ফ্লপের নজিরের জন্যেই পরিচালক প্রকাশ মেহরা অমিতাভকে নিতে আগ্রহী ছিলেন না। ছবি: সংগৃহীত।
আশি পেরিয়েও পুরোদমে অভিনয় করে চলেছেন অমিতাভ বচ্চন। তাঁর জীবনীশক্তি যেন অফুরান। অথচ তিনিই নাকি একটা সময় অভিনয় ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন!
সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন সলমন খানের বাবা, চিত্রনাট্যকার সেলিম খান। অভিনয় জীবনের শুরুতে পর পর ছবি ফ্লপ করছিল অমিতাভের। এগারোটি ছবিতে ব্যর্থ হন অভিনেতা। হতাশ অমিতাভ চলচ্চিত্র জগৎ ছেড়ে দেবেন বলেই ভেবেছিলেন।
এমন সময় তাঁর কাছে আসে ‘জঞ্জির’ ছবির প্রস্তাব। নির্মাতাদের প্রয়োজন ছিল জয়া বচ্চনকে। তিনি তখন রয়েছেন তাঁর কেরিয়ারের সেরা সময়ে। ছবির বিক্রয়যোগ্যতা তৈরি করতে জয়ার মুখ দরকার ছিল।
পুত্র আরবাজ় খানের কাছে সেলিম বলেন, ‘‘ দেব আনন্দ, ধর্মেন্দ্র, দিলীপ কুমারের মতো তারকাদের কথাই এই ছবির প্রধান চরিত্রটির জন্য ভাবা হয়েছিল। ধর্মেন্দ্র এবং দেব আনন্দ ব্যক্তিগত কারণে অভিনয় করতে রাজি হননি। দিলীপ কুমারের মনে হয়েছিল, চরিত্রটি বড় বেশি একমাত্রিক। পরে অবশ্য এই চরিত্র না করার জন্য আক্ষেপও করেছিলেন তিনি।’’
সেলিম জানান, কিছু ছবিতে অমিতাভের কাজ তাঁর ও তাঁর বন্ধু চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের ভাল লাগলেও পর পর ফ্লপের নজিরের জন্যেই পরিচালক প্রকাশ মেহরা তাঁকে নিতে আগ্রহী ছিলেন না।
তিনি বলেন, ‘‘অমিতাভ তখন নতুন, তিনি ভাল অভিনেতা ছিলেন, সন্দেহ নেই। তাঁর কণ্ঠস্বর ও ব্যক্তিত্ব ছিল আকর্ষণীয়, তবু ছবিগুলো ফ্লপ করছিল কারণ ছবির বিষয়বস্তু শক্তিশালী ছিল না। তবে, সাধারণত ছবি ফ্লপ করলে তার দায় বর্তায় অভিনেতার উপরেই। ১১টি ছবির বিপর্যের পরে তিনি ইন্ড্রাস্ট্রি ছেড়েই দিতে চেয়েছিলেন। নায়িকারাও তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না। আমি জয়াকে নেওয়ার কথা বলি ছবিতে। চিত্রনাট্য শুনে জয়ার ভাবনা ছিল, ছবিতে তাঁর করার মতো কিছুই নেই। জয়া শেষ পর্যন্ত আমার কথায় অমিতাভের জন্যই অভিনয় করতে রাজি হন।’’
‘জঞ্জির’ অমিতাভকে বলিউডে প্রতিষ্ঠা দেয়। ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ হিসাবে তাঁর যাত্রাও শুরু এই ছবি থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy