সইফ আলি খানের বাড়িতে জোরদার হচ্ছে নিরাপত্তা। গ্রাফিক-আনন্দবাজার অনলাইন।
পাঁচ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছুটি পাচ্ছেন সইফ আলি খান। সকাল থেকেই তাঁর কাছে রয়েছেন মা শর্মিলা ঠাকুর এবং স্ত্রী করিনা কপূর খান। তবে জানা গিয়েছে, এখনই বাড়ি ফিরছেন না সইফ। বরং আপাতত সপরিবার থাকবেন বান্দ্রারই আর একটি ফ্ল্যাটে, যেখানে সইফ-করিনা থাকতেন ২০২১ সাল পর্যন্ত।
গত ১৬ জানুয়ারি, ভোরে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অভিনেতাকে। অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপর ছুরি নিয়ে হামলা করেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। ছ’টি জখম থাকায় অস্ত্রোপচার করানো হয়। আপাতত স্থিতিশীল অভিনেতা, জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে নিরন্তর তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে তাঁকে।
মঙ্গলবার ছুটি পেয়ে সইফ যাবেন না ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনে। বরং আপাতত তিনি থাকবেন পুরনো ফ্ল্যাটে। করিনার সঙ্গে বিয়ের পর এখানেই থাকতেন তিনি। মাত্র তিন বছর আগে করিনার দ্বিতীয় সন্তান জেহ্র জন্মের পর বান্দ্রার ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনে উঠে যান। আবাসনের সর্বোচ্চ তিনটি তল জুড়ে বানানো হয় তাঁদের আবাস। সেখানে রয়েছে নিজস্ব সাঁতার পুল, জিমখানা, দুই ছেলের উপযুক্ত ঘর। গত বুধবার গভীর রাতে এই আবাসনেই ঢুকে পড়েছিলেন শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ নামে এক অভারতীয় নাগরিক। চুরিই উদ্দেশ্য ছিল তাঁর। বাধা পেয়ে সইফের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন তিনি।
এই ঘটনার পর উঠে আসে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্ন। কী ভাবে বান্দ্রার ওই অভিজাত আবাসনে সকলের নজর এড়িয়ে ঢুকে পড়লেন দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে, ওই আবাসনের মূল ফটকের নজরদারি ক্যামেরা সক্রিয় ছিল না। তাই আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় পটৌদী পরিবার। এই মুহূর্তে ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনের নিরাপত্তার আঁটসাঁট করতে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার যখন হাসপাতালে পরিবারের সদস্যরা সইফের ছুটি সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত, তখন ওই আবাসনে দেখা যায় কাজ করছেন কিছু কর্মী। আবাসনের দশম, একাদশ ও দ্বাদশ— তিনটি তলের বারান্দা এত দিন একেবারে উন্মুক্ত ছিল। এ দিন লোহার জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, পরিবার জানিয়েছিল ছুরি হামলার পর দুষ্কৃতীকে ধরে তাঁরা একটি ঘরে আটকে রেখে পুলিশে খবর দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই বারান্দা দিয়েই তিনি পালিয়ে যান।
সইফের উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে, মুম্বইয়ের নিরাপত্তা নিয়ে। দিন কয়েক আগেই সলমন খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটের জানলা ও বারান্দা বুলেটপ্রুফ কাচ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। এ বার সইফের বাড়িতেও নেওয়া হল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy