যিশু সেনগুপ্ত, নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। ফাইল ছবি।
দিন দুয়েক ধরে ভয়ানক অস্বস্তি। গুঞ্জন আমারও কানে এসেছে। তৃতীয় ব্যক্তির জন্য নাকি যিশু সেনগুপ্ত-নীলাঞ্জনা শর্মার (আমার কাছে এখনও সেনগুপ্ত) বিয়ে ভাঙছে। এই যন্ত্রণাতেই নাকি আমার বন্ধুর বৌ আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। যা নাকি অসুস্থতা বলে চাপা দেওয়া হচ্ছে। কলকাতায় শুটিং করছে, অথচ নিজের বাড়িতে থাকছে না যিশু। নীলাঞ্জনা বিয়ের আগের পদবিতে ফিরে গিয়েছে। সমাজমাধ্যমে যিশুকে নাকি আর অনুসরণ করছে না। মনখারাপের লম্বা পোস্টে দুই মেয়ে সারা, জ়ারা, বোন চন্দনাকে উল্লেখ করেছে। কিন্তু যিশুর নাম ভুলেও কোথাও লেখেনি। আর, বিষয়টি নিয়ে নাকি যিশুর আপ্তসহায়ককে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
সত্যিই কি ওরা ভাঙনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে? সত্যিই কি ওদের সম্পর্কে একটুও উষ্ণতা অবশিষ্ট নেই?
আমি বিশ্বাস করছি না। একটুও পাত্তা দিচ্ছি না এই গুঞ্জনকে। কারণ ওই যে, আমি ওদের অনেক আগে থেকে চিনি। যখন ওরা যিশু সেনগুপ্ত-নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত হয়ে ওঠেনি, তখন থেকে। সেই জায়গা থেকে বলতে পারি, ওরা নিজে থেকে কিছু না বললে আমি কারও কোনও কথা শুনব না।
চলতি বছরের মার্চে, যিশু-নীলাঞ্জনার বিবাহবার্ষিকীতে গুগলে নাকি অদ্ভুত প্রশ্ন ‘ট্রেন্ডিং’ ছিল, ‘যিশু কবে নীলাঞ্জনাকে ডিভোর্স দেবে?’ তখন থেকেই কি ওদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল? দুইয়ে দুইয়ে চার করার চেষ্টায় সংবাদমাধ্যম। এক সাংবাদিক বন্ধু তো আমাকে এই নিয়ে প্রশ্ন করেই ফেলেছেন। তাঁকে জানিয়েছি, যে কোনও পেশার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের নিয়ে মানুষের কৌতূহল অনেক। বিশেষ করে তাঁদের প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ নিয়ে। সে রকমই একটি প্রশ্ন হয়তো কাকতালীয় ভাবে বিশেষ দিনে প্রকাশ্যে এসেছিল। এর বাইরে আর কিছুই নয়।
এ বার বলি আমার বন্ধু আর বন্ধুর বৌয়ের কথা। আমি, যিশু আর কাঞ্চন পুরনো পাপী। তাই যিশুর বৌকেও ওর ছোটবেলা থেকে চিনি। যিশুর লড়াই দেখেছি। অভিনেতা বাবা উজ্জ্বল সেনগুপ্তের ছেলে কিন্তু সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায়নি। ক্রিকেট পাগল ছেলেটি অভিনয়ে এসেও তাই শুরু থেকে কল্কে পায়নি। প্রচুর পরিশ্রম, প্রচুর রক্ত জল করা ঘাম, কান্না— তার পর আজকের জাতীয় স্তরের অভিনেতার শিরোপা যিশুর মাথায়। সেই ছেলে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির জন্য বৌ, দুই মেয়েকে ছেড়ে চলে যাবে? বিশ্বাস করা সম্ভব? এও দেখেছি, দুই মেয়ের জন্য কর্তা-গিন্নির কত আত্মত্যাগ। কত ব্যক্তিগত ভাল লাগা তারা ত্যাগ করেছে। দায়ে পড়ে নয়, সন্তানদের ভালবেসে। সেই তারা সন্তানদের কথা না ভেবে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! মানতে পারছি না।
বিষয়টি নিয়ে তাই সংবাদমাধ্যমে যেমন চর্চা চলছে, বন্ধুরাও আলোচনা করছি। গুঞ্জন সত্যি হলে, আমরা অবশ্যই সমাধানের পথ খুঁজব। কারণ আমার বিশ্বাস, মানুষ কাচ নয়। তাই ভাঙলে জোড়া লাগবে না, এমন হতে পারে না। দাম্পত্যে, সংসারে পদে পদে দ্বন্দ্ব। সেখানে অনেক সময় যুক্তির আগে আবেগ কাজ করে। অভিমান জন্ম নেয়, দূরত্ব বাড়ে। অনেক সময় সেই দূরত্ব মুছেও যায়। এই আশা নিয়ে যিশুকে বলব, সত্যিই কিছু ঘটে থাকলে আলোচনায় আয়। দেখবি, সমাধান বেরোবে। আবার আগের মতো তোরা একসঙ্গে থাকবি, হাসবি। যেমন, আরও পাঁচটা বাড়িতে হয়। এই ক্ষেত্রে কিন্তু সাধারণ আর অসাধারণ আলাদা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy