নতুন আবাসন প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা করার সম্ভাবনা রয়েছে গোদরেজের। ফাইল চিত্র
মুম্বইয়ে রাজ কপূরের বাংলো ভেঙে বিলাসবহুল আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলবে গোদরেজ সংস্থা, এ খবর আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু কত টাকার চুক্তিতে ‘মেরা নাম জোকার’ অভিনেতার ভিটের মালিকানা পেয়েছে গোদরেজ প্রপার্টিজ় লিমিটেড, তা অবশ্য জানা যায়নি। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, নতুন করে গড়ে উঠতে চলা সেই আবাসন প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা করার সম্ভাবনা রয়েছে গোদরেজের। প্রতিটি ফ্ল্যাটের বিক্রয়মূল্য এই অনুযায়ী ধার্য হবে।
শুক্রবার গোদরেজ প্রপার্টিজ় লিমিটেড জানিয়েছে, আবাসন প্রকল্পটি তৈরি করতে মুম্বইয়ের চেম্বুরে জায়গা খুঁজছিল তারা। রাজের ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ বাংলোটি সে দিক দিয়ে আদর্শ। গোদরেজের চেয়ারম্যান পিরোজশা গোদরেজ জানান, কপূরদের থেকে কেনা মোট জমির পরিমাণ ১ একর, যা বাংলায় দেড় বিঘার একটু বেশি। সেখানেই গড়ে উঠবে অত্যাধুনিক বিলাসবহুল নতুন থাকার জায়গা। জমিটি কপূর পরিবারের উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকেই বৈধ চুক্তিতে কিনেছে গোদরেজ। চুক্তিতে উল্লিখিত বিক্রয়মূল্য গোপন রাখা হয়েছে।
আবাসন প্রকল্পটি মুম্বইয়ের চেম্বুরে দেওনার ফার্ম রোডে, টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্স-এর গা ঘেঁষে গড়ে উঠতে চলেছে। এর আগে ২০১৯ সালে কপূরদের আরও একটি সম্পত্তি কিনে নেয় গোদরেজ। চেম্বুরেই অবস্থিত আর কে স্টুডিয়ো। সেখানেও একটি প্রকল্প গড়ে উঠছে, যেটি শেষ হবে চলতি বছরেই।
গোদরেজের প্রধান গৌরব পাণ্ডে বললেন, “আমাদের পোর্টফোলিয়োতে এমন বৈগ্রহিক কাজ রাখতে পেরে আমরা খুবই খুশি। কপূর পরিবারের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ, আমাদের উপর এতটা ভরসা করার জন্য।” গত কয়েক বছর ধরেই বড় করে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে গোদরেজের মতো বিপণন সংস্থা। গৌরব জানান, চেম্বুরে তাঁদের অবস্থান দৃঢ় হলে তাঁরা আরও সমৃদ্ধ হবেন ব্যবসায়।
কপূরদের পুরনো ভিটেয় অনেক অনেক পারিবারিক আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে পরতে পরতে রয়েছে ইতিহাস। রণধীর কপূর বলেন, “কপূর পরিবারের কাছে এই বাংলো কতখানি, তা বলে বোঝাতে পারব না। কত স্মৃ্তি…কত ইতিহাস, সব এখানেই। কিন্তু গোদরেজের সঙ্গে হাত মেলাতে পেরে আমরা এই পারিবারিক সম্পদকেই পরের ধাপে নিয়ে যেতে পারব। তারা দেশের অন্যতম বড় সংস্থা যারা রিয়েল এস্টেট ব্যবসার উন্নতিতে সচেষ্ট। অতএব আমরা আশাবাদী।”
প্রসঙ্গত, গোদরেজ সংস্থা সারা ভারত জুড়ে এমন ১৫টিরও বেশি জমি কিনে ফেলেছে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রকল্প নির্মাণের পর যেগুলির বিক্রয়মূল্য দাঁড়াবে ২৮ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। মার্চ মাসের মধ্যে আরও কিছু জমি সেই তালিকাভুক্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy