এই সামান্থা যখন বড় হলেন, স্কুলের গণ্ডি পেরনোর সময় এল, বাড়ির সকলেই ভেবেছিলেন পরিবারে এ বার একজন ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবেই। পরিবারের সকলকে চমকে দিয়ে সামান্থা নৌকা ভাসিয়ে দিলেন স্রোতের প্রতিকূলে। ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার তো দূর অস্ত্, পড়াশোনার একেবারে ভিন্ন মেরুতে পা দিলেন তিনি। মডেলিং করতে শুরু করলেন। লক্ষ্য ছিল অভিনেত্রী হওয়ার।
তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে খুব নামডাক হয় তাঁর। নামজাদা পরিচালকেরা তাঁকে প্রস্তাব দিতে থাকেন। অন্য দিকে তামিল ছবিতে তখন তাঁর খরা চলছিল। যাও বা সুযোগ পাচ্ছিলেন সেই ছবিগুলি হয় বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ছিল, নয় ছবির শ্যুটিংই বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। একটা সময় তামিল ইন্ডাস্ট্রিতে সামান্থাকে ‘অভিশপ্ত’ হিসাবে দেগে দেওয়া হয়।
লড়াকু সামান্থা হাল ছাড়েননি। সুস্থ হয়ে ফের কাজ শুরু করেন। তেলুগু এবং তামিল ছবিতে অভিনয় করতে শুরু করেন। কিন্তু সমালোচকরা তাঁর পিছু না ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করে বসেছিলেন বোধ হয়। তাই সব সময়ই তাঁর খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে সমালোচনা শুরু করে দিতেন। ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি তাঁর থাকা-না থাকা সমান, এমনও শুনতে হয়েছে তাঁকে।
একটা সময় সামান্থা হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেবেন ভেবে নিয়েছিলেন। ঠিক তখনই লড়াকু সামান্থা যেন তাঁকে হার না মানতে বলেন। সমালোচকদের কথায় ভেঙে না পড়ে তাঁদের জবাব দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিতে থাকেন। সামান্থা খুব বেছে ছবি করতে শুরু করেন। ২০১৪ সালের পর থেকেই যে কারণে তাঁর কেরিয়ারের রেখাচিত্র উঠতে শুরু করে। ধীরে ধীরে তাঁর অভিনয় নিয়ে সমালোচনাও বন্ধ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy