ঋষি কৌশিক
সাল ২০১৯, ১৮ জুলাই। নয়াদিল্লিতে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সদর দফতরে গিয়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন পার্নো মিত্র, ঋষি কৌশিক, অরিন্দম হালদার, কাঞ্চনা মৈত্র, সৌরভ চক্রবর্তী, রূপাঞ্জনা মিত্র, মৌমিতা গুপ্ত, বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবরঞ্জন নাগ এবং রূপা ভট্টাচার্য। ফের ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনের আগে টলি-পাড়ায় বিজেপি যোগদানের একটা হিড়িক লেগেছে। অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ থেকে শুরু করে জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা কৌশিক রায়— একে একে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন। কিন্তু এর মাঝে সেই তারকারা কোথায়? যাঁরা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন দু’বছর আগে? তাঁরা এখন কী ভাবছেন? কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে দেখা যাচ্ছে না কেন তাঁদের? ঋষি কৌশিকের সঙ্গে কথা বলল আনন্দবাজার ডিজিটাল।
বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর আপনাকে রাজনৈতিক মঞ্চে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না কেন?
দলে যোগদান করা মানে সব মিটিং-মিছিলে যেতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। আমি ছোট থেকে সমর্থন করি বিজেপি-কে। আমার ভাল লাগে এই দলটাকে। নরেন্দ্র মোদীকে আমার আদর্শ মনে করি। কিন্তু তার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক মঞ্চে যেতে হত না আমাকে। আমি রাজনীতি বুঝি না। কিন্তু এটুকু বুঝি যে, বিজেপি যা করে ভাল করে। আমি রাজনৈতিক মানুষ নই যে, সব কিছু জানতে-বুঝতে হবে আমায়।
সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তো নরেন্দ্র মোদী বুঝলাম, কিন্তু বাংলায় কাকে বিজেপি-র মুখ হিসেবে দেখতে চান?
(অনেক ক্ষণ ধরে ভাবলেন অভিনেতা) উঁহু, সে রকম ভাবে কারও নাম মনে পড়ছে না। সব ক্ষেত্রেই নরেন্দ্র মোদীর নাম মাথায় আসে। আর তেমন কেউ নেই।
নতুন বাজেট তো শুনলেন, কী মনে হচ্ছে, সাধারণ মানুষের সুখের দিন আসছে নাকি দুঃখের দিন?
আমি অর্থনীতি বুঝি না। কোনও অর্থনীতিবিদকে জিজ্ঞেস করুন। তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন। তবে আমি এই সরকারকে বিশ্বাস করি। সাধারণ মানুষের ক্ষতি করার কোনও উদ্দেশ্য তাদের নেই। পেট্রল-ডিজেলের দাম বেড়েছে বলে অনেকে অনেক কথা বলছেন। কিন্তু ও ভাবে সমগ্র জিনিসের মধ্যে একটা বিষয়কে তুলে এনে দেখা যায় না। তাতে ভুল বিচার করা হয়। যাঁরা বাজেট করেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই সব দিকটা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেন। আমি এ সব নিয়ে মাথা ঘামাই না।
কৃষকরা বলছেন, তাঁদের ক্ষতি করছে এই সরকার, তা হলে কি তাঁরা ভুল?
আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, কৃষকদের সঙ্গে কী করেছে সরকার! আর এই কৃষকরা যে ট্র্যাক্টর মিছিল করছেন, তাঁদের কাছে এত টাকা আসছে কোথা থেকে? ডিজেল পুড়িয়ে এত ট্র্যাক্টর বার করা হয়েছে সে দিন! আর সব থেকে বড় কথা, কেবল উত্তর ভারতেই কৃষক আছেন নাকি? আমি তো জানি, সারা দেশেই কৃষকেরা আছেন। তাঁরা তো বেরোননি রাস্তায়।
ছোটবেলা থেকে বিজেপি-কে সমর্থন করতেন, কেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে বলব, সমর্থন না করার কী আছে? কোনও কিছুরই ‘কেন’ হয় না।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আপনার কী পরিকল্পনা রয়েছে?
সে সব সময় মতো জানতেই পেরে যাবেন। তবে এখনও নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে কিছু ভাবিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy