‘আলো ছায়া’ ধারাবাহিকের একটি দৃশ্য। নিজস্ব চিত্র।
‘আলো ছায়া’ নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে দর্শকের। গত সপ্তাহের রেটিং ছিল ৫.৪। তার আগের সপ্তাহে ছিল ৪.৩। অর্থাৎ, রেটিং আস্তে আস্তে বাড়ছে জি বাংলার ‘আলো ছায়া’র। বাস্তব তুলে ধরছে বলেই কি রেটিং বাড়ছে ‘আলো ছায়া’র?
প্রথম খোঁজ ‘আলো ছায়া’র ‘আলো’ ওরফে দেবাদৃতার কাছে। তিনি জানালেন, প্রত্যেক মানুষের জীবনে আলো আর ছায়ার অবস্থান। আলো থাকলে ছায়া থাকবেই। যদিও ধারাবাহিকে ছায়া মোটেই নেগেটিভ চরিত্র নয়। আলোর সঙ্গে ওর খুবই ভাব। আপাতত বাবানের ভালবাসায় অন্ধ হয়ে সে ভুল বুঝছে আলোকে। এই ঘটনা কিন্তু কমবেশি সব ঘরের। বোনে বোনে এই সংঘাত কি আজকের? সেটাই তুলে ধরেছে ‘আলো ছায়া’। ছোটপর্দায় মেয়েদের লড়াই, সাফল্য দেখতে খুব পছন্দ করেন দর্শক। কারণ, একটা বড় অংশ মানবী বলে। ফলাফল তাই ভাল হচ্ছে।
শুরু থেকে আলো ‘ছায়া’ হয়ে জিতিয়ে এসেছে বোনকে। এ বারেও কি তাই-ই হবে? দেবাদৃতার মতে, আলো বোনের জন্য অনেক লড়াই লড়তে রাজি। বোনের জীবন বাঁচাতে একসময় হয়তো নিজের শ্বশুরের বিরুদ্ধেও যেতে হবে। যেটা খুবই সমস্যার। তবু আলোর কাজই তো সব কিছু ভাল করে দেওয়া ছায়ার জীবনে!
‘আলো ছায়া’র গল্পও অনেক মার্জিত, টানটান। নিজস্ব চিত্র।
আলো-আকাশের প্রেমটাও জমব জমব করছে... দেবাদৃতার গলায় খুশির সুর। বললেন, ‘‘এত দিন বিয়ে হয়েছে। আকাশ আলোর ভাল বন্ধু। কিন্তু সেখানে প্রেম ছিল না। এ বার সেটাও আসছে। আকাশ আরও কাছে টেনে নিচ্ছে আলোকে। বুঝতে চেষ্টা করছে। এক জন শিক্ষিত মেয়ের এত লড়াইয়ের পাশাপাশি রোম্যান্স। এর টান অগ্রাহ্য করার উপায় নেই।’’
আরও পডু়ন: রামের সামনে করজোড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
আরও পডু়ন: ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি কী ভাবে মোকাবিলার চেষ্টা করছে বেইরুট
এই গল্প তো প্রায় সব ধারাবাহিকেই। তবু কেন জনপ্রিয়তা বাড়ছে ‘আলো ছায়া’র? এই প্রশ্নের আলাদা উত্তর পাওয়া গেল প্রযোজক সুশান্ত দাসের কাছ থেকে, ‘‘আমরা কিন্তু অন্য ধারাবাহিকের মতো গ্রাম্য, তথাকথিত অশিক্ষিত মেয়ে সময়ের তালে লড়াইয়ে জিতছে বা নিজেকে ঘষে মেজে তৈরি করছে, সেটা দেখাচ্ছি না। আলো কিন্তু অন্যদের মতো নয়। এখানে এক শিক্ষিত মেয়ের লড়াইয়ের গল্প। তাই ধারাবাহিকের গল্পও অনেক মার্জিত, টানটান। সেটাই টানছে দর্শকদের।’’
ছোটপর্দায় মেয়েদের লড়াই, সাফল্য দেখতে খুব পছন্দ করেন দর্শক। নিজস্ব চিত্র।
যে ভাবে একের পর এক মোচড় আনছেন সুশান্ত, এই ধরনের চরিত্র কি তাঁর নিজের দেখা? সুশান্তের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে পরিচালনা, প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে বোঝেন, কোন বয়সের দর্শক কী দেখতে চান নায়ক বা নায়িকার থেকে। সেটাই তিনি রেকর্ডিং করে ফোনে ফোনে পাঠিয়ে দেন সেটে। সেই অনুযায়ী তৈরি হয় প্রতি পর্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy