Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

খুদে সেলেবদের জন্য সান্তার উপহার

‘‘এই সিরিয়ালে তো ওকে গোপাল ভাঁড়ের গানের জন্য ডেকেছিল। কিন্তু পরে অভিনয়ে সুযোগ পেয়ে গেল,’’ বললেন রক্তিমের মা স্নিগ্ধা সামন্ত।

অর্ঘ্য এবং আর্শিয়া

অর্ঘ্য এবং আর্শিয়া

ঊর্মি নাথ
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০০:৩০
Share: Save:

আর দু’রাত পেরোলেই ইচ্ছেপূরণ। রেন ডিয়ারের স্লেজ গাড়িতে চড়ে সান্তা ক্লজ আসবে, সঙ্গে মস্ত বড় উপহারের ঝুলি। শোনা যায়, ছোটরা মনে মনে সান্তার কাছে প্রিয় জিনিসটি চাইলে, সেটা নাকি পায়। এই মুহূর্তে পৃথিবীর অনেক শিশুর মনেই ‘সান্তা কী উপহার দিতে পারে’ প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে। ছোটদের সেই তালিকায় আছে ভুতু, নিমাই, পোস্ত, গোপাল ভাঁড়, জুজুর মতো বেশ কিছু খুদে সেলেবও। আনন্দ প্লাস-এর তরফ থেকে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যদি সান্তার কাছে কিছু চাইতে বলা হয়, তা হলে তারা কী চাইবে? বড়দিনই বা তারা কাটাবে কী ভাবে? ভেবেচিন্তে উত্তর দিয়েছে এই খুদে নক্ষত্ররা।

একটা সুন্দর পুতুল চাইব: আর্শিয়া (ভুতু)

সদ্য ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠেছে ছোট্ট ভুতু ওরফে আর্শিয়া মুখোপাধ্যায়। অবশ্য কণ্ঠস্বরে নেই কোনও ক্লান্তি। সান্তার কাছে সে এ বার কী চাইবে? প্রশ্ন শুনেই সঙ্গে সঙ্গে বলল, ‘‘কিছু না!’’ একটু অবাক হতে হল বইকী। সত্যিই কিছু না? একটু ভেবে সে মত বদলাল। ‘‘একটা খুব সুন্দর পুতুল চাইব। যে সুন্দর একটা ফ্রক পরে থাকবে।’’ কথা বলা পুতুল হলে কেমন হয়? তোমার সঙ্গে গল্প করতে পারবে। এই প্রস্তাবটা মনে ধরল না আর্শিয়ার। ‘‘না... না। টকিং ডল নয়। এমনি ডল। চোখ পিটপিট করে এমন।’’ সান্তার উপহারের চেয়ে অবশ্য আর্শিয়ার উৎসাহ ক্রিসমাস ট্রি সাজানোয়। আর্শিয়া ঠিক করেছে, সাজানোর জন্য সে নিজে পছন্দ করে রংবেরঙের ঘণ্টা, বল, ছোট পুতুল ইত্যাদি কিনবে। বড়দিনের সময় আর্শিয়ার শ্যুটিং থাকবে না। তাই তার মা ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছেন সপরিবার মুম্বইয়ের কাছাকাছি কোথাও আউটিং।

গিয়ার দেওয়া সাইকেল চাই: অর্ঘ্য (পোস্ত)

স্কুলে ছুটি পড়ে গিয়েছে অর্ঘ্য বসু রায়ের, যাকে আমরা পোস্ত নামেও চিনি। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের ছবি ‘পোস্ত’র মুখ্য চরিত্র সে। সান্তার কাছে উপহার চাওয়ার বিষয়টি বলতেই সে বলল, ‘‘সান্তা আমাকে যা দেবে, তা-ই নেব।’’ যখন সে জানল, তার পছন্দ জানা সান্তার জন্য জরুরি, তখন একটু ভেবে ক্লাস থ্রি-র ছাত্র অর্ঘ্য বলল, ‘‘তা হলে একটা হলুদ-সবুজ রঙের সাইকেল চাইব। তবে সেটা গিয়ার দেওয়া হতে হবে!’’ জানা গেল ক্রিসমাস ইভ ও ক্রিসমাসের দিন বেশ ব্যস্ত থাকবে অর্ঘ্য। সে নান্দীকার-এর সঙ্গে যুক্ত। ২৪ ডিসেম্বর নাটক আছে অ্যাকাডেমিতে। ‘ভোঁদড় বাহাদুর’ নাটকে সে বুদ্ধিমন্ত-র চরিত্রটি করবে। পরের দিন তার নাটক না থাকলেও সে নান্দীকার-এর অন্য নাটক দেখতে যাবে। অবশ্য নাটক দেখার আগে ক্যাথলিক চার্চ ও পার্ক স্ট্রিটে যাওয়ারও প্ল্যান আছে বলে জানাল অর্ঘ্যর মা পারমিতা।

একটা ভায়োলিন পেলে বেশ ভাল লাগবে: রক্তিম (গোপাল ভাঁড়)

ক্লাস থ্রি-র রক্তিম সামন্ত এখন ‘গোপাল ভাঁড়’ ধারাবাহিকের নামভূমিকায়। এই সিরিয়ালের আগে ‘ডান্স বাংলা ডান্স’, ‘দিদি নম্বর ওয়ান’, ‘অপুর সংসার’ ইত্যাদি বেশ কিছু রিয়্যালিটি শোয়ে কাজ করেছে সে। বড়দিনে রক্তিমের কোনও ছুটি নেই। তার জন্য অবশ্য দুঃখও নেই তার। ‘‘সেটে তো খুব মজা হবে। কেক খাওয়া হবে। আরও কত কী! আমিও সকলের জন্য বড় একটা কেক নিয়ে যাব। সেটে আমার জন্য যে ঘরটা আছে, সেটা ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজ দিয়ে সাজাব। বাড়িতে থাকলেও তো তা-ই করতাম।’’এ বার আসল প্রশ্ন, সান্তার উপহার হিসেবে সে কী চায়? ঠোঁটের ডগায় উত্তর প্রস্তুত ছিল, ‘‘একটা ভায়োলিন চাইব। একটু বড় হয়ে ভায়োলিন বাজানো শিখব।’’ জানা গেল, অভিনয়ের চেয়েও সংগীত তার বেশি প্রিয়। সে অনেক ছোট থেকেই সংগীতে তালিম নিচ্ছে। ‘‘এই সিরিয়ালে তো ওকে গোপাল ভাঁড়ের গানের জন্য ডেকেছিল। কিন্তু পরে অভিনয়ে সুযোগ পেয়ে গেল,’’ বললেন রক্তিমের মা স্নিগ্ধা সামন্ত।

রক্তিম, ঈশান, অস্মি

সাইকেলে কিন্তু একটা বেল ও ঝুড়ি থাকবে: ঈশান (নিমাই)

‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য’ সিরিয়ালের নিমাই ওরফে ঈশান জানিয়েছে, তার ইচ্ছে সান্তা তাকে যেন একটা হলুদ রঙের সাইকেল উপহার দেয়। বড়দিনে ছুটি আছে। মা আলো দিয়ে সাজিয়ে দেবে ক্রিসমাস ট্রি। খাওয়া হবে কেক ও আরও অনেক কিছু। এই সাক্ষাৎকারের পরের দিন ঈশান প্রতিবেদককে ফোন করে আবার বলল, ‘‘তুমি যেন সান্তাকে বলে দিও, সাইকেলে যেন অবশ্যই একটা বেল থাকে, আর সাইকেলের সামনে রঙিন ঝুড়ি।’’ পাঁচ বছরের ঈশান মনে করে, সে এখন বড় হয়ে গিয়েছে। তাই সাইকেলে চেপে এদিক-ওদিক যাবে, জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ঝুড়িটা তার খুব দরকারি।

একটা দেশ থেকে আর একটা দেশে যেতে চাই: অস্মি (জুজু)

বাকি খুদে সেলেবদের চেয়ে ক্লাস এইটের ছাত্রী অস্মি ঘোষ মানে ‘অন্দরমহল’-এর জুজু কিছুটা বড়। সান্তার উপহার দেওয়ার ম্যাজিকটা সে বুঝে গেলেও তার কিন্তু এই ব্যাপারটা বেশ ভাল লাগে। ‘‘আমি চাইব এমন একটা গ্যাজেট, যা দিয়ে একটা দরজা তৈরি করব, আর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আমার মন যে দেশে যেতে চাইবে, দরজা খুলে সে দেশেই পৌঁছে যাব। আসলে ট্র্যাভেল করতে ভালবাসি। কিন্তু এখন অনেক কাজের তালে তা হচ্ছেই না,’’ বলল অস্মি। বড়দিনে সাধারণত সে মা ও বোনের সঙ্গে চলে যায় পার্ক স্ট্রিট। সেই সময় আলো ঝলমলে পার্ক স্ট্রিট তার কাছে যেন ওয়ান্ডার ল্যান্ড। সেখানে গিয়ে ছবি তোলা, রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়া করে অস্মি উদ্‌যাপন করে বড়দিন। এ বছরও তার খুব একটা অন্যথা হবে না।সঙ্গে যুক্ত। ২৪ ডিসেম্বর নাটক আছে অ্যাকাডেমিতে। ‘ভোঁদড় বাহাদুর’ নাটকে সে বুদ্ধিমন্ত-র চরিত্রটি করবে। পরের দিন তার নাটক না থাকলেও সে নান্দীকার-এর অন্য নাটক দেখতে যাবে। অবশ্য নাটক দেখার আগে ক্যাথলিক চার্চ ও পার্ক স্ট্রিটে যাওয়ারও প্ল্যান আছে বলে জানাল অর্ঘ্যর মা পারমিতা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE