(বাঁ দিক থেকে) সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জয় লীলা ভন্সালী। গ্রাফিক্স: সনৎ সিংহ।
নতুন ছবির রেকির কারণে তিনি কলকাতায়। উত্তর থেকে দক্ষিণ চষে ফেলছেন পুরনো কলকাতার খোঁজে। তার মধ্যেই রবিবার দেখলেন, তাঁর ‘বন্ধু’রা খান্না থেকে পা মিলিয়েছেন প্রতিবাদী মিছিলে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মৃতা তরুণী চিকিৎসকের ন্যায়বিচার চেয়ে। সব দেখেশুনে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি ‘গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’-সহ সঞ্জয় লীলা ভন্সালী পরিচালিত সমস্ত ছবির চিত্রগ্রাহক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা সাক্ষী, তিনি শহরে এসে যেন একাকার করে দিলেন বলিউড-টলিউডকে। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁর দাবি, “সঞ্জয়ের মা লীলাজি প্রচণ্ড জোরালো মনের মানুষ, অনেক দিন ধরে অসুস্থ। আমার বিশ্বাস, সুস্থ থাকলে তিনি ৯০-তেও প্রতিবাদ জানাতে পথে নামতেন।” তিনি ধিক্কার জানিয়েছেন, নারীদের ‘নাইট ডিউটি’ না করা প্রসঙ্গ নিয়ে। তাঁর মতে, “এর থেকে লজ্জার আর কিছুই হতে পারে না। আমার মাথা নীচু হয়ে যাচ্ছে।”
দক্ষিণী ছবিতে পুরনো কলকাতা জায়গা করে নিচ্ছে। তাই পুরনো কলকাতার খোঁজে শহরে তিনি। সুদীপও এই শহরের ছেলে। এই অঘটনের দায় তিনি এড়ান কী করে? তাই শামিল তিনিও, এ কথাও জানিয়েছেন। পুরনো শহরকে খুঁজতে গিয়ে একটু হতাশও। “শহর অনেকটাই ঝকঝকে, আধুনিক। তবু উত্তর কলকাতায় কিছু অবশিষ্ট আছে”, বক্তব্য তাঁর। সব ঠিক থাকলে বছরের শেষে শুটিং। তখন শহরে শুটিং করতে আসতে পারেন প্রভাস। এত কিছু মধ্যেই যখনই অবসর মিলছে, সুদীপ ভাবছেন নির্যাতিতার কথা। চোখের সামনে ভেসে উঠছে নিজের মেয়ের মুখ। তাঁর কথায়, “জানেন, বিষয়টি আর কলকাতা বা বাঙালির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আমার মেয়ে জর্ডনে থাকে। ওখানেও প্রতিবাদ হচ্ছে।” এ ভাবে অন্যায় মুছে দেওয়া সম্ভব? আনন্দবাজার অনলাইনের এই প্রশ্নে জানালেন, কিছু অবশ্যই সম্ভব। প্রতিবাদের দরকার আছে। বিনোদন দুনিয়ার মানুষদের দায়িত্ব শুধুই মনোরঞ্জন করা নয়। প্রতিবাদে শামিল হয়ে সাধারণের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়াও তাঁদের কাজ।
এ ক্ষেত্রে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ভূমিকা কী? ওঁর প্রত্যেক ছবিতে নারীর ভূমিকা জোরালো। আগামী ছবিতে আরজি কর-কাণ্ড ছায়া ফেলবে?
প্রশ্নের জবাবে সুদীপের দাবি, “সঞ্জয়ের ছবিতে মেয়েরা অত্যন্ত শক্তিশালী। তার কারণ, ওঁর মা লীলা ভন্সালী। লীলাজি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে। তাই সঞ্জয়ের সঙ্গে বেশি কথা বলতে পারছি না। তবে কলকাতায় থাকলে হয়তো পা মেলাতেন।” একটু থেমে যোগ করেছেন, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে ছবি বানাবেন কিনা সে কথা পরিচালককে অবশ্যই জিজ্ঞেস করবেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy