খান। অন্য জন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তবে, করিনাকে না কি বিয়ের খবরটা নিজেই দিয়েছিলেন শহিদ। এটা আবার মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন ছোট বেগম নিজেই। তাঁর দাবি, একটা অনুষ্ঠানে দেখা হলে নায়ক তাঁকে খবরটা দেন। তা, খবর দেন আর নেমন্তন্ন করেননি, তা-ও কি হতে পারে?
শহিদের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু অবশ্য বলছেন অন্য কথাই। কারও নাম না নিয়ে তাঁর সাফ বক্তব্য, সেই নায়িকা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর যে রকম খারাপ ব্যবহার করতেন শহিদের সঙ্গে, তার পরে তাঁকে নেমন্তন্ন করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না! সেই বন্ধুই বলছেন, প্রাক্তন প্রেমিকারা বাদে প্রায় পুরো বলিউড হাজির থাকবে ১২ জুলাইয়ের পার্টিতে।
বিয়ের ভোজ
নায়ক নিজে যেহেতু নিরামিষাশী, সে জন্য ৭ জুলাইয়ের ভোজের পুরোটাই জুড়ে থাকবে হরেক নিরামিষ খাবার। তবে, ১২ জুলাইয়ের পার্টিতে অতিথিদের উপর জোর করে নিজের পছন্দ চাপিয়ে দিচ্ছেন না ‘হায়দার’। সে দিনের ভোজে আমিষ, নিরামিষ— দুই-ই থাকবে!
বলিউডের প্রতিক্রিয়া
স্বাভাবিক ভাবেই ‘হায়দার’-এর বিয়ে নিয়ে জোর জল্পনা চলছে বলিউডে! হালফিলে একটা জন্মদিনের পার্টি দিয়েছিলেন অর্জুন কপূর, ভিড় করে সেখানে হাজির হয়েছিলেন বলিউডের তারারা। সেখানেও ভিড়ের মধ্যে কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল কেবল শহিদ-মীরার বিয়ের কথা। আসলে, শহিদের এই হঠাৎ বিয়ের সিদ্ধান্ত না কি চমকে দিয়েছে বলিউডওয়ালাদের। এই তো, কিছু দিন আগেই জীবনে প্রেম নেই জানিয়েছিলেন নায়ক, তার পরেই কি না এমন বিয়ের তোড়জোড়! সেই জন্যই এই বিয়ে নিয়ে ছোটখাটো মশকরাও তাঁরা করেছেন নিজেদের মধ্যে।
এ বার বরং বিয়েটা সেরে ফেলতে দিন নায়ককে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy