রণবীরের মতে শিল্পীদের জন্য কোনও ভৌগোলিক সীমা হয় না। ছবি-সংগৃহীত
শুধু যে মুম্বইতেই কাজ করতে চান রণবীর কপূর, তা নয়। অন্য ইন্ডাস্ট্রি থেকে প্রস্তাব এলে খুশিই হবেন, এমনই জানালেন সম্প্রতি। বিশেষত পাকিস্তানি ছবি করার সুযোগ পেলে তিনি এক পায়ে রাজি। এ দিকে শেষ ৬ বছর ধরে ভারত-পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানই যে বন্ধ! কিন্তু প্রযোজনা সংস্থা অন্য কোথাও হলে কাজ করবেন কি? সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নটি রেখেছিলেন এক বর্ষীয়ান পাকিস্তানি পরিচালক।
জবাবে রণবীর বললেন, “অবশ্যই স্যর। আমি মনে করি, শিল্পীদের জন্য কোনও ভৌগোলিক সীমা হয় না। মিলেমিশে থাকা এবং আদানপ্রদানই শিল্পের সমৃদ্ধির মূল শর্ত। ‘মওলা জাট’-এর মতো কাজের জন্য আপনাদের কুর্নিশ। শেষ ক’বছরে এটা অন্যতম বড় কাজ যা আমি দেখেছি। আমার খুব ভাল লাগবে পাকিস্তানের কোনও ছবির অংশ হতে পারলে।”
প্রসঙ্গত, ফওয়াদ খান এবং মাহিরা খান অভিনীত ‘দ্য লেজেন্ড অফ মওলা জাট’ মুক্তি পেয়েছে চলতি বছর অক্টোবরে। ফওয়াদ এবং মাহিরা দু’জনেই ভারতীয় ছবিতে কাজ করেছেন। ‘রইস’-এ শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা গিয়েছে মাহিরাকে। ‘খুবসুরত’এবং ‘কপূর অ্যান্ড সন্স’-এ অভিনয় করেছেন ফওয়াদ। সুযোগ পেলে এ ধরনের উদাহরণ রণবীরও তৈরি করবেন বলে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।
১৫ বছরের অভিনয় জীবনে কত কিছুই দেখলেন তিনি। তারকাসন্তান হওয়ার কারণে বিশেষ খ্যাতি পেয়েছেন তা নয়। রণবীরের মতে, তিনি যা কিছু করেছেন, নিজের চেষ্টায়। কন্যা রাহার জন্মের পর সব কিছু নতুন করে উপলব্ধি করছেন অভিনেতা। জীবন প্রায় ৪০ ছুঁইছুঁই। পরিকল্পনাগুলি একটু গুছিয়ে নিতে চাইলেন এ বার।
জানালেন, কয়েক বছরের মধ্যে পরিচালনায় আসতে চান। নিজের পরিচালিত ছবিতে অভিনয়ও করবেন প্রয়োজন পড়লে। বললেন, “আমি বরাবরই ছবি বানাতে চেয়েছি। কিন্তু গল্প লেখার সাহস করে উঠতে পারিনি এখনও। চেয়েছি, গল্পগুলো নিজে থেকে আসুক। কিন্তু তার পরও কিছু দাঁড় করাতে পারিনি। কারণ, আমি লেখক নই। অন্যের সঙ্গে চিন্তাভাবনাগুলো ভাগ করতেও লজ্জা করে। কিন্তু পারব। আগামী ১০ বছর এটাই করতে হবে আসলে। আমি পরিচালনায় আসবই। আশা করি সেগুলোতে অভিনয়ও করব।”
রণবীরের কথায় উঠে এল ‘শমশেরা’র ব্যর্থতার প্রসঙ্গও। বললেন, “কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় ভুল এই ছবিতে আমি করেছি। প্রচণ্ড গরমে নকল দাড়ি ঠিক রাখতে গিয়ে মনে হচ্ছিল আমার মুখটাই গলে যাচ্ছে। বক্স অফিসে ধরাশায়ী এই ছবি থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি।”
২০১৭ সালে নিজের প্রযোজিত ছবি ‘জগ্গা জাসুস’ নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। সে ছবিও বক্স অফিসে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু কারণ এখনও বুঝতে পারেননি রণবীর। বললেন, “আমাদের সবার প্যাশন থেকে করা কাজ। অনুরাগ বসুর পরিচালনা। হৃদয়স্পর্শী কাহিনি। তা সত্ত্বেও সেই ছবি চলল না। খারাপ লাগে এমন বিষয়গুলো। এখনও ভাবলে কষ্ট হয়।”
রণবীর অভিনীত শেষ ছবি ছিল স্ত্রী আলিয়া ভট্টের সঙ্গে। অয়ন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ চলতি বছর বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই ছবির সেটেই প্রেমে পড়েছিলেন ‘রণলিয়া’। তার পর সাততাড়াতাড়ি বিয়ে। আর এখন তাঁদের কোল জুড়ে কন্যা রাহা নতুন জীবনের জয়গান গাইছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy