Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Jacqueline Fernandez

জ্যাকলিনের বিপদ, তবু সরে গেলেন সলমন! আর যা-ই হোক, বিপথে যেতে পারবেন না

বলিউড সতীর্থরা সাবধান করেছিলেন অভিনেত্রী জ্যাকলিনকে। তবু কথা শোনেননি। তাঁর ‘স্বপ্নের পুরুষ’ ছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখর! ২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলায় এমন কথাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

২০০ কোটি টাকা তোলাবাজির মামলায় জ্যাকলিনের নাম জড়ানোর পর থেকেই বন্ধুর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছিলেন সলমন।

২০০ কোটি টাকা তোলাবাজির মামলায় জ্যাকলিনের নাম জড়ানোর পর থেকেই বন্ধুর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছিলেন সলমন।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৫২
Share: Save:

সলমন খান পাশে ছিলেন বলেই কেরিয়ার গোছাতে পেরেছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। শুধু তা-ই নয়, বরাবর জ্যাকলিনের পাশে বন্ধুর মতো ছিলেন ভাইজান। তবে এ বার সরে গেলেন। সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ২০০ কোটি টাকা তোলাবাজির মামলায় জ্যাকলিনের নাম জড়ানোর পর থেকেই পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছিলেন সলমন। বিতর্কের অংশ হতে চাননি বলে জানা গিয়েছে। তাই সরে যাওয়া এক সচেতন সিদ্ধান্ত ছিল।

বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের ‘স্বপ্নের পুরুষ’ ছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখর! ২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলায় তদন্তে নেমে এমন কথাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ‘কনম্যান’ সুকেশকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন বি-টাউনের এই মোহময়ী নায়িকা।

আর্থিক তছরুপ মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন জ্যাকলিন। গত বুধবার দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখায় তদন্তরকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন বলি তারকা। প্রায় আট ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখার স্পেশ্যাল কমিশনার রবীন্দ্র যাদব সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন যে, প্রচুর ধনদৌলত থাকায় বলিউডের অভিনেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন সুকেশ। এই ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন জ্যাকলিনও। সুকেশের কথায় নায়িকা এতটাই প্রভাবিত হন যে, তাঁকে বিশ্বাসও করতে শুরু করেন। সেই সূত্রেই সুকেশকে ‘কাছের মানুষ’ ভাবেন জ্যাকলিন। তাঁকে বিয়ে করার কথাও ভাবেন।

রবীন্দ্রের কথায়, ‘‘জ্যাকলিন আরও বিপাকে পড়েছেন কারণ, সুকেশের অপরাধের কথা জেনেও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি।’’ সে দিক থেকে বেঁচে গিয়েছেন বলিপাড়ার আর এক অভিনেত্রী নোরা ফতেহি। রহস্যের গন্ধ পাওয়া মাত্রই সুকেশের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করেন অভিনেত্রী।

জ্যাকলিনের সঙ্গে তাঁর যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তা আগে জানিয়েছিলেন সুকেশের আইনজীবী। পরে সুকেশও এ কথা জনিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, প্রেমজীবনের সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও সম্পর্ক নেই।

শোনা যায়, বন্ধুদের বিপদে-আপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন সলমন। কিন্তু সেই সঙ্গে তিনি এক জন আইন মেনে চলা নাগরিকও। বন্ধু কথা না শুনলে তিনি তো বিপথে যেতে পারেন না, তাই সচেতন ভাবেই জ্যাকলিনের জীবন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যায়।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অক্ষয় কুমারও নাকি জ্যাকলিনকে সুকেশের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন। তবে অভিনেত্রী তখন গভীর প্রেমে। আর কিছুই করার ছিল না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy