সবাইকে থতমত করে এগিয়ে যান রাখি, আবার পোশাকে পা জড়িয়ে আটকে যান, আবার চলেন। ছবি—সংগৃহীত
গাড়ি থেকে নামলেন রাখি সবন্ত। সারা গায়ে স্ফটিকের আবরণ। বক্ষবন্ধনীও স্ফটিকের। সোনালি চুলের ঝাপটেও ঝিকমিক করছে অলঙ্কার। তবে কোমরের নীচ থেকে কালো বস্ত্রখণ্ড সামলাতে হিমশিম খেলেন রাখি। গাড়ি থেকে নেমে পা দিলেন তার উপরই। পায়ে জড়িয়ে হাঁটতেই পারছেন না। টেনে সরাতে গিয়ে ঊরুর কাছের আবরণ সরে গেল। আলোকচিত্রীরা ঘিরে দাঁড়িয়ে তাঁকে ক্যামেরায় ধরতে ব্যস্ত। রাখি অবশ্য এ সব বিষয়ে পরোয়া করেন না। তিনি জানেন, এক বার মুখ খুললে সবাই তাঁর বিতর্কিত মতামত নিয়েই ভাবতে শুরু করবেন। তাই পোশাক সামলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলেন মডেল-অভিনেত্রী।
অনুষ্ঠানে এসে রেড কার্পেটে দাঁড়িয়ে রাখিকে বলতে শোনা যায়, “প্রেমিককে পাথর দিয়ে মেরো না। একেবারেই আঘাত কোরো না। বোমা বিস্ফোরণের যুগ এটা, স্রেফ বোমা মেরে উড়িয়ে দাও তাকে।”
এ কথা বলতেই বিস্ফোরণ। সবাইকে থতমত করে এগিয়ে যান রাখি, আবার পোশাকে পা জড়িয়ে আটকে যান, আবার চলেন। তবে একটু পরেই তাঁর কথার সূত্র ধরে হেসে ওঠেন উপস্থিত সকলে। সেই ভিডিয়ো নিমেষে ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। রাখি কি নিজের স্বামীর কথা মনে করেই এমন সমাধান বাতলালেন?
আদিল খান দুরানিকে ভালবেসে বিয়ে করে ধর্মও বদলে ফেলেছিলেন তিনি। মুসলিম হওয়ার পর রাখির নামের সঙ্গে জুড়েছে ‘ফতিমা’। তবে আদিল আর তাঁর সম্পর্ক এখন দোদুল্যমান। রাখির আনা অভিযোগে আদিল এখন জেলে। তবে স্বামীর সঙ্গে এত মনোমালিন্যের পরেও ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেননি রাখি। রমজান মাসে জীবনের প্রথম রোজা পালন করেছেন রাখি। আবার বুক চাপড়ে কেঁদেছেনও স্বামীর জন্য। রাখির নাটকীয় উপস্থিতি প্রতি মুহূর্তে বিভ্রান্ত করে সকলকে। তাঁর মনোভাব বুঝে ওঠা দায়, মনে করেন অনুরাগীরাও।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সইসাবুদ করে বিয়ে করেন রাখি ও আদিল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রকাশ্যে আসে বিয়ের খবর। তার পরই রাখিকে বোরখা পরা অবস্থায় দেখা যায়। স্বামী ও তাঁর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নাকি ওই সিদ্ধান্ত নেন টেলি অভিনেত্রী। যদিও ইদানীং তাঁকে আবার আগের রূপেই ফিরে আসতে দেখা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy