রুদ্রনীল ঘোষ এবং সায়নী ঘোষ
যদি? যদি সায়নী চান, তবে ‘তাঁর নতুন ক্রাশ মদন মিত্রকে তা দিতে পারেন’। তা হলেই রুদ্রনীল বেশি খুশি হবেন। প্রেম দিবসে এমনটাই জানালেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রী দেবলীনা দত্তকেও গোলাপ পাঠাতে চান। তবে তার রং হবে সাদা। এ সবের কারণও তিনি উল্লেখ করেছেন।
চারদিকে যুগলেরা নিজেদের মতো করে ভ্যালেন্টাইনস ডে কাটাচ্ছেন। একে অপরকে ভালবাসছেন, আদর করছেন, মান ভাঙাচ্ছেন, উপহারও দিচ্ছেন। তবে বন্ধুত্বও তো প্রেম। বন্ধুরাও তো একে অপরকে ভালবেসে উপহার দিতে পারেন, প্রেম দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। কিন্তু সদ্য চিড় ধরা বন্ধুত্ব জোড়া লাগাতে চাইলে? কসরত করতে রাজি অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। ‘বিজেপি বনাম অ-বিজেপি’ দ্বন্দ্বে নেমেছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ, সায়নী ঘোষ, তথাগত রায়, দেবলীনা দত্ত, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। তারকা জগতের সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছে রাজনীতি। নির্বাচনের আগে তুলকালাম কলকাতায়। সায়নী ঘোষ ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনিকে রণহুঙ্কারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বলে নিন্দা করেছিলেন রুদ্রনীল। অন্য দিকে দেবলীনা দত্ত দুর্গা পুজোয় গরুর মাংস রান্না করবেন বলেছিলেন বলে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেতা। তাই আনন্দবাজার ডিজিটালের তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হল ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে তিনি যদি সায়নী ও দেবলীনাকে কিছু পাঠাতে চান, তা হলে কী পাঠাবেন?
মুহূর্তের মধ্যে উত্তর দিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। সায়নীকে দেবেন লাল গোলাপ। কেন? সায়নী তাঁর অনেক দিনের বন্ধু। অভিনেত্রী হিসেবেও তাঁকে শ্রদ্ধা করেন। ‘‘এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার যে ‘জয় শ্রী রাম’ শুনে রণহুঙ্কার মনে হয়। কী আর করা যাবে! তা বলে তো আর আমাদের বন্ধুত্বের খামতি হবে না।’’ জানালেন রুদ্রনীল। কিন্তু বাক্যের শেষ একটি ‘যদি’ তুললেন তিনি। বললেন, ‘‘এখন তো সায়নীর নতুন ক্রাশ মদন মিত্র। তাই ওই গোলাপটি যদি সায়নী তাঁকে দিতে চান, তা হলে আমি বেশ মজাই পাব।’’ সায়নী কি সেই গোলাপ নিতে আগ্রহী? নাকি ফিরিয়ে দেবেন? নাহ্, প্রেমের দিনে কঠিন হবেন না সায়নী। রুদ্রনীলকে তিনি ‘হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস্ ডে’ জানিয়ে সে গোলাপ গ্রহণ করবেন বলে জানালেন আনন্দবাজার ডিজিটাল-কে। তবে সেটি মদন মিত্রকে দিতে চান না। কারণ, ‘‘রুদ্রদা আমার স্বল্পকালীন শিক্ষক ছিল। অভিনয় শিখিয়েছে আমায়। ওই গোলাপটি তবে আমার আর রুদ্রদার জন্যই থাক বরং।’’ আর মদন মিত্রকে নিয়ে সায়নীর মত, ‘‘তিনি তো স্বঘোষিত ভাবে বাংলার মেয়েদের ক্রাশ। আমি তো আর আলাদা করে বলিনি। যাঁর নিজের এতটাই আত্মবিশ্বাস, তাঁকে কে গোলাপ দিল না দিল, কে প্রশংসা করল না করল, তাতে তাঁর কিচ্ছুটি এসে যায় না।’’ রুদ্রনীলের জন্য সায়নীর বার্তা, ‘‘একটা গোলাপ, সর আঁখো পর। এক গুচ্ছ গোলাপ ফেরত দেব তোমাকে, রুদ্রদা। ভাল আছি, ভাল থেকো।’’
দেবলীনাকে দেবেন সাদা গোলাপ। সাদা রং হল শান্তির প্রতীক। তাই সাদা রং বেছে নিলেন রুদ্রনীল। তিনি দেবলীনার দিকে বন্ধুত্বের পুরনো হাতটাই এগিয়ে দিতে চান। ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই বলেই জানালেন অভিনেতা। তাঁর মতে, ‘‘দেবলীনা যে বলেছিল গরুর মাংস রান্না করবে, তা তো ওর নিজের মা-ও কোনও দিন রান্না করেননি। কোনও বাঙালি বাড়িতেই দুর্গাপুজোর দিন গরুর মাংস রান্না হয় না। তাও ও নাকি বানাবে। যাক গে, সে কী আর করা যাবে। তাও আমার সঙ্গে ওর বন্ধুত্বটা থাকুক, সেটাই চেয়েছিলাম। কিন্তু ও দেখলাম কয়েক দিন আগে কোন এক সাক্ষাৎকারে বলেছে যে আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবে না। আমি কিন্তু এ সব সঙ্কীর্ণতায় বিশ্বাস করি না।’’ তাই দেবলীনার ‘মাথা ঠান্ডা’ রাখার পরামর্শ হিসেবে তাঁকে সাদা গোলাপ দিতে চান রুদ্রনীল ঘোষ।
তবে দেবলীনা ও সায়নী ছাড়াও রুদ্রনীল গোলাপ পাঠাতে চান বলি তারকা মাধুরী দিক্ষিতকে। তাঁর স্বপ্নের নারী মাধুরী। এক বার দেখা হয়েছিল একটি অনুষ্ঠানে। তাঁর সঙ্গে করমর্দন করার পর নাকি আর কারও সঙ্গে হাত মেলাননি রুদ্রনীল। যদি অন্য কারও হাতের ধুলো তাঁর হাতে লেগে যায়! একই সঙ্গে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও পাওলি দামকেও গোলাপ পাঠাতে চান রুদ্রনীল। তাঁদের অভিনয় ও ব্যক্তিত্ব বড়ই পছন্দের তাঁর। কেবল কলকাতায় নয়, মুম্বইতেও নিজেদের দক্ষতায় জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরা। তাই এই দু’জনকে শ্রদ্ধা করেন অভিনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy