অলংকরণ: শৌভিক দেবনাথ।
মৃত্যুর কিছুদিন আগে একটি অডিও-ভিস্যুয়াল সাক্ষাৎকারে সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা ইরফান খান বলেছিলেন, ‘‘ভারতবর্ষের অভিনেতার ক্ষেত্রে ‘নিয়তি’ শব্দটি একটি বড় বিষয়। এখানে পরিবেশ তোমাকে ধ্বস্ত করে দিতে পারে। যে মানুষটাকে কিছু দিন আগেও তোমার দেখে মনে হত দুর্দান্ত, উৎসাহে টইটম্বুর, তাকে হঠাৎ দেখে মনে হবে তার চোখ দুটো নিষ্প্রভ হয়ে গিয়েছে, যে ক্যারিশমা লোকটার মধ্যে দেখেছিলাম, তা যেন বিলীন হয়ে গিয়েছে।’’ ইরফান উদাহরণ দিয়েছিলেন পাশ্চাত্য দুনিয়ার ক্লিন্ট ইস্টউড এবং উডি অ্যালেনের, যাঁরা আশি পেরিয়ে গেলেও এখনও সৃষ্টিশীলতায় ভরপুর। ইরফান তাঁর এই সাক্ষাৎকারে ‘নিয়তি’ শব্দটিকে নির্দিষ্ট করেননি, অভিনেতার নিয়তির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকা ‘জরা’ ও ‘মৃত্যু’ শব্দ দুটিকেও তিনি যেন আলগোছে বলে ছেড়ে দেন, তার থেকেও বেশি স্পষ্টীকৃত করতে চান তৃতীয় বিশ্বের গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে থাকা হিংস্র পুঁজি ও তার সঙ্গে মিলেমিশে থাকা নানান চাপানউতোর, কলহপুঞ্জ, নানান রাজনৈতিক প্রসঙ্গ, উসকে দেওয়া যৌনতা, নানান অকারণে তৈরি হওয়া মিডিয়াকৃত (সোশ্যাল সমেত) অনাকাঙ্খিত কোনও ফাঁদ, যে বুবিট্র্যাপে অসাবধানে পা দিয়ে ফেললেও, সংবেদনশীল শিল্পী ভেতরে ভেতরে নিজের অজান্তে ক্ষয়ে যেতে পারেন। ইরফান যেন বলতে চাইছেন, প্রকৃত শিল্পীর কাজ হল এগুলোকে পাশ কাটিয়ে চলা। এইসব মোহিনী অপ্সরার হাতছানি এড়িয়ে যথার্থ দুর্বাসাকঠিনসম ঋষির মতো নিজস্ব সৃষ্টিকর্ম ও ধ্যানে নিবিষ্ট হওয়া।
কিন্তু তা কি সবসময়ে সম্ভব হয়ে ওঠে? ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-র আর এক প্রাক্তনী কিংবদন্তী নাসিরুদ্দিন শাহ-র কথা ধরা যেতে পারে। অমিতাভ বচ্চন থেকে রাজেশ খন্না, ভারতীয় নির্বাচন থেকে এনআরসি ইস্যু— অনেক বিষয়ে মুখ খুলে নাসির বহু বার অনাহুত বিতর্ক এনেছেন, যার সপক্ষে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন বহুস্তরিক ভারতীয় গণতন্ত্রে ‘ব্যক্তিগত মতামত’ ও ‘শিল্পীর দায়িত্ব’ ইত্যাদি সমাসবদ্ধ শব্দদ্বয়ের কথা। এমনকি তাঁর বাগাড়ম্বরপূর্ণ আত্মজীবনী ‘এবং তারপর একদিন’-এর ‘আমার দাগগুলোকে খোঁজা’ অধ্যায়ে আমরা দেখব, সেখানেও সমাজ থেকে শুরু করে সবাইকে দুষে নাসির বলছেন, কেন অভিনেতাকে ‘পাবলিক প্রপার্টি’ হিসেবে ভাবা হবে যেখানে তিনি সামাজিক জীবনে বিড়ম্বিত হতে পারেন, ‘‘যেখানে অচেনা লোকেরা এসে হঠাৎ করে আমার কাঁধে হাত রাখবে, একটা সই পাওয়ার জন্য অসভ্যের মতো অ্যাপ্রোচ করবে, যখন তারা দেখছে সেইসময় হয়তো আমি আমার খাবার খাচ্ছি।’’ নাসির উদাহরণ দিয়েছেন সৈয়দ মির্জা-কৃত ‘অ্যালবার্ট পিন্টো কা গুসসা কিঁউ আতা হ্যায়’ সিনেমায় জনতার মধ্যে তাঁর এবং শাবানা আজমি অভিনীত একটি দৃশ্যের লুকিয়ে নেওয়া দৃশ্যগ্রহণের, যেখানে শাবানাকে রাস্তায় সাধারণ মানুষ চিনে ফেলে ও তাঁকে ঘিরে ধরে। শাবানা বিরক্ত হন এবং নাসির বলছেন, উত্তেজিত জনতার সঙ্গে নাসিরের বাদানুবাদের ফলে এমন এক অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হয় যে সে দিন তিনি প্রায় ‘খুন’ হয়ে যেতেন। নাসির ভারতীয় জনতার এই ‘কদাকার’ চেহারার কথা উল্লেখ করেও বলছেন যে, তা সত্ত্বেও তিনি তাঁর চরিত্রের অন্তর্গত এক বৈপরীত্যের কথা অস্বীকার করতে পারেন না। তাঁর ভাষায়, ‘‘আমাকে লোকে জানুক আমি চেয়েছিলাম। আমি বড়লোক হতে চেয়েছিলাম। আমার দিকে লোকে তাকিয়ে দেখুক আমি চেয়েছিলাম। আমাকে নিয়ে কথা হোক আমি চেয়েছিলাম। আর যখন সেগুলো সত্যিসত্যিই হতে শুরু করল, আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম যে আমি আসলে এগুলো থেকে পালাতে চাই। আগন্তুকদের আদিখ্যেতা, তাদের ‘আমাকে চেনা’ হাবভাব বা তাদের বলা প্রশংসাবাক্য আমি কিছুতেই সিরিয়াসলি নিতে পারি না।’’ হয়তো এই চারিত্রিক বৈপরীত্য থেকেই ভারতীয় ওই জনতার কাছে নিজের অনেকানেক শিল্পপ্রসঙ্গহীন মতামত ক্রমাগত তুলে ধরেন নাসির, যা তাঁর ওই ইরফানকথিত ‘নিয়তি’ বার বার নির্দিষ্ট করে দেয়।
কিংবদন্তী নাসিরুদ্দিন শাহ-র সঙ্গে ইরফান খান।—ফাইল চিত্র।
নাসিরের আর এক এনএসডি সহপাঠী, যিনি পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, নাসিরের উস্কানিতেই অভিনেতা হওয়ার জন্য পুণের ফিল্ম স্কুলে ভর্তি হন এবং তখন তাঁর একখানা ভাল শার্ট পর্যন্ত ছিল না, যা পরে তিনি ওই ফিল্ম স্কুলে যেতে পারেন, সেই প্রয়াত আর এক কিংবদন্তী অভিনেতা ওম পুরি অবশ্য কখনও এই ধরনের বিতর্কে জড়াননি, নিজের মতামতের চেয়েও শিল্পকর্মকেই সমধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। ওম পুরি মনে করতেন যে শিল্পীর পরিচয় শিল্পই হওয়া উচিত, যদিও তিনি মনে করতেন তৃতীয় বিশ্বের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ সেই ধ্যানমগ্ন পরিচয়টিকে বারেবারে চ্যুত করতে চায়। তাঁদের অনুজ আর এক বিখ্যাত অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ীও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বারে বারে বলেছেন, তিনি এক জন প্রধানত ‘প্রাইভেট পার্সন’ এবং তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ও অভিনেতা জীবন দুটি পৃথক তাকে তুলে রাখার তিনি পক্ষপাতী। প্রায় অনুরূপ অভিমত অভিনেতা কে কে মেননেরও। আর এক কিংবদন্তী অভিনেতা সাংসদ পরেশ রাওয়াল অবশ্য তা মনে করেন না। তিনি তাঁর সাক্ষাৎকারে এত দূর পর্যন্ত বলেছেন যে তিনি তাঁর থিয়েটার সিনেমা ‘ওহ মাই গড’ আধারে নির্মিত ‘কিষেণ ভার্সাস কানহাইয়া’-তে তাঁর ব্যক্তিগত ধর্ম ও ঈশ্বর বিষয়ক মতামতই আসলে তুলে ধরতে চেয়েছেন, যা তাঁর রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গেলেও তাঁর কিছু যায় আসে না।
থিয়েটারকে কখনও ভোলেননি ইরফান।—ফাইল চিত্র।
এ কথাগুলো এ কারণেই বলা যে, ইরফান তাঁর ওই মৃত্যুপূর্ব সাক্ষাৎকারে যা বলতে চেয়েছেন তার নির্গলিতার্থ এই যে, শিল্পীর ব্যক্তিগত যা-কিছু মতামত তৃতীয় বিশ্বের কলুষ পরিসরে উন্মোচিত হলে, তা তাঁর শিল্পীসত্তাকে ধ্বংস করে, ক্ষইয়ে দেয়। কিন্তু ইরফানের বা ওম পুরির অভিনয় ও জীবনযাপন রীতি নাসিরুদ্দিনের থেকে পৃথক, তার একটা বড় কারণ এই যে, খ্যাতি পেয়ে যাওয়ার পরও নাসির কখনও থিয়েটার থেকে সরে যাননি। সিনেমায় জড়িয়ে থাকলে তাও পুঁজির নিজস্ব যুক্তিবাদ অভিনেতাকে একইসঙ্গে নীরব ও ধ্যানমগ্ন রাখতে সাহায্য করতে পারে, থিয়েটারের ঘর্মাক্ত পাটাতনে তা বিশেষ বাস্তবোচিত হয়ে ওঠে না। নাসির, পরেশ, মকরন্দ দেশপাণ্ডেরা তাই অভিনেতার খ্যাতি পাওয়ার পরও সামাজিক স্তরে সরব থাকতে পারেন, যা প্রয়াত ইরফান কথিত একটি নিয়তিকেই নির্দিষ্ট করে দেয়। কিন্তু তাতে আর এক সমস্যা বড় হয়ে ওঠে এই যে, শিল্পীকে তাঁর ওই মতামতের থেকে পৃথক করে দেখা বা এ দুটিকে পৃথক তৌলযন্ত্রে পরিমাপ করা। তৃতীয় বিশ্বের নাসির কথিত ওই ভারতীয় ‘উন্মত্ত’ জনতা বা গণমাধ্যম বা বুধসমাজ হয়তো তখন নিজের মতো করে ওই নিঃশব্দ পৃথকীকরণ চালাতে থাকেন, কিন্তু শিল্পীর জীবদ্দশায় সম্ভবত তা রয়ে যায় অনুক্ত তথা অনুচ্চারিত। ইরফানের বিশাল অভিনয়ের মাপ হয়তো ভবিষ্যতে একশোয় একশো দশ হয়ে যেতে পারত, যদি তা এখন আশি ছুঁই ছুঁই হয়ে যায়। নাসিরের জীবদ্দশায় সেই মতামত হয়তো এই পরিবেশে তা নব্বুই থেকে হয়তো নামিয়ে আনে পচাঁত্তরে, যা ভবিষ্যতে তাঁর জীবনোত্তর মূল্যমানকে নিঃসন্দেহে একশো পার করে দেবে। এনএসডি-র এই তিন প্রাক্তনীর অভিনয়রীতি নিঃসন্দেহে ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের সামাজিক ও শৈল্পিক মতামত এই ভাবে নানান পারসেপশনের চোরাস্রোতে ভারতীয় পরিমণ্ডলে ঘুরপাক খেতে থাকে।
যে কাজ রেখে গেলেন আগামী একশো বছর দর্শক তা মনে রাখবে।—ফাইল চিত্র।
পরেশ রাওয়াল তাঁর ওই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ভারতীয় সিনেমার ক্ষেত্রে অভিনেতার দুর্ভাগ্য হল এই যে, এ ছাড়াও এমন একটি ছক এখানে কাজ করে যে, কেউ যদি নির্দিষ্ট একটি ‘প্রোটোটাইপ’ যথা ‘কমেডিয়ান’ বা ‘খলনায়ক’ হিসেবে খ্যাতি পেয়ে যান, প্রযোজক-পরিচালকেরা তাঁকে সেই আবর্তেই ঘুরিয়ে মারেন। পরেশ বলেছিলেন ‘সর্দার’ সিনেমায় তাঁর বল্লভভাই পটেলের চরিত্রের কথা, ‘ওয়ে লাকি ওয়ে ওয়ে’-তে লাকির পিতার চরিত্রটির কথা বা ‘হেরা ফেরি’-তে অভিনীত ‘বাবুরাও আপ্তে’ চরিত্রের কথা, যেগুলি তাঁর অভিনেতা হিসেবে একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নকে ভেঙে দিতে সাহায্য করেছে। ছবিগুলির পরিচালকদেরও এ প্রসঙ্গে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেছেন পরেশ রাওয়াল। হয়তো একই আক্ষেপ ছিল বাংলার কিংবদন্তী নায়ক-অভিনেতা উত্তমকুমারেরও, ‘দুই পৃথিবী’ বা ‘যদুবংশ’ বা আরও অল্প কিছু ছবি ছাড়া নাকি নায়কের ‘ভার্সেটাইল’ অভিনয় ক্ষমতাকে সে ভাবে ব্যবহার করেনি টালিগঞ্জ। তাও ছবি বিশ্বাস, উত্তমবাবুর সময়ে বা নাসির-পরেশ রাওয়ালদের জীবনের শুরুর দিকে হয়তো অভিনেতাকে ব্যবহারের একটি গতানুগতিক ছক ছিল ভারতীয় সিনেমার, কিন্তু বিশ্বায়ন-উত্তর সর্বোত্তম অভিনেতাদের তালিকার গোড়ার দিকে অবস্থিত ইরফান খানের ক্ষেত্রে এ অভিযোগ খাটে না। হয়তো আরও অনেক অপূর্ব অভিনয় ‘মকবুল’ বা ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ বা ‘লাঞ্চবক্স, ‘পিকু, বা ‘পান সিং তোমর-এর এই শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জীবনপর্দায় করতে বাকি রয়ে গেল, কিন্তু যা আমরা পেলাম তা-ও চেটেপুটে খেতে আমাদের আরও অন্তত একশো বছর লাগবে।
আরও পড়ুন: আমার আকাশে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে ইরফান
কেমন অভিনেতা ছিলেন ইরফান? ‘অনবদ্য, ‘অলোকসামান্য, ‘অভূতপূর্ব’ ইত্যাদি বাহুল্যবর্জিত ও ক্লান্তিদায়ী বিশেষণাবলীতে না ঢুকে যদি তাঁর অভিনয়রীতিকে বিশ্লিষ্ট করি, দেখব তা বোঝাতে আমাদের মতো অভাজনদের মহাজনপন্থা অনুসরণ না করে উপায় নেই। কিংবদন্তী অভিনেতা মার্লোন ব্র্যান্ডো তাঁর লেখা আত্মজীবনী ‘যে গানগুলি মা আমাকে শিখিয়েছিলেন’-এর উনত্রিশতম অধ্যায়ে চলচ্চিত্র ও নাট্য অভিনয়ের সুলুক নিয়ে একটি মনোজ্ঞ আলোচনা করেছেন। তাতে অনেক কথা বলার ফাঁকে তিনি উদ্ধৃত করেছেন নাট্যনির্দেশিকা ও শিক্ষিকা স্টেলা অ্যাডলারের ইহুদি অভিনেতা পিতা জ্যাকব অ্যাডলারের বলা একটি কথা। জ্যাকব তাঁর অভিনেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “যদি তুমি একশো শতাংশ অনুভব কর, তবে দর্শকদের তার আশি শতাংশ দেখাও। যদি তুমি ষাট শতাংশ অনুভব করে থাকো তবে ওদের চল্লিশ শতাংশ দেখাও। কিন্তু যদি তুমি চল্লিশ শতাংশই অনুভব করতে জানো, তবে দোহাই, আর যাই হোক অভিনয় কোর না।’’ আমাদের এই চল্লিশ শতাংশেরও নীচে অনুভব করা বা উচ্চকিত বা মিনমিনে কণ্ঠসর্বস্ব, ভুল উচ্চারণ কণ্টকিত এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারিকতাবাদকে ‘অভিনয়’ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার যুগে (স্টেলা বলেছিলেন, সে-ই খারাপ অভিনেতা যে, অভিনীত চরিত্রটির বৃহৎ মাপ-কে নিজের চরিত্রের ক্ষুদ্রতর মাপে আঁটিয়ে নেয়) ইরফান খান ছিলেন সেই বিরল ব্যতিক্রম, যিনি অভিনয়ের ক্ষেত্রে চোখ ও মাংসপেশীকে সর্বাত্মক গুরুত্ব দিতেন। তাঁর প্রকাশের ক্ষমতাকে তিনি যেমন কখনও সোচ্চার করে তুলতেন না, আবার ‘স্বভাববাদী’ অভিনয়ের তকমা তথা সুবিধাবাদ নিয়ে কখনও চরিত্রকে নিজের অক্ষমতার মাপে আঁটিয়ে নিতেন না। তিনি ছিলেন সেই ধ্রুপদী অর্কেস্ট্রার শ্রেষ্ঠ বাজনদার, যাঁর পরিমিতিবোধ, নিষ্ঠা এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন আর পাঁচ জনের থেকে তাঁকে স্বভাবত স্বতন্ত্র করে তুলেছিল। যাঁকে পর্দায় দেখলেই মনে হয় যেন দানিকেনবর্ণিত সেই গ্রহান্তরী দিব্যোন্মাদনার ইশারা অভিনেতার সর্বাঙ্গ থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে। ইরফান খান ছিলেন সেই সুদূরকাল থেকে চলে আসা সেই মহৎ অভিনেতাবৃন্দের অন্যতম, যাঁর তিপান্ন বা তিরানব্বুইতে মৃত্য একটি সংখ্যা মাত্র, আদতে সংখ্যাত্তীর্ণ এক অলৌকিক অমরত্বের অধিকারী তিনি। স্প্যানিশ ফ্লু থেকে কলেরা হয়ে করোনায় উপনীত মনুষ্যপ্রজাতি এবং শিল্পরসিকেরা, যাঁকে ধুঁকতে ধুঁকতেও আজীবন স্মরণে রাখবে।
আরও পড়ুন: ‘এত তাড়াতাড়ি চলে গেলে?’ ইরফানের মৃত্যুতে কাঁদছে বলিউড
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy