১৯৭৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল বসু ভট্টাচার্য পরিচালিত সারিকা অভিনীত ‘গৃহ প্রবেশ’। যে ছবির সেটে রূপটান ব্যবহার না করেই শট দিচ্ছিলেন সারিকা। ফাইল চিত্র
তারকা মানেই সব সময় রূপটান নিয়ে প্রকাশ্যে আসতে হবে? স্বাভাবিক চেহারায় ক্যামেরায় ধরা দেওয়া যায় না বুঝি? প্রশ্নটি রেখেছিলেন বর্ষীয়সী অভিনেত্রী সারিকা। যদিও ইদানীং প্রথা ভেঙে অনেক অভিনেত্রীই পর্দার বাইরে রূপটানের অভ্যাস ছেড়েছেন, নবীনদের উৎসাহিতও করেছেন। কিন্তু দু’দশক আগেও তা ছিল নজিরবিহীন ঘটনা।
১৯৭৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল বাসু ভট্টাচার্য পরিচালিত সারিকা অভিনীত ‘গৃহ প্রবেশ’। যে ছবির সেটে রূপটান ব্যবহার না করেই শট দিচ্ছিলেন সারিকা। এ দিকে বয়োজ্যেষ্ঠ অভিনেতারা এসে তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। যা এখনও মনে রেখেছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বললেন, “আমি যখন ‘গৃহ প্রবেশ’ করছিলাম, মেক আপ করা একেবারেই পছন্দ করতাম না। কিন্তু বয়োজ্যেষ্ঠ অভিনেতারা এসে বললেন, ‘নায়িকার এই চেহারা? না চুল আঁচড়ানো হয়েছে, না মেক আপ! এই ভাবে শট দেবে?’ সিনেমার এই দিনও গিয়েছে।”
এখন পরের প্রজন্মের অভিনেত্রীদের দেখেন সারিকা, বিশেষ করে মেয়ে শ্রুতি হাসনকে দেখে গর্বে বুক ভরে ওঠে বর্ষীয়সী অভিনেত্রীর। ভাবেন, সময় কত বদলে গিয়েছে! স্বাধীন ভাবে কাজ করছেন তাঁর ২ মেয়েই। ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের জায়গা গড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু আগের মতো অস্বস্তির লড়াই আর নেই।
শিশুশিল্পী হিসাবে বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সারিকা। ‘গীত গাতা চল’, ‘মধু মালতী’, ‘জান-ই-বাহার’-এর মতো ছবিতে তাঁর উপস্থিতি মনে রেখেছেন দর্শক। মাঝে দীর্ঘ বিরতির পর ২০০০ সালে আবার অভিনয়ে ফেরেন তিনি। ‘ভেজা ফ্রাই’ এবং ‘পরজানিয়া’-তে নজর কাড়েন। শেষ তাঁকে দেখা গিয়েছে সুরজ বরজাতিয়ার ছবি ‘উঁচাই’-এ, যা চলতি বছর নভেম্বরে মুক্তি পেয়েছে। নতুন সময়েই কাজ করে আনন্দ আছে বলে মনে করেন সারিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy