অ্যানিমেশনে রাম-সীতা। ছবি: সংগৃহীত।
বিজয়া দশমী আর দীপাবলির মধ্যবর্তী সময়ে নানা কাজ মিটিয়ে লঙ্কা থেকে অযোধ্যার দিকে পাড়ি দিয়েছিলেন রামচন্দ্র, ১৪ বছর পর। সঙ্গে ছিলেন সীতা, লক্ষ্মণ, হনুমান ও বানরসেনা। এ বছর সেই সময়েই পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে, ‘রামায়ণ: দ্য লেজেন্ড অফ প্রিন্স রাম’, প্রায় ৩২ বছর পর।
ইন্দো-জাপানি প্রযুক্তিতে তৈরি এই বিশেষ অ্যানিমেশন ছবিটি তৈরি হয়েছিল ১৯৯২ সালে। তার পর, চলতি বছর ১৮ অক্টোবর প্রথম বার হিন্দি, তামিল, তেলুগু এবং ইংরিজি ভাষায় মুক্তি পাবে বড় পর্দায়। এ ছবি যখন তৈরি হয়েছিল তখন প্রযুক্তির এমন উন্নতি হয়নি। হাতে এঁকেই তৈরি করা হত অ্যানিমেশন। তার পর বহু জল গড়িয়েছে গঙ্গা দিয়ে। এখন উন্নত কৌশলে অ্যানিমেশন করা যেমন সহজ, তেমনই ঝকঝকে সেই সব ছবি। তবু ভারতীয় দর্শকের মধ্যে এই তিন দশকের পুরনো ছবি নিয়ে আগ্রহ রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারত ও জাপানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত এই ছবি যৌথ ভাবে প্রযোজনা করেছিলেন জাপানের উগো সাকো এবং ভারতের রামমোহন। যদিও বিদেশি হাতে ভারতীয় মহাকাব্যের এই নির্মাণ নিয়েও কম বিতর্ক তৈরি হয়নি। এক দিকে অ্যানিমেশন, অন্য দিকে বিদেশি প্রযোজনা। ফলে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গত বছর ‘আদি পুরুষ’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই অনেকে বলতে শুরু করেছিলেন এই বিশেষ ছবিটির কথা। ভারতীয় মহাকাব্যের প্রথম অ্যানিমেশন ছবি হিসাবে উঠে আসে এই ছবিটির নামই। এর ইংরিজি সংস্করণে রাম ও রাবণের চরিত্রের জন্য কণ্ঠদান করেছিলেন ব্রায়ান ক্র্যানস্টন এবং জেমস আর্ল জোন্স। হিন্দিতে অরুণ গোভিল এবং ওমরীশ পুরি। ইতিমধ্যেই নতুন করে পোস্টার ও টিজ়ার প্রকাশ করা হয়েছে। গত কয়েক মাসে বাংলা, হিন্দি বা দক্ষিণ ভারতীয় নানা ছবি পুনর্মুক্তি পেয়েছে। সম্প্রতি সত্যজিৎ রায়ের ‘মহানগর’-এর পুনর্মুক্তির কথাও জানা গিয়েছে। সেই সময় আবারও পর্দায় ফিরতে চলেছে রামায়ণ।
ভারতের একটি প্রযোজনা সংস্থা নতুন করে ছবিমুক্তির কথা ভাবছে। তাদের তরফে অর্জুন অগরওয়াল বলেন, “আমাদের বিশ্বাস ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ এই ছবিটি দেখবেন। যে হেতু অ্যানিমেশন, ফলে শিশুদের বিশেষ আগ্রহ থাকবে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কেরাও এই ছবির প্রতি আকৃষ্ট হবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy