রানি মুখোপাধ্যায়।
বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম নাম রানি মুখোপাধ্যায়। তাঁর কেরিয়ারের প্রথম ১০ বছরের গ্রাফ লক্ষ করলে দেখা যাবে, ২০০৫ সালে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘ব্ল্যাক’ তাঁর গায়ে প্রথম পরিণত অভিনেত্রীর তকমা সেঁটে দেয়। তার আগে হালকা চালের কমার্শিয়াল ছবিতে সাফল্য পেলেও, এই ছবি তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়।
ঠিক একই ভাবে ১৩ বছর পর, ২০১৮ সালে কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে সিদ্ধার্থ পি মলহোত্রের ‘হিচকি’ রানির সেই অভিনয় দক্ষতার কথা ফের এক বার মনে করায় দর্শককে। এই দুই ছবিতেই রানি বিশেষ ভাবে সক্ষম দুই নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রথমটিতে অন্ধ-বধির মিশেল ম্যাকনালি এবং দ্বিতীয়টিতে ট্যুরেট সিন্ড্রোমে আক্রান্ত নয়না মাথুর নামে এক শিক্ষিকা, কথা বলতে গিয়ে যাঁর কথা আটকে যায়।
এই চরিত্রগুলি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে প্রত্যেক বারই রানির সামনে খুলে গিয়েছে নতুন দিক। বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের মনের জোর এবং সাহস তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে বার বার। পথে আসা সব বাধা পেরিয়ে জয়ী হওয়ার অদম্য ইচ্ছাশক্তি রানি পেয়েছেন তাঁদের থেকেই। এ যেন অভিনেত্রী রানির সঙ্গে ব্যক্তি রানির জীবনেও এক গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি।
আরও পড়ুন: আজকের দিনে মাধ্যম নিয়ে অভিনেতার বাছবিচার সাজে না: আদৃত রায়
সেই উপলব্ধির কথা বলতে গিয়েই রানি ‘ব্ল্যাক’ এবং ‘হিচকি’র শ্যুটিংয়ের সময় তাঁর অভিজ্ঞতা জানালেন। এই চরিত্রগুলিতে অভিনয়ের সময়ে রানি প্রথম বুঝেছিলেন বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষেরা কোনও ভাবেই আলাদা নন। ‘আমরা’ এবং ‘ওরা’ ভেদাভেদটা যে আসলে অর্থহীন, জীবনের এত বড় শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে।
বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য আন্তর্জাতিক দিবসে বৃহস্পতিবার রানি এই ভেদাভেদ মুছে ফেলার বার্তা দিয়েছেন। তিনি আশাবাদী, ‘মিশেল’ বা ‘নয়না’র মতো চরিত্রগুলি সব মানুষকে সমান ভাবতে শেখার অনুপ্রেরণা জোগাবে।
আরও পড়ুন: বডি হাগিং টপ, শর্ট স্কার্টে সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন জ্বালালেন মিমি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy