স্যান্ডি সাহা ও অঙ্কুশ হাজরা
পুরনো কাসুন্দির ঝাঁঝ বাড়ল নতুন করে। অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার পর এ বার পালা ইউটিউবার স্যান্ডি সাহার। পুরনো বিবাদ নিয়ে নতুন করে নড়েচড়ে বসলেন তিনি। অভিনেতার দিকে একের পর এক তোপ দেগেছেন ইউটিউবার।
মাস খানেক আগে এক সংবাদ মাধ্যমে স্যান্ডি অঙ্কুশের প্রতি তাঁর সমস্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, অঙ্কুশ তাঁকে হিংসা করেন এবং ভয় পান বলে ফেসবুকে ব্লক করে দিয়েছেন। কেবল তাই নয়, স্যান্ডি বলেছিলেন, ‘‘অঙ্কুশ আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে দেবেন না।’’
সোমবার সকালে অভিনেতা অঙ্কুশ তারই পরিপ্রেক্ষিতে আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘ফেসবুক আমি নিজে সামলাই না। আমি কয়েক জনকে নিযুক্ত করেছি, তাঁরাই আমার ফেসবুক প্রোফাইলের দায়িত্বে রয়েছেন।’’ অঙ্কুশ জানান, তিনি কাউকে ব্লক করেন না। খ্যাতনামী হওয়ার পর থেকে তিনি একাধিক বার নেটমাধ্যমে আক্রমণের শিকার হয়েছেন। কিন্তু এ সব বিষয়গুলি তাঁর কাছে তুচ্ছ।
সেই প্রসঙ্গে ইউটিউবারের বক্তব্য, ‘‘বিশ্বাস করি না। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে কী হচ্ছে না হচ্ছে সেটা উনি জানেন না? আর উনি যদি এ সব পাত্তাই না দেন, তা হলে আমি ভিডিয়ো আপলোড করলেই ফোন করে হুমকি দেন কেন?’’ জানা গেল, গত বছরও অঙ্কুশকে নিয়ে একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছিলেন স্যান্ডি। সে সময়ে অঙ্কুশ নাকি তাঁকে ফোন করে হুমকি দিয়ে। ভিডিয়ো সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ না দেওয়ার হুমকির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অঙ্কুশ জানালেন, তিনি অত প্রভাবশালী নন যে তাঁর কথায় লোকে স্যান্ডিকে কাজ দেবে না। তবে অভিনেতা একইসঙ্গে এও জানালেন, কোনও ছবিতে যদি তাঁদের দু’জনকে কাস্ট করা হয়, সে ক্ষেত্রে তাঁর অস্বস্তি হলে তিনি অন্য ভাবে নিজেকে সরিয়ে আনবেন। অঙ্কুশের কথায়, ‘‘যদি মনে করি স্যান্ডির সঙ্গে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ নই, তবে প্রযোজক বা পরিচালককে গিয়ে বলব, আমাকে এই ছবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু আমি কখনওই ওঁর কাজের ক্ষেত্রে পথ আটকাব না।’’
স্যান্ডির কথায়, ‘‘আমার আর অঙ্কুশদার মধ্যে পরিচালক কাকে বেছে নেবেন? নিশ্চয়ই ওঁকে। তাই সেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তো আমারই কাজ খাচ্ছেন তিনি। আমি বলব, নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন অঙ্কুশ।’’
স্যান্ডির মতে, অঙ্কুশ নিজেই তাঁকে ব্লক করেছেন, কিন্তু এখন সেটা অস্বীকার করছেন। তা ছাড়়া স্যান্ডির কথা থেকে জানা গেল, শুরুর দিকে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ভালই ছিল। কিন্তু তার পর কী হল? কেন অবনতি হল সম্পর্কের? ইউটিউবার বললেন, ‘‘আমার পুরোপুরি ভাবে নিশ্চিত অঙ্কুশ ‘হোমোফোবিক’। সমকামীদের সঙ্গে খোলাখুলি মিশতে পারেন না তিনি। এটা আমি ওঁর সঙ্গে আলাপের পরেই বুঝেছি। ওর হাবভাবে সেটা ধরা পড়ে। খ্যাতনামী বলে প্রকাশ্যে সবাইকে সমর্থন জানান। কিন্তু মনে মনে সেটা কখনওই বিশ্বাস করেন না অঙ্কুশ।’’
মাস কয়েক আগে ঐন্দ্রিলার শরীরের আকার নিয়ে কুমন্তব্য করেছিলেন স্যান্ডি। সন্দেহ জেগেছিল, সেই সব কারণেই কি অঙ্কুশ তাঁকে ব্লক করেছিলেন। ঐন্দ্রিলা একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। যেখানে দেখা গিয়েছিল, সমুদ্রসৈকতে শুয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী। সেই ছবির মন্তব্য বাক্সে স্যান্ডি একটি ছবি পোস্ট করেন। দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতের উপর একটি হাতি শুয়ে রয়েছে। হাতির শুয়ে থাকার ভঙ্গি হুবহু মিলে যায় ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। এ কথা স্পষ্ট, হাতির সঙ্গে অভিনেত্রীর তুলনা করেন স্যান্ডি। তা ছাড়া আরও একটি ছবিতে স্যান্ডি তারকা যুগলকে একই ভাবে কটাক্ষ করেন। তাঁদের দু’জনকে যথাক্রমে হাতি ও সাপের সঙ্গে তুলনা করেন।
স্যান্ডির মতে, হাতি না, ঐন্দ্রিলাকে তিনি গণ্ডার বলে মনে করেন। তাঁর কথায়, ‘‘এত খারাপ অভিনয় করেও ঐন্দ্রিলা যে অভিনয় পেশা ছেড়ে দেননি, তাতে আশ্চর্য হই। তাই বলব, হাতি বলার পিছনে বিশেষ কোনও কারণ ছিল না। বললে, গণ্ডার বলতাম। গণ্ডারের চামড়াই বটে। আমি তাঁর শরীরের আকার নিয়ে কুমন্তব্য করিনি এক বারও। আমার নিজেরই এত বড় পেট, আমি আবার অন্যকে কী বলব?’’ স্যান্ডি জানালেন, অভিনেত্রী যে ছবি পোস্ট করেছিলেন, সেখানে তাঁর শুয়ে থাকার ভঙ্গির সঙ্গে হাতির শুয়ে থাকার ভঙ্গি হুবহু মিলে যায় বলেই তিনি ওই ছবিটি দিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy